নবজাতক শিশুর কাশি হলে করণীয় ( সিরাপ )

    নবজাতক শিশুর কাশি হলে করণীয়


    নবজাতক শিশুর কাশি হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে অনেকেই জানেনা এবং কত দিন বয়সের পর নির্দিষ্ট ঔষধ খাওয়াতে হয় এবং কি করা উচিত এই বিষয়ে আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আপনার নবজাতক শিশুর কাশি হলে কি করবেন এই বিষয়ে জানতে পারবেন তাহলে চলুন এই বিষয়টা ভালোমতো জেনে নেই।


    নবজাতক শিশুর কাশি হলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করতে হবে। নবজাতক শিশুর সর্দি-কাশি ওঠার সময় দেবে যায় এবং নাক দিয়ে পানি পড়ে এবং বাচ্চা যদি নার্ভাস হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাচ্চা যদি নিজে থেকেই দুধ টেনে না খেতে পারে এবং বাচ্চাকে ডাকার পরেও সে যদি রেসপন্স না করে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে হবে।


     নবজাতক শিশুর কাশি হলে করণীয়

    শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলে হাসি কাশি বাঁশি অর্থাৎ বাচ্চাটা খুবই ভালো আছে। কোন একটি চিকিৎসক যদি তার লাঞ্চ পরীক্ষা করে দেখে যে লাঞ্চের মধ্যে বাঁশির মত শব্দ হচ্ছে তাহলে বাচ্চাটি ভালো আছে। তবে বাচ্চার যদি কাশির সাথে নাক দিয়ে পানি পড়ে তাহলে সেটি হল ব্রংকলাইটস আর এই ব্রংকলাইটস হলে পেডিয়ামিন সিরাপটি খাওয়াতে হবে।  সঙ্গে বাচ্চার নাক যদি বন্ধ হয়ে থাকে তাহলে নরসল নামের ডপ একটি  রয়েছে সেটি ব্যবহার করতে হবে। নরসল ড্রপটি একফোঁটা একটি নাকে দেওয়ার পরে পরিষ্কার হওয়ার পরে ৫ মিনিট পর আবার পুনরায় অন্য একদিন নাকি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।


    বাচ্চার কাশির সাথে অন্য কোনো লক্ষণ থাকলে

    নবজাতক শিশুর কাশির সাথে যদি অন্য কোনো লক্ষণ দেখা যায় যেমনঃ কাশির সময় বুক দেবে যাওয়া, বাচ্চার খাওয়া অনীহা প্রকাশ করা, বাচ্চা নার্ভাস হয়ে যাওয়, নাক দিয়ে পানি পড়া, এবং বাচ্চা খাবার খাওয়ার পরে বমি করে দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে অথবা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাতে হবে।


    বাচ্চা যদি খাওয়ানোর পরে বমি করে ফেলে এবং সেইসাথে যদি নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়ে তাহলে বাচ্চা শিশুর জন্য এটি একটি বড় ধরনের সমস্যা তাই অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট নিতে হবে তা না হলে পরবর্তীতে এটির মাত্রা বাড়তে থাকবে তাই অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অথবা নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।


    শিশুর পাতলা পায়খানা হলে এন্টিবায়োটিক


    নবজাতক শিশুর কাশি কেন হয়

    শুধুমাত্র ঠাণ্ডাজনিত কারণে যে নবজাতক শিশুর কাশি হয় তা কিন্তু নয় অতিরিক্ত গরম লাগার কারণেও কিন্তু নবজাতক শিশুর কাশি হতে পারে। অনেকেই আছে যারা বাচ্চাদেরকে অতিরিক্ত কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে চেষ্টা করে এক্ষেত্রে কিন্তু বাচ্চার গরম লাগলেও কাশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক তেমনি আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণে ও কিন্তু বাচ্চার কাশি হতে পারে। তবে স্বাভাবিক কাশি হলে উপরের ধাপগুলো খাওয়ালেই চলবে তবে কাশির সাথে যদি অন্য কোনো লক্ষণ দেখা যায় তা হলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।


    সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া উচিত


    বাচ্চার যেকোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা এবং কতদিন পর্যন্ত ওষুধের মেয়াদ থাকে সেটা জানার পরেই  বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়াবেন তাছাড়া বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ধন্যবাদ এই ছিল আজকে আমাদের নবজাতক শিশুর কাশি হলে করণীয় কি এই নিয়ে বিস্তারিত।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন