সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায় এবং মিলন করা যায়

    সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়


    সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায় এই বিষয়ে অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন তাই আজকে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জানিয়ে দেবো যে সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নিবেন এবং সেটা নরমাল হোক অথবা সিজারের মাধ্যমে হোক যেকোনো বিষয়ের জন্য এই সময়টা আপনাদের অবশ্যই জেনে তার পরেই বাচ্চা নেওয়া উচিত।


    অনেকেই আছে যারা প্রথম সিজারের বাচ্চা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন আবার অনেকেই আছে কেউ দ্বিতীয় সিজারের পরে বাচ্চা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তবে এক্ষেত্রে আপনাদের জানানো যাচ্ছে যে সিজারের পর বাচ্চা নেওয়া একটু রিস্ক থাকে তবে এক্ষেত্রে প্রথম এবং দ্বিতীয় সিজারের তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায় না। তবে পরবর্তীতে গর্ভবতী মায়ের জন্য একটু সমস্যা হতে পারে।


    প্রথম সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়

    প্রথম সিজারের পরে গর্ভবতী হওয়ার জন্য দুই বছর সময় দিতে হবে। এক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের জন্য ভালো হবে এবং গর্ভধারণ শিশুর জন্য ভালো হবে। এতে করে বর্তমানে যে সিজারের মাধ্যমে যে বাচ্চা হয়েছে সেও উপযুক্ত ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবে এবং মায়ের দুধ ঠিকঠাকমতো পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই প্রথম সিজারের পর দুই বছর সময় দিয়ে বাচ্চা নিতে হবে।


    প্রথম সিজারের পরে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এক্ষেত্রে আপনার জেনে রাখা উচিত যে প্রথম সিজারের পর মিনিমাম 5 মাস ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হয় এবং অধিক পরিমাণ হাঁটাচলা থেকে বিরত থাকতে হয় তাই অবশ্যই এই সিজার রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই চেষ্টা করবেন সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পরেই বাচ্চা নেওয়ার পরেই বাচ্চা নেওয়া।


    সিজার অপারেশন কতবার করা যায় দেখে নিন


    সিজারের কতদিন পর মিলন করা যায়

    সিজারের পর দেড় মাস পর্যন্ত মিলন করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং দেড় মাস পরেও মিলিত হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা না হলে সিজারিয়ান রোগীর জন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ৪০ দিনের মধ্যে মিলিত হলে জরায়ু সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন ৪০ দিন পরেই মিলিত হওয়ার।


    তার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন যে সিজারের কাটা স্থানে কোন ধরনের সমস্যা আছে কিনা এবং ঘা ঠিকঠাক মত শুকিয়েছে কিনা এই বিষয়টা ভালো মতো লক্ষ্য করে তারপরেই মিলিত হওয়ার চেষ্টা করবেন। তাছাড়াও আপনার স্ত্রী যদি কোন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে তার সাথে কথা বলে নিবেন। মানসিকভাবে এবং শারীরিক ভাবে প্রস্তুত আছে কিনা সেই বিষয়টি ভালোমতো লক্ষ্য করে দেখবেন।


    প্রথম সিজার এবং দ্বিতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়


    সাধারণত নরমাল বাচ্চা হলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় কারণ মাসিক শুরু হয় ৪০ দিন পরেই তারপর থেকেই মিলন হওয়ার জন্য সময় করতে পারেন। তাই বলা যাচ্ছে যদি সে নরমাল ডেলিভারি করে থাকে তারপরেও কিন্তু ৪০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।


    সিজারের কতদিন পর মাসিক হয়

    সিজারের ৪০ দিন পর থেকে মাসিক চক্র শুরু হয়। সিজারের পরে যেসব মেয়েরা বাচ্চাকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ায় না তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু ডেলিভারি হওয়ার ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর মাসিক শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি এবং সিজার ডেলিভারি ক্ষেত্রে একই রকম সময় লাগতে পারে ৪০ দিন পর্যন্ত।


    তবে অবশ্যই আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে সিজারের পরে স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং জরায়ু সংক্রান্ত জটিল সমস্যা দেখা দিলে পরবর্তীতে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে। স্ত্রীর শারীরিক এবং মানসিক দিক বিবেচনা করে তারপরে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না। এবং মিলিত হওয়ার পরে কোন ধরনের সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন