বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা পড়ার কারণ নিয়ে আজকে আমরা এই কনটেন্টে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো। বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা পরে এসে লালা তে কি কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং অন্য বিড়ালের এই লালাতে ধরনের ক্ষতি হতে পারে কিনা এবং মানুষের কি কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্টে তুলে ধরেছি তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা পড়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা পড়ার কারণ
বিড়ালের মুখে অথবা ঠোঁটে, নাকে, নাকের ডগায়, গলায়, দাঁতের মাড়িতে Cat Flu এর কারণে বিড়ালের ঘা হয় আর এটি মূলত বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা পড়ার কারণ। এবং এটি বিড়ালের জন্য সবথেকে ক্ষতিকর একটি বিষয় যেটার কারনে অন্যান্য বিড়ালদের মধ্যেও Cat Flu খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এবং আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে এটি মানুষের মধ্যে জল হিসাবে সংক্রমিত হয় না। Cat Flu বাচ্চা বিড়ালের জন্য মারাত্মক ভাবে এটি ক্ষতি করে থাকে। Cat Flu মূলত FHV-1 এবং FCV এই দুটি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।
বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা পড়ার চিকিৎসা
বিড়ালের লালা পড়ার তেমন কোনো চিকিৎসা নেই তবে শুধুমাত্র সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হলেই এর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সমস্ত পশু হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোতে মূলত Vet রা টিকা দেওয়া হয়। তিন মাস বয়সের পরেই যেকোনো বিড়ালকে এই টিকা দিতে পারবেন তবে লক্ষণগুলো দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে পারেন। এরোগে অনেক বিড়াল মারা যায় আবার অনেক ক্ষেত্রে বিড়াল নিজে থেকেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
এবং এটা থেকে কিন্তু অন্যান্য বিড়ালে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং গর্ভবতী থাকলে গর্ভের বাচ্চার সমস্যা দেখা দেয় তাই অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত এবং আক্রান্ত বিড়ালকে আলাদা রাখতে হবে তা না হলে অন্যান্য বিড়ালে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা পড়ার মাত্রা বাড়তে বাড়তে থাকবে।
আরো পড়ুন: ফেসবুকে লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করার উপায়
মুখ দিয়ে লালা পড়া বিড়ালের যত্ন কিভাবে নিবেন
শীতকালে এই রোগটা বেশি দেখা দেয়। এই সময় বিড়ালকে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করানো থেকে বিরত রাখতে হবে। বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা পরলে অনেক যত্ন নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে বিশ্রামে রাখতে হবে। তাকে ঠান্ডা থেকে দূরে এবং গরম স্থানে রাখতে হবে। গরম কাপড় অথবা কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে উষ্ণ গরম খাবার এবং স্যালাইন, গ্লুকোজ ও পানি খাওয়াতে হবে এসময় বিড়াল খেতে চাইবে না কিন্তু অল্প অল্প করে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে এতে করে বিড়াল দুর্বল হবে না। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গুলো খাওয়াতে থাকতে হবে।
তবে আপনাদের খেয়াল রাখা উচিত যে বাড়িতে যদি অন্যান্য বিড়াল থাকে তাকে আলাদা ভাবে রাখতে হবে তা না হলে অন্যান্য বিড়ালের এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। বিড়ালের অসুস্থ লালার কারণে অথবা হাসির কারণেও কিন্তু ছড়িয়ে যেতে পারে তাই খালা খাবারের বাটি আলাদা রাখতে হবে এবং অন্যান্য বিড়াল যাতে ওর খাবারের পাতিলে না খাবার খায় সেই দিকে নজর রাখতে হবে। এবং বাটি গুলো ভালোমতো ডেটল স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আরো পড়ুন: টিকটক থেকে টাকা ইনকাম পদ্ধতি। টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়
আপনাদের জেনে রাখা উচিত বিড়ালের কারণে কিন্তু অনেক বিড়াল মারা যায় তাই আদরের বিড়ালটিকে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে এবং এবং এই সমস্ত সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন অথবা ওষুধগুলো খাওয়াতে হবে তা না হলে আপনার আদরের বিড়ালটি মারা যেতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন