ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ | ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন

    ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা ২০২২


    বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির দিক দিয়ে অথবা শিক্ষা এবং সংস্কৃতির দিক দিয়ে ফ্রান্স এখন বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে। তাদের শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মান অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেকটাই উন্নত এবং তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উন্নতির লক্ষ্যে বর্তমানে এখন পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে ফ্রান্স সরকার। তাই শক্তিশালী অর্থনীতি দেশে যে কেউ চাইলেই উচ্চশিক্ষার জন্য সেখানে পাড়ি জমাতে পারে তাই বাংলাদেশ সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সেখানে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে। তাই আপনিও যদি ভাঙছে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আজকে আমাদের এই কনটেন্টে সম্পূর্ণ পড়লেই বুঝতে পারবেন ফ্রান্সের ভিসা পেতে হলে আপনাকে কি কি করা লাগবে।


    শিক্ষা গবেষণা ও ফ্রান্সের বিনিয়োগ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি সংসদ জাতীয় বাজেটে বিবৃতিতে জানিয়েছে যে বেশি শিক্ষা ক্ষেত্রে তারা দিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে খুবই কম দেশেই আছে যারা মানুষের মতো শিক্ষাব্যবস্থা এবং গবেষণার বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে এটি শুধুমাত্র ফ্রান্স সরকারি সুযোগ সুবিধা বেশি দিয়ে থাকে। তাই সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নত এবং ইউনিভার্সিটি রেংকিং এর দিকে তাকালেই বোঝা যায় তাদের কতটা উন্নতি লাভ করেছে।


    তাই এই বিশাল বিনিয়োগ এর ফলে বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং এর দিক দিয়ে তারা প্রায় সবাই ভালো আছে। প্রায় তাদের 500 শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে 34 টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টপ লেভেলে এর মধ্যে রয়েছে প্যারিসেই দশটি বিশ্ববিদ্যালয়। এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে বর্তমানে প্রায় চার লাখের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীরা বর্তমানে হায়ার স্টাডি জন্য সেখানে পড়াশোনা করছে।


    ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪

    ২০১৪ সালে যারা ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে আবেদন খরচ প্রায় ৬০ হাজার টাকার মত লাগবে। তারপরে যেকোনো দশটি বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের টিকার পরে পরবর্তীতে দূতাবাসের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানো হবে এক্ষেত্রে ইন্ডিয়া অথবা পাশের অন্য কোন দেশের এম্বাসি থেকে ভাইবা দিতে হবে


    এইভাবে মূলত ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা নিতে পারবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আইএলটিএস স্কোর এবং প্রয়োজনীয় আরো কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো অবশ্যই থাকতে হবে ফ্রান্সে কি কি বিষয়ে আপনি আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন খরচ কত টাকা তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে আমরা আরো তুলে ধরেছি।


    উচ্চ শিক্ষার জন্য যে কেউ চাইলেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা, ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট কোর্স, পিএইচডি সহ হায়ার স্টাডিজ জন্য সকল সুবিধা দিয়ে রেখেছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তাই চাইলে যে কেউ ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সেখানে হায়ার স্টাডি কমপ্লিট করতে পারবে।


    সোশ্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, লিটারেচার মেডিকেল সাইন্স, ফার্মাকোলজি, ফার্মেসি, জিওগ্রাফি, আইসিটি, মিউজিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বেশ কিছু বিষয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ রয়েছে তা ছাড়াও রয়েছে রেডিওলজি, সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, কম্পিউটার সাইন্স, বিজনেস স্টাডিজ, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল সহ বিভিন্ন কোর্স করার সুযোগ।


    ফ্রান্সের ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক করা হয়ে থাকে তাই যে বাজারা ওখানে পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করতে পারবেন তাদের ইন্টার্নশিপ সহ বাধ্যতামূলকভাবে সেখানেই পড়াশোনা করা লাগবে যার ফলে আপনি প্রত্যেকটি বিষয়ে তাত্ত্বিকভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতার তৈরি করতে পারবেন।


    সাধারণত 4 বছর মেয়াদী মাস্টার্স কোর্সের মেয়াদ হয়ে থাকে তার পরে এক বছর মেয়াদী অন্যান্য কোর্সের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে তাছাড়া রয়েছে পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম্পিটিশনের জন্য বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন তারা করে থাকে। এবং অন্যান্য শর্ট কোর্স পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন রকমের কোচ সার্ভিস প্রোভাইড করে থাকে।


    ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

    ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ হিসাবে প্রথম অবস্থায় ৬০ হাজার টাকার মতো লাগবে শুধুমাত্র বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে। এছাড়া যদি আপনি বেসরকারিভাবে যেতে চান তাহলে কিন্তু ১৬ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা খরচ হবে আর সরকারিভাবে যদি ফ্রান্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ নিয়ে চান্স পেয়ে যান সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ৮ লক্ষ টাকা খরচ করেই আপনি ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।


    তবে আপনি যদি দেশের বাহির থেকে অন্যান্য বিভিন্ন দেশ থেকে যেতে পারেন তাহলে খুবই কম খরচের মধ্যে ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী আপনাদেরকে সামান্য পরিমাণ ফ্রী প্রদান করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো দিয়ে খুব সহজে ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা নিতে পারবেন।


    ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যদি আপনি দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করতে পারেন এবং ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন তাহলে কিন্তু ফ্রান্সে আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন অথবা সেই অনুযায়ী আপনার সেখানে গ্রীন কার্ড দেওয়া হবে এক্ষেত্রে আপনাদেরকে অবশ্যই সেখানে পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রী অর্জন করে তারপরে আপনাদেরকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।


    বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন


    ফ্রান্সে কেন পড়তে যাবেন

    বর্তমানে ফ্রান্স স্টুডেন্টদের জন্য বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা তারা তৈরি করে রেখেছে যেমন বিভিন্ন রকমের স্কিল ডেভেলপ করার জন্য তারা বিভিন্ন রকমের কোর্স কারিকুলাম সুন্দর সাজিয়েছে সেইসাথে স্টুডেন্টদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তাড়া দিচ্ছে বর্তমানে শিক্ষা এর মান উন্নত করার জন্য তারা বড় পরিমাণ অর্থ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যয় করছে।

    • ফ্রান্সে জীবনযাত্রার মান অন্যান্য দেশের থেকে উন্নত
    • ইংরেজি এবং ফরাশী ভাষাতে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ
    • ফ্রান্সে টপ লেভেলের  উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে
    • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের কাজ গুলোর গুরুত্ব বেশি দিয়ে থাকে
    • আবহাওয়া এবং প্রকৃতিক ফ্রান্সের সবথেকে সুন্দর
    • কম খরচে ভালো পড়াশোনা করার সুযোগ
    • পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম এবং ফুলটাইম চাকরি করার সুযোগ
    • অন্যান্য শর্ট কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ কম খরচে

    ফ্রান্সে পড়তে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি

    ফ্রান্সে পড়তে যাওয়ার আগে অবশ্যই ফ্রান্সের ভাষা সম্পর্কে আপনাকে ভালোমতো জেনে নিতে হবে এজন্য ফ্রান্সের স্পেশাল কোন ভাষা বিষয়ে আপনাকে কোর্স করে ভালোমতো ভাষাটা শিখে নিতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্রান্সের ভাষা শেখার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি সরাসরি ফরাসি রাষ্ট্রদূত দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে এবং ফার্মস সরকার কর্তৃক এই ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।


    সেইসাথে অবশ্যই ইংলিশে ভালো দক্ষতা থাকা লাগবে আইএলটিএস স্কোর মিনিমাম 6 থাকা লাগবে তারপরে আপনি ফ্রান্সে পড়তে যাওয়ার জন্য সুযোগ পাবেন তাছাড়াও আপনাকে ফ্রান্স ভাষা ভালোমতোই শিক্ষা নেওয়া লাগবে তা না হলে ফ্রান্সের জন্য ভিসাতে আপনি আবেদন করতে পারবেন না।


    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ


    ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা

    ফ্রান্সে মোটামুটি চার ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা সার্ভিস চালু আছে। চার ধরনের ভিসা নিয়ে আপনি ফ্রান্সে যেতে পারবেন এবং পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আপনি বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করতে পারবেন চার ধরনের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আমরা নিচে তুলে ধরেছি।


    Schengen Student Visa

    ফ্রান্সে কয়েক ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা রয়েছে। আপনি যদি ফ্রান্সে কোন কোর্স বা বিশেষ কোনো গবেষণার কাজের জন্য যেতে চান তাহলে সেনজেন স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে এবং আপনি সেখানে তিন মাস মেয়াদ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে পারবেন।


    Visa to sit Entrance Exam 

    আপনি যদি ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে আপনি ভিসার জন্য খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন আপনি যদি পরীক্ষায় পাস করে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন এবং ভিসা রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী পড়াশোনা করতে যতদিন সময় লাগবে ততদূরই জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন। সেইসঙ্গে আপনাকে ভিসার জন্য তাদের দূতাবাসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হতে পারে।


    Temporary Long-Stay Visa

    ফ্রান্সে যদি আপনার পড়াশোনার মেয়াদ ছয় মাসের জন্য হয়ে থাকে তাহলে এই Temporaru Long-Stay Visa  ভিসার জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচের দিক দিয়ে তারা বিবেচনা করা অনেকটাই কম খরচে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাই অবশ্যই 6 মাস মেয়াদী হইলে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।


    জাপানে কাজের ভিসা | জাপান ভ্রমণ ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা


    Long Stay Visa

    আপনি যদি বেচেলার অথবা মাস্টার ডিগ্রী ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স গুলো কমপ্লিট করতে চান তাহলে আপনাকে চার বছর মেয়াদি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে আর চার বছর মেয়াদী হিসাব আলোচনা আবেদন করতে হলে Long Stay Visa ভিসা তে আপনাকে আবেদন করতে হবে। 


    ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    ফ্রান্সে পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসার সঙ্গে একটা করে তারপরও আবেদন করতে হবে তাছাড়াও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগে থেকে তৈরি করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কোর্স  গুলো আগে থেকেই সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট অর্জন করে তারপরেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সাথে তাদের দূতাবাস হতে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে ডাউনলোড করে ভালোমতো পূরণ করার পরে ফ্রান্স দূতাবাসের মাধ্যমে অফিসে জমা দিতে হবে।


    • 4 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • বিমান টিকিট এর ফটোকপি
    • ভিসা অ্যাপ্লিকেশন এর জন্য ফ্রী
    • আইএলটিএস স্কোর
    • জন্ম সনদের ফটোকপি
    • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
    • স্বাস্থ্য বীমা
    • চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদ
    • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চারিত্রিক সনদ
    • যাবতীয় শিক্ষার যোগ্যতা কাগজপত্র
    • টিউশন ফি জমা দেয়া থাকলে তার প্রমান
    • ফরাসি এবং ইংলিশ বিষয়ে দক্ষ তার প্রমান
    • বিভিন্ন খেলা দক্ষতা থাকলে তার প্রমান
    • বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সৃষ্টি বা ইনভাইটেশন লেটার
    • বিভিন্ন কোর্স বিষয়ে দক্ষতা সনদ

    উপরোক্ত কাগজপত্র যদি কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে কিন্তু আপনার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই ফ্রান্সে যদি স্টুডেন্ট ভিসা অথবা যেকোনো বিষয় নিয়ে যখন আবেদন করবেন তখন আপনার নিবন্ধন আইডি কার্ডের সাথে এবং এনআইডি কার্ডের সাথে সেইসাথে পাসপোর্ট এর সাথে যদি কোন ধরনের মিল না থাকে তাহলে কিন্তু একেবারে ভিসা বাতিল হয়ে যেতে পারে তাই অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।

    কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার নিয়ম | ছাত্রদের জন্য কিস্তিতে ল্যাপটপ


    কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন

    আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত করার পরে অনলাইন থেকে আবেদন ফরম টি ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে তারপরে ফ্রান্সের এম্বাসিতে গিয়ে আপনাকে সরাসরি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো এটাস্ট করে তারপরে আপনাকে আবেদন করতে হবে আবেদন করার মিনিমাম তিন মাসের মধ্যেই আপনার ভিসা কার্যক্রমের আপডেট তারা মোবাইল ফোন অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দিবে।

    • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে পূরণ
    • এম্বাসির কালচারাল ই-মেইলে যোগাযোগ করতে হবে
    • দূতাবাসে যোগাযোগ করার জন্য অ্যাপোয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়
    • প্রয়োজনীয় ভেরিফিকেশন শেষে ভিসা দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবে
    • পুরোপুরি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে মিনিমাম 28 দিনের মত সময় লাগবে

    ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা তে কাজ করার সুযোগ

    স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন পার্টটাইম এবং ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন তবে সেই সাথে আপনাকে অবশ্যই পার্টটাইম এবং ফুলটাইম বিবেচনা করে তারপরে আপনাকে যাবে ঢুকতে হবে তাছাড়া পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন কোর্সের জন্য ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকে ফ্রান্স সরকার সেই সুযোগগুলো না নিয়ে আপনি এ সমস্ত কাজগুলো করতে পারবেন। তবে ফ্রান্সের ক্লাস গুলো সাধারনত প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস বেশি হয়ে থাকে তাই আপনাকে এরই মধ্যেই সুযোগ তৈরি করে নিতে হবে কাজ করার।


    আপনি পার্টটাইম কাজ করে খুব সহজেই পড়াশোনার খরচ তুলে নিতে পারবেন তাছাড়াও আপনি যদি পাশাপাশি বিভিন্ন ভালো কোম্পানি অথবা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন তার পরেও ভালো কিছু করা সম্ভব। ফ্রান্সের বর্তমানে শিক্ষা উন্নতির লক্ষ্যে তারা স্টুডেন্টদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা চালু করেছে তাই এই সুযোগ নিয়ে খুব সহজেই আপনি ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন।


    চায়না স্কলারশিপ | চায়না স্কলারশিপ কিভাবে আবেদন করবেন? খরচ সহ বিস্তারিত


    সাবধানতা

    ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার পরে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে অথবা যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে আপনার ভিসার মেয়াদ কতদিন এবং আপনি কোন বিছাতে গিয়েছেন এবং আপনার ভার্সিটি কোথায় কি তা সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে সেখানে দেয়া থাকবে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে নিবেন তা না হলে পরবর্তীতে আপনার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা ফ্রান্সের অন্যান্য ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন দালালচক্র রয়েছে যার মাধ্যমে আপনারা ভুলভাল ভিসা হাতে পেয়ে যেতে পারেন এজন্য এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন।


    বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা | লন্ডনের সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন