গ্রীস স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন, গ্রিসে পড়াশোনার খরচ কত

    গ্রীস স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন


    গ্রিসে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন এবং গ্রিসে পড়াশোনার জন্য খরচ কত টাকা পড়বে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এ কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করেছি তাছাড়া আলোচনা করেছি কিভাবে আপনারা গ্রিসে স্টুডেন্ট ভিসাতে কাজ করতে পারবেন। কোন কোর্স গুলো করা হয় গ্রিসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং স্টুডেন্টদের থাকার ব্যবস্থা এবং জবের ব্যবস্থা নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে পড়াশোনার বিষয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে

    বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গ্রিসে প্রতিনিয়ত পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্টরা পাড়ি জমাচ্ছে এবং স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সেখানে অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে তবে পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। এবং সেইসাথে সেখানে পড়াশোনা করে সে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল গুলোতে বিভিন্ন করে সেখানে স্থানীয় হয়ে যাচ্ছে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক গ্রিক সম্পর্কে বিস্তারিত

    গ্রিসে কেন পড়তে যাবেন

    গ্রিসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেকটাই উন্নত এবং তাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান বিশ্বের টপ রাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করেছে। তাই সেখানকার পড়াশোনার মান প্রতিনিয়ত উন্নত হওয়ার কারণে এশিয়া মহাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্টরা সেখানে প্রতিনিয়ত পড়াশোনার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে

    গ্রীসের সরকার সেদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হাতে কলমে শিক্ষা দানের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং পাশাপাশি স্টুডেন্টদের পড়াশোনার জন্য এবং জীবনমান উন্নয়ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে গ্রিসের সরকার। তাই সেখানে প্রতিনিয়ত ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্টুডেন্টরা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে

    চায়না স্কলারশিপ কিভাবে আবেদন করবেন? খরচ সহ বিস্তারিত

    স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে পাবেন

    স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে এইচএসসিতে 3.50 থাকতে হবে এবং পাশাপাশি আইএলটিএস স্কোর 6.5 থাকতে হবে তাহলেই গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। অথবা গ্রিক ভাষা শিখে গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে আইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন পড়ে না তবে অনেক অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে আইএলটিএস স্কোর অবশ্যই 6 থাকতে হবে। তাহলে সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া যাবে

    তাছাড়াও সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন্যান্য রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন পড়ে সেই সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো দেখেই তারপরেই গ্রিসের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে হবে তারা বর্তমানে কি কি রিকোয়ারমেন্ট যাচ্ছে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি থাকা লাগবে এবং কি কি সার্টিফিকেট লাগবে আমরা নিচে কয়েকটি গ্রিস বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট নিচে তুলে ধরবো সেখান থেকে আপনারা ঢুকে তাদের রিকোয়ারমেন্ট গুলো দেখে নিতে পারেন

    বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা

    গ্রিসে কোন কোর্স করানো হয়

    বর্তমানে গ্রিস এর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন কোর্স বিদ্যমান রয়েছে যেমন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রোমেডিক্যাল, সিরামিক, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, অ্যানিমেশন, মাল্টিমিডিয়া, বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিজ্ঞান, ফিজিকস, সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিদ্যমান রয়েছে তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী এবং প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে হবে

    গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের হাতে কলমে শিক্ষা দানের গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয় তাই নিচের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিনিয়ত ক্লাসে উপস্থিত থাকার বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় তাই যারা চিন্তাভাবনা করছেন গ্রিসে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকবেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু সুযোগ-সুবিধা অনেকটাই কম তবে আপনাকে তার মধ্যেই সময় করে নিয়ে বিভিন্ন কাজে নিজেকে সময় দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে একটু বেশি পরিশ্রমই হতে হবে

    গ্রীস স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন

    উপরোক্ত রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার জন্য গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি ইনভাইটেশন লেটার পাওয়ার পরে ইন্ডিয়া অথবা আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশের গ্রীস দূতাবাস হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে জমা দেওয়ার 15 দিনের মধ্যেই ইন্টারভিউর জন্য ঢাকা হবে তারপরেই আপনার ভিসা কার্যক্রম ফাইনাল করা হবে

    স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনপত্র জন্য অথবা প্রয়োজনীয় সত্যায়িত কাগজপত্র গুলো কি কি করা লাগবে তা আমরা বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরব তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে তা আগেই ঠিক করে রাখতে হবে তা না হলে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাতে পারে

    রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?

    গ্রিসে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন আছে অথবা স্পেশাল কোন ভাষার কোর্স করতে হতে পারে সে সমস্ত কাগজপত্র গুলো তা আগামী ভাবেই সংরক্ষণ করে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সত্যায়িত কাজগুলো সম্পন্ন করে রাখতে হবে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন

    • 6 মাস মেয়াদী একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট
    • 4 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইনভাইটেশন লেটার
    • আইএলটিএস স্কোর সনদপত্র
    • ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
    • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
    • নিজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রশংসাপত্র
    • সমস্ত কাগজপত্র গুলো দূতাবাসে সত্যায়িত

    গ্রিসে পড়াশোনার খরচ কত

    গ্রিসে পড়াশোনার জন্য মাসে পনেরশো টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোর্স সহ অন্যান্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এর মধ্যেই হয়ে যায়। তাছাড়াও এক্সটা কোন কোর্স এর জন্য অথবা এক্সট্রা ভাবে থাকার জন্য ফ্যাসিলিটিস পাওয়ার জন্য 2000 পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে স্টুডেন্টদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা গ্রিস সরকার দিয়ে রেখেছে তাই সেই তুলনায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনেকটাই খরচ কম

    জাপান ভ্রমণ ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা

    গ্রিসে স্টুডেন্টদের থাকার ব্যবস্থা

    স্টুডেন্টদের থাকা-খাওয়ার জন্য গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসিক হোস্টেল রয়েছে তবে এক্ষেত্রে যদি কেউ বাইরে থাকতে চাই তাহলে তাদের একটি আবেদনপত্র দিয়ে বাইরে থাকার অনুমতি নিতে হবে তাছাড়া দিছে স্টুডেন্ট এর জন্য বাইরে থাকার কোন অনুমতি নেই। একান্তভাবে যদি কেউ থাকতে চাই অথবা জবের জন্য বাইরে থাকতে চাই তাহলে অবশ্যই আবেদন পত্র দিয়ে অ্যাপ্রভাল নিয়ে তার পরেই থাকার ব্যবস্থা করতে হবে

    গ্রীস স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় জব

    গ্রিসের স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় কাজ করা সম্ভব তবে এক্ষেত্রে একটু বেশি পরিমাণে পরিশ্রমই হতে হবে তাহলেই স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় কাজ করা যাবে এবং মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবে তবে এক্ষেত্রে কলেজের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী বাহিরে কাজে নিয়োজিত হতে হবে। কারণ সেখানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবহারিক ক্লাসে উপস্থিত থাকা লাগে

    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে  | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ

    গ্রিসে স্টুডেন্টদের জন্য স্কলারশিপ

    স্টুডেন্টদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কলারশিপ চালু আছে। এবং গ্রিসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাসের ভেতর ভালো স্টুডেন্টদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এক্ষেত্রে সেমিস্টার ফি সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়গুলোতে হাক ফ্রী অথবা ফুল ফ্রি করা হয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে যদি কোন স্টুডেন্ট ভালোমতো পড়াশোনা করে ভালো পরিমাণ মার্কস তুলতে পারে তাহলে তার পড়াশোনা বাবদ অনেকটাই খরচ কমে আসবে। ধন্যবাদ আজকে আমাদের গ্রীস স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য

    বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন