শিশুর পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক এবং সিরাপ

    শিশুর পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক


    শিশুর পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক কি এবং তিন মাস বয়সেই অথবা 6 মাস বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে কোনো ওষুধ সেবন করাবেন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি।  শিশুর পাতলা পায়খানা হলে কি করবেন এবং কোন ওষুধ গুলো খাওয়ানো উচিত এবং কিভাবে শিশুর যত্ন নেওয়া প্রয়োজন তা আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে জানতে পারবেন।


    শিশুকে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণে ও কিন্তু পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে অথবা অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণে শিশুর পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে যে কোন মুহূর্তে কিন্তু শিশুকে পাতলা পায়খানার জন্য হুটহাট যে কোন ওষুধ খাওয়াতে যাবেন না অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাবেন তাই আজকে আমরা জানাবো কিভাবে তিন মাস বয়সে অথবা বাচ্চা শিশুদের ক্ষেত্রে কোন ওষুধ গুলো পাতলা পায়খানার জন্য খাওয়ানো উচিত।


    তিন মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা

    তিন মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চামচ খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। আগের তুলনায় মায়ের বুকের দুধ বেশি মাত্রায় খাওয়াতে হবে। যদি বমি হয়ে যায় তারপরে আবার পুনরায় স্যালাইন খাওয়াতে হবে। এর মধ্যে যদি বাচ্চাকে তোলা খাবার খাওয়ানো হয়ে থাকে তাহলে সেটা কমিয়ে দিয়ে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।


    শিশুর ঘন ঘন বমি করে থাকে এবং বেশি মাত্রায় পাতলা পায়খানা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ কোনো শিশু হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে। তিন মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা হলে শিশুর মায়ের বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করে থাকে তাই অবশ্যই নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ে যেতে হবে।


    ৬ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা

    ৬ মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ চামচ খাবার স্যালাইন প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে খাওয়াতে হবে। সেই সাথে মায়ের বুকের দুধ আগের তুলনায় বেশি খাওয়াতে হবে। তোলা খাবার খাওয়ানো হয়ে থাকে তাহলে সেটা কমিয়ে আনতে হবে এবং বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ঘন ঘন পাতলা পায়খানা করে থাকে তাহলে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে অথবা নিকটস্থ কোনো হাসপাতলে নিয়ে যেতে হবে।


    শিশুর পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক

    প্রাথমিকভাবে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শিশুর পাতলা পায়খানার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। দুই বছরের নিচে শিশুর পাতলা পায়খানা হলে ১০ থেকে ২০ চামচ খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে 20 থেকে 40 চামচ খাবার স্যালাইনের পানি খাওয়াতে হবে প্রতিবার পায়খানার পরে। এবং মায়ের বুকের দুধ আগের তুলনায় বেশি খাওয়াতে হবে। প্রতিবার যদি বমি হয় তাহলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।


    সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায় এবং মিলন করা উচিত


    মনে রাখবেন শিশুর পাতলা পায়খানা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াবেন না এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এনটিবেটিক খাওয়াতে হবে। প্রথম অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর পদ্ধতি ভালো হয়ে যায় পরবর্তীতে এর ইফেক্ট পরতে পারে তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর পাতলা পায়খানা হলে এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে।


    শিশুর পাতলা পায়খানা হলে কি খাওয়াবেন

    শিশুর পাতলা পায়খানা হলে খাবার স্যালাইন, জিংক ট্যাবলেট, প্যারাসিটামল, লোপেরামাইড জাতীয় ওষুধ গুলো খাওয়াতে হবে। এই ওষুধগুলো খাওয়ানোর পরে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হবার সময়কাল এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে দিতে পারে। ডায়রিয়া হলে শিশুকে বেশি বেশি খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে এবং প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে খাওয়াতে হবে। এবং বাচ্চাকে তরলজাতীয় খাবার ভাতের মাড় কিংবা ডাবের পানি খাওয়াতে পারেন। খাওয়ানোর সময় বমি হলে অথবা খাওয়ার পর বমি হলে পরবর্তীতে স্যালাইন খাওয়াতে হবে এবং অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।


    শিশুদের পাতলা পায়খানার ঔষধ

    শিশুর পাতলা পায়খানা হলে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই স্বাভাবিকভাবে আস্তে আস্তে কমে যায় তবে ডায়রিয়ার কারণে সৃষ্ট পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে তাই এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। এবং শিশুর পাতলা পায়খানা দেখা দিলে এই ওষুধগুলো খাওয়াতে পারেন খাবার স্যালাইন, জিংক ট্যাবলেট, প্যারাসিটামল, লোপেরামাইড জাতীয় ওষুধ গুলো শিশুর পাতলা পায়খানার জন্য খাওয়ানো যাবে।


    সিজার অপারেশন কতবার করা যায় জেনে নিন


    শিশুদের পাতলা পায়খানা সিরাপ

    শিশুদের পাতলা পায়খানার জন্য এই Ciprocin,  Amodis, Zox, Filmet, Nitanid সিরাপ গুলো খাওয়াতে পারেন। শিশুর পাতলা পায়খানা হলে শুধু ওষুধ খাওয়ালে হবে না পাশাপাশি ওষুধের সাথে পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। এবং ৬ মাস বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং পাশাপাশি স্যালাইন খাওয়াতে হবে। শিশুর পাতলা পায়খানার কারণে যদি মারাত্মক অবস্থা ধারণ করে তা হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ওষুধগুলো সেবন করাতে হবে।


    প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সিজার কখন করতে হয় জেনে নিন


    যেকোনো ধরনের ওষুধ শিশুকে খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ানো উচিত। এবং মনে রাখবেন শিশুর পাতলা পায়খানার জন্য প্রথম অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর থেকে বিরত থাকুন। প্রথম অবস্থায় স্যালাইন এবং মায়ের বুকের দুধ বেশি মাত্রায় থাকুন এবং বাচ্চার জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এতে করে যদি না করে পরবর্তীতে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে শিশুর চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করুন।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন