ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ | ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং

    ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা


    আমরা অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক দেশে যেয়ে থাকি। যেমন আমরা কেউ বাংলাদেশ থেকেইংল্যান্ড পড়াশোনা করতে যাই। কেউ যায় চীনে, কেউ আমেরিকা, কেউ কানাডা ইত্যাদি দেশে যেয়ে থাকেন। আপনারা যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যেতে চান আজ তাদের জন্য আমরা কিছু বিষয় তুলে ধরব। আশাকরি আপনার মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।


    বিগত বছর গুলোর তুলনায় ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা আগের তুলনায় অনেকটাই সহজ তবে এক্ষেত্রে ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা নেওয়ার জন্য তাদের দেওয়া কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো পূরণ করতে পারলেই খুব সহজেই আপনারা ইংল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা নিতে পারবেন।


    বিশ্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ার জন্য তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে যেমন আইএলটিএস স্কোর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ অন্যান্য অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মূলত ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। তাই অনেকেই জানিনা কিভাবে সেখানে আবেদন করতে হয় এবং আবেদন করার জন্য কত টাকা খরচ হয়। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে মূলত আজকে আমরা এই কন্টেন্টের মধ্যে তুলে ধরেছি তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ইংল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।


    ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

    ইংল্যান্ডে স্টাডি পারমিট নেওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় ইংল্যান্ডের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে।  স্কলারশিপে আবেদন করার পরে আপনি যদি সিলেক্টেড হন তাহলে   অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পাওয়ার পরেই আপনি ইংল্যান্ড স্টাডি পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।


     ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা নামে এখন পর্যন্ত কোন ভিসা চালু হয়নি যেটাকে পড়াশোনার জন্য আমরা মূলত বলে থাকি ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা। কিন্তু আসলে এটি হচ্ছে স্টাডি পারমিট ভিসা যেখানে আপনি স্টুডেন্ট অবস্থায় সেখানে বসবাস করতে পারবেন এবং ইংল্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের কোর্স সম্পন্ন করতে পারবেন।


    চায়না স্কলারশিপ কিভাবে আবেদন করবেন? খরচ সহ বিস্তারিত


    ইংল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন এবং কত টাকা খরচ হয় এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো আমরা নিচে  আলোচনা করেছি আশা করি সম্পূর্ণ বিষয়গুলো পড়লে আপনাদের ইংল্যান্ড ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যগুলো ক্লিয়ার হয়ে যাবে।


    ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

     ইংল্যান্ডে তিন থেকে চার বছরের বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করার জন্য IELTS স্কোর ৬.০-৬.৫  থাকতে হবে।    মাস্টার প্রোগ্রামে পড়াশুনা করার জন্য ১৬ বছরের শিক্ষাজীবনের সাথে অবশ্যই আইএলটিএস স্কোর  ৬.৫ থেকে ৭.০  থাকা লাগবে।  ইংল্যান্ডের একাডেমী কোর্সের জন্য  ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশের বেশি মার্কস অর্জন  করতে হবে।


     তবে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু ভিন্ন রকম ডিপার্টমেন্ট আছে তবে আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার জন্য সুযোগ খুঁজছেন অথবা আপনার রেজাল্টের উপর নির্ভর করে যে কলেজ নির্বাচন করেছেন তাদের ওয়েবসাইট থেকে সেই রিকোয়ারমেন্ট গুলো আগেই দেখে নিবেন। এতে করে আপনার স্টুডেন্ট ভিসা বা স্টাডি পারমিট পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে।


    ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং

     ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করার আগে আপনাকে অবশ্যই ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনভাইটেশন লেটার সংগ্রহ করতে হবে তারপরেই বাংলাদেশ অথবা ইন্ডিয়ার দূতাবাস হতে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সত্যায়িত করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে আবেদন করার আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যেই আপনার ভিসা প্রবাল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


    তবে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি কোন ধরনের ভুল থাকে তাহলে কিন্তু আবার আবেদন পত্র বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো পুনরায় আবার জমা দেওয়া লাগবে যদি ইংলিশে ট্রান্সলেট করার প্রয়োজন হয় সেটাও আপনাকে জানিয়ে দিবে।


    জাপান ভ্রমণ ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা


    তবে প্রথম অবস্থায় আপনার নিবন্ধন আইডি কার্ডসহ যে কোন বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় এই ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটগুলো অবশ্যই প্রত্যেকটি ইংলিশে ট্রান্সলেট করে তারপরেই জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন।


    ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

    ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ বিভিন্ন কোর্স ভেদে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।  ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে। এখানে মূলত প্রিলিমিনারি কোর্স করতে প্রত্যেক বছর খরচ হয় ৫ হাজার  পাউন্ড থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত।  জেনারেল বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য প্রত্যেক বছর খরচ ৮ পাউন্ড থেকে শুরু করে দশ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত।  এবং মেডিকেল বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য খরচ অন্যান্য খরচের তুলনা একটু বেশি এক্ষেত্রে ১০ হাজার পাউন্ড থেকে শুরু করে ২০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত খরচও হতে পারে।


    তাছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন রকম খরচ নির্ধারিত থাকে এক্ষেত্রে তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যেমন আপনি যদি সেখানে ভালো ফলাফল করতে পারেন তাহলে কোর্স ফি অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয় এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেংকিং এর ভিতর আপনাকে থাকতে হবে তাহলে আপনি সেই সুযোগগুলো উপভোগ করতে পারবেন।


    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে

    ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার উপায়

     ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় আপনার পয়েন্ট অনুযায়ী এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পরে আপনি যদি সেখানে চান্স পেয়ে যান তাহলে ইংল্যান্ডের স্টাডি পারমিটের জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন যাকে বলা হয় ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা। আবেদন হয়ে গেলেই আপনি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ইংল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন।


     তারপরে আপনি ইংল্যান্ডের দূতাবাসে গিয়ে সরাসরি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিয়ে আপনার ভিসা তুলে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাস থেকে করতে পারবেন অথবা ইন্ডিয়া দূতাবাস থেকেও আপনি করতে পারবেন এক্ষেত্রে আবেদনসহ বিস্তারিত তথ্য এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি লাগবে আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করেছেন তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই দেখে নিতে পারবেন।



    ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য যা যা করণীয়।

    ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য যা যা করণীয় আজ আপনাদের সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। স্পন্সার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সর্বপ্রথম তাদের একটি কাচ  নাম্বার অথবা কাজ রেফারেন্স নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে । যেটিকে ভর্তির নিশ্চয়তাপত্র বলা হয়। 


    এর জন্য একজন শিক্ষার্থী পাবেন 50 নম্বর শিক্ষার্থীর কাগজপত্র যেমন সার্টিফিকেট মার্কশিট ইত্যাদি যাচাইয়ের পরপর স্পন্সার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাজীশু করবে। কাজ ইস্যু করবে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আপনি কেনো সেখানে পড়তে চান তা বর্ণনা করে একটি রচনা লিখতে হবে তারপর জমা দিতে হয় ।


    বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন


    এছাড়াও রেফারেন্স লাগতে পারে যেমন আপনার পুরনো শিক্ষকের শিক্ষকদের কাছ থেকে। এগুলো সব স্পন্সরের নীতিমালা অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে। ইংল্যান্ডপড়াশোনা করবেন তার জন্য খরচ রয়েছে।

     

    ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ভাষার দক্ষতা

    যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য IELTS ভাষার দক্ষতা  লাগে। এখানে 10 মার্ক আছে। IELTS এ কত লাগবে সেটাই আপনাদের এখন দেখাবো এবং IELTS নির্ধারণ করা যেটি আছে, সেটি যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আপনি বাকি 10 পয়েন্ট পেয়ে যাবেন। সাধারণত ব্যাচেলর এবং এর উপরের পর্যায়ে লেখাপড়া করার জন্য ইংলিশে বি-২ বা এর সমমান  স্কোর লাগবে। বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচলিত IELTS এর 5.5 থেকে 6 এর সমান। আবেদনকারী যদি ইংরেজিতে কম দক্ষ হন অথবাইংল্যান্ডমূল কোর্সের সঙ্গে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্স আসতে চান তবে ইংলিশ লেভেল বি-1 লাগবে যা IELTS এর 4 বা 5 এর সমান।


    ইংল্যান্ডে কোন কোর্স এ কত খরচ

    আজকে আপনাদের জানাবোইংল্যান্ডকোন কোর্স এ মাসে কত টাকা খরচ হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অনুযায়ী বিভিন্ন রকম ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। যদি ৯ মাসের কম সময়ের জন্য হয়ে থাকে তবে একজন আবেদনকারীকে দেখাতে হবে প্রতি মাসে এক লাখ ১১ হাজার টাকা ফি এবং থাকা-খাওয়া আলাদা।


    কোর্স যদি ৯ মাসের বেশি হয় তাহলে কোর্স ফি এর সঙ্গে প্রতিমাসে উপরিক্ত হারে ৯ মাসের জন্য অর্থের ব্যবস্থা এই পরিমান টাকা অভিভাবকের ব্যাংক হিসাবে দেখাতে হবে। কমপক্ষে ২৮ দিন কেউ যদি ডিপোজিট কিংবা লোন নিয়ে দেখায় তা ও হবে।

     

    যুক্তরাজ্যের খরচ কেমন বিস্তারিত ?

    আজকে আপনাদের জানাবইংল্যান্ডথাকলে কেমন খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে। কোন একটি ম্যাচ বা ফ্ল্যাটে যদি থাকেন। যদি সিঙ্গেল রুম নিয়ে থাকেন তাহলে ন্যূনতম খরচ হবে 500 থেকে 550 পাউন্ড।

    আর যদি আপনি শেয়ার করে ঘর নেন যেমন, দুজন, চারজন ইত্যাদি। শেয়ারের মাধ্যমে ঘর নিলে খরচ হবে 200 পাউন্ড। লন্ডন সিটের বাইরে থাকলে  50 পাউন্ড কম বেশি হয়ে থাকে। যদি আপনি প্রতিদিন তিন থেকে চার বার খান তাহলে আপনার খরচ পড়বে 200 পাউন্ড।


    আর লন্ডন সিটির বাইরে হলে 180 পাউন্ড এর মত। আপনি যে হোস্টেলে বা বাসায় থাকবেন তার ইলেকট্রনিক বিল আপনার উপর পড়বে 60 পাউন্ড। ব্রডব্যান্ড লাইন এবং মোবাইল ফোনের বিল দিয়ে মোট পড়বে 60 থেকে 70 পাউন্ড। লন্ডির জন্য 20 থেকে ২৫ পাউন্ড খরচ হবে।



    দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় এবং খরচ



    এসাইরমেন্টের জন্য যেসব কাগজপত্র ইত্যাদি লাগবে সেগুলোর জন্য 30 থেকে 40 পাউন্ড খরচ হবে। যদি একটা স্টুডেন্ট তার ভার্সিটি যাওয়ার জন্য যদি মেট্রো ইউজ করে তাহলে তার মাসিক 80 থেকে 90 পাউন্ড খরচ হবে। এটা যদি বাংলাদেশী টাকায় হয় তাহলে প্রত্যেক মাসে মোট 70 থেকে এক লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে।


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন