পলিটেকনিকে কোন সাবজেক্ট ভালো | ডিপ্লোমা সেরা সাবজেক্ট

    জেনে নিন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেরা  ডিপার্টমেন্ট গুলো কি কি


    আজকের আর্টিকেলটি সে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য যারা মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে যাবেন।  আপনারা হয়তো অনেকেই জানতে চান ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোন ডিপার্টমেন্ট ভালো এবং বাংলাদেশের পেক্ষাপটে কোন ডিপার্টমেন্টের চাকরির মান কেমন।  এয়ারটেলে আমরা বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর কয়েকটি সেরা  ডিপার্টমেন্ট নিয়ে আলোচনা করব। 


    আমাদের আজকের এই আলোচনায় বলে রাখা ভালো যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং   কোর্স টি  প্রাকটিকালি  এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা।  এই শিক্ষাই যাদের  হাতের কাজ খুব ভালো তারা যে কোন ডিপারমেন্ট পড়ে জবের জন্য উপযুক্ত হতে পারবে।  তাই ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করার আগে শিক্ষার্থীকে হাতে কলমে শিক্ষার মনমানসিকতা নিয়ে আসতে হবে।


    পলিটেকনিকেলে কোন সাবজেক্ট ভালো

    পলিটেকনিকে কোন সাবজেক্টে সবথেকে ভালো এবং কোনগুলোতে বর্তমানে জব এর ডিমান্ড বেশি সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এখানে তুলে ধরেছি এবং বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী কোন সাবজেক্ট গুলোতে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয় এই বিষয় নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পর্যায়ক্রমে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেরা সাবজেক্ট কোনগুলো এবং পড়াশোনা করার জন্য আপনাদের কি কি দক্ষতা অর্জন করতে হবে এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য

    সিভিল টেকনোলজি

    আপনি যদি ডিপ্লোমা  ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করে সরকারি চাকরি করতে চান তাহলে আপনার নির্দ্বিধায় সিভিল টেকনোলজি তে লেখাপড়া করতে পারেন।  বাংলাদেশের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং  করে সরকারি চাকরিতে সবচেয়ে বেশি  সুদক্ষ  কারিগরের বেশি চাহিদা। সিভিল টেকনোলজি লেখাপড়া করেন লেখাপড়া করে  আপনি অনেক ধরনের সরকারি   প্রতিষ্ঠানে  চাকুরী করতে পারবেন।  ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল টেকনোলজি একটি আদর্শ টেকনোলজি।


     ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি

    সারা পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি ডিমান্ড অনেক বেশি।  ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি সাধারণত  সকল শিক্ষার্থীর একটি স্বপ্নে টেকনোলজি।  যেকোনো   শিক্ষার্থী  সর্বপ্রথম  এই  টেকনোলজি তে  লেখাপড়া করতে চাই।  এই টেকনোলজির চাহিদা পৃথিবীতে অনেক বেশি।   বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির  অনেক বেশি।  সরকারি-বেসরকারি উভয় ধরনের   প্রতিষ্ঠানে  ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার  দের  চাহিদা অনেক বেশি।  তাই আপনি নির্দ্বিধায় ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি লেখাপড়া করতে পারেন।


    মেকানিক্যাল টেকনোলজি

    বাংলাদেশ  মেকানিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা অনেক বেশি।  বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা অনেক বেশি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের  অনেক চাকরির সার্কুলার দেখা যায়।  তাই আপনি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে চাইলে মেকানিক্যাল টেকনোলজি তে করতে পারেন। 


    বলে রাখা ভালো যে আপনি সেই ডিপারমেন্ট পড়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে চান না কেন আপনাকে প্যাকটিক্যাল ধারণা অনেক বেশি রাখতে হবে এবং আপনার স্কিল  ভালোভাবে তৈরি করে নিতে হবে।  তাহলে আপনার জন্য সব ডিপার্টমেন্টেই পড়ে ভালো চাকরি পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।


    কম্পিউটার টেকনোলজি

    আপনি যদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটার টেকনোলজি তে  করতে চান তাহলে আপনাকে অনেক সাধুবাদ জানাই।  ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার টেকনোলজি ভূমিকা অসীম।  বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি দেশে কম্পিউটার প্রকৌশলীদের চাহিদা অনেক বেশি।  বাংলাদেশের পেক্ষাপটে কম্পিউটার টেকনোলজির কারিগরদের  সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবিধা কম থাকলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার টেকনোলজি চাহিদা অনেক বেশি।  ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে কম্পিউটার টেকনোলজি একমাত্র টেকনোলজি যে লেখাপড়া করে আপনি মুক্ত  পেশা  ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন করতে পারবেন।  বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার টেকনোলজি চাহিদা ব্যাপক তাই আপনি নির্দ্বিধায় কম্পিউটার টেকনোলজি লেখাপড়া করতে পারেন এবং নিজের ক্যারিয়ার ভালোভাবে করতে পারেন। 


    ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে  ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি অনেক গুরত্বপূর্ণ টেকনোলজি।  ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে দিলে ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি নিয়োগ কম হলেও বেসরকারি জব এর চাহিদা অনেক বেশি।  আপনি নির্দ্বিধায় ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি লেখাপড়া করতে পারেন।  এবং ইলেকট্রনিক টেকনোলজি স্টুডেন্টদের জন্য একটা কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের প্র্যাকটিকাল কাজ খুব ভালোভাবে শিখতে হবে।  ইলেকট্রনিক টেকনোলজির  ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি হলে  তাদের চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


     RAC টেকনোলজি

    বর্তমানে বাংলাদেশের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর  RAC টেকনোলজির  চাহিদা অনেক বেশি।বাংলাদেশে এখন যে পরিমাণে রেফ্রিজারেটর,  এয়ারকন্ডিশন চাহিদার ব্যবহার বাড়ছে  সে হারে  RAC  টেকনোলজির  সুদক্ষ কর্মচারীরা চাহিদা বাড়ছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা হল এই টেকনোলজিতে পড়ে একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।


     এছাড়াও  মেকাট্রনিক্স  টেকনোলজি,  ইলেক্ট্রো মেডিকেল টেকনোলজি,  মেরিন টেকনোলজি, টেক্সটাইল  ইত্যাদি নানা টেকনোলজিতে লেখাপড়া করে আপনি অনেক ভাল চাকরি করতে পারবেন।  এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রায় সকল টেকনোলজি চাহিদা ব্যাপক।


    সবশেষে বলে রাখা ভালো বাংলায় সে আপনি যেই ডিপার্টমেন্টে পড়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করুন না কেন আপনার প্র্যাকটিক্যালি   কাজ,   ভালো না হলো  আপনার জন্য  সব চাকরি কঠিন হয়ে যাবে।  তাই ডিপার্টমেন্টের দিকে না তাকিয়ে যে ডিপার্টমেন্ট এ চান্স পান না কেন ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করেন এবং নিজের স্কিল বাড়িয়ে নিন।  তাহলে আপনার জন্য চাকরি অনেক সহজ হয়ে যাবে। 


    পলিটেকনিকে পড়ে কি হওয়া যায়

    পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়। পলিটেকনিকের কোর্স সম্পন্ন করতে হলে চার বছর সময় লাগবে। পলিটেকনিক্যাল এ টোটাল আটটা সেমিস্টার রয়েছে। প্রত্যেকটা সেমিস্টারের সময় লাগে ছয় মাস পর্যন্ত। এভাবে যদি কেউ আটটা সেমিস্টারপাশ করতে পারে তাহলে সে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারবে


    আরো দেখুন....


    বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি? কোন কাজের বেতন বেশি?

    বাংলাদেশ কোন চাকরি গুলোর চাহিদা বেশি ? দেখে নিন দেশের সেরা দশটি চাকরি।


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন