ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় খরচ সহ বিস্তারিত

    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়


    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় নিয়ে আজকে আমরা এ কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করব তাছাড়া আপনারা জানতে পারবেন ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য খরচ কত টাকা পড়তে পারে এবং কিভাবে আপনারা ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য আবেদন সম্পন্ন করবেন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এ কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ কন্ট্রোলে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।


    বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত স্ট্রং হয়ে ওঠেনি তাই সচরাচর যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গুলোতে পাড়ি জমাতে চাই তারা নরমালি ইন্ডিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাছাড়াও বাংলাদেশ ইউরোপের তেমন কোনো দূতাবাস এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি তবে কিছুমাত্র দূতাবাস রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে যেতে হলেও খরচ অনেক বেড়ে যায় অথবা বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা পড়তে হয়।


    তাছাড়াও বর্তমানে সমস্ত দূতাবাস না থাকার কারণে সরাসরি ইন্ডিয়া অথবা দিল্লি দূতাবাস হতেই আবেদন সম্পন্ন করা হয়ে থাকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপে কিভাবে যাবেন এবং কোন এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আপনারা ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমাতে পারবেন তা নিয়ে কথা বলব।


    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ইন্ডিয়াতে ইউরোপের বিভিন্ন দূতাবাস আছে আপনি যেই কান্ট্রিতে যেতে চাচ্ছেন সেই দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ইউরোপের ভিসার ব্যবস্থা করতে পারবেন তবে প্রথম অবস্থায় ইউরোপের বড় বড় কান্ট্রিতে যেতে হলে আপনাকে যে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো প্রয়োজন তা সম্পূর্ণরূপে পূরণ করতে হবে। তাছাড়াও আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অথবা আইএলটিএস স্কোর লাগবে সেই সাথে ঐ সমস্ত দেশ গুলো কি কি তা বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।


    তবে প্রাথমিক অবস্থায় আপনি যদি নরমাল কোন কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে সেনজেনভুক্ত কিছু কান্ট্রি রয়েছে সে সমস্ত কান্ট্রি গুলোতে প্রথম অবস্থায় প্রবেশ করতে হবে তাহলে আপনারা ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন।


    ইন্ডিয়া থেকে ইতালির ভিসা পাওয়া অনেক সহজ প্রথম অবস্থায় যদি আপনি ইন্ডিয়াতে কি ইতালির ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে আপনারা ইউরোপের অন্যান্য কান্ট্রিতে অনায়াসে প্রবেশ করতে পারবেন তাই আপনারা বুদ্ধি করে প্রথম অবস্থায় ইতালির ভিসা সংগ্রহ করুন এবং সেখানে থাকার পরে রেসিডেন্সি কার্ড সংগ্রহ করে আপনারা অন্যান্য শহরগুলো তে প্রবেশ করতে পারবেন।


    আরো পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়


    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য আরেকটি মাধ্যম রয়েছে যেটি হল টুরিস্ট ভিসা নিয়ে আপনারা ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অধিক পরিমাণ ট্রানজেকশন দেখাতে হতে পারে মানে আপনার একাউন্ট থেকে অধিক পরিমাণ টাকা ট্রানজেকশন করেছেন সেই বিষয়টি দূতাবাস কে দেখাতে হবে মানে আপনি যেই দূতাবাসের মাধ্যমে বিদেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশের দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো দেখিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে।


    এই ভাবে যদি আপনারা অন্যান্য দেশে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন তাহলে সেখানে কাজের ব্যবস্থা করে নিতে পারলে তখন আপনারা সেদেশের রেসিডেন্সি কার্ড পেয়ে যাবেন অথবা সেখানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন এইভাবে আপনারা ইউরোপের দেশগুলোতে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।


    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার ভিসা

    প্রথম অবস্থায় আপনাকে আগে জানতে হবে যে আপনি ইন্ডিয়া থেকে কোন ভাষার মাধ্যমে যাবেন এখান থেকে অনেক ধরনের সুযোগ আছে যেমন ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। অথবা আপনি প্রথম অবস্থায় যদি যেতে চান কম খরচের মধ্যে যেতে চান তাহলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে এক্ষেত্রে খরচ অনেক কম পড়বে সেই সাথে যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা অন্যান্য ভিসা নিয়ে যেতে চান তাও যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাদের খরচ কত লাগবে তা নিচে আমরা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি।


    তবে ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপের ভিসা ব্যবস্থার মধ্যে সিজনাল ভিসা রয়েছে এবং নন সিজিনাল রয়েছে। যেকোনো একটি ভিসা তে আপনারা ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপে যেতে পারবেন তবে অবশ্যই যে সমস্ত সিজনাল ভিসা তে আপনারা যদি যেতে চান তাহলে খরচ কিছুটা কম পড়বে এবং যদি আপনারা নন সিজিনাল ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে খরচ একটু বেশি পড়বে।


    আরো পড়ুন: রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?


    তবে এটা জেনে রাখবেন নন সিজিনাল ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু টাকা বেশি লাগবে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ থাকতে পারবেন সেখানে তবে সিজিনাল ভিসার ক্ষেত্রে 6 মাস থেকে 1 বছর পর্যন্ত মেয়াদ হয়ে থাকে এ ক্ষেত্রে খরচ কম লাগবে পরবর্তীতে আপনাকে আবার রিনিউ করতে হবে আবার দেশে ফেরত আসা লাগতে পারে এইভাবে আপনারা ইউরোপের  বিভিন্ন দেশগুলোতে যেতে পারবেন।


    তবে এটা জেনে রাখবে যে দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর যে সমস্ত দেশগুলোতে বর্তমানে ওয়ার্কাররা কাজ করছে তারা কিন্তু চাইলেই অন্যান্য দেশেও যেতে পারে তবে সেখানে কিছু কঠিন রিকোয়ারমেন্ট আছে ইন্ডিয়াতে কিন্তু নাই ইন্ডিয়াতে আপনারা সরাসরি দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ইন্ডিয়াতে অবস্থান করা লাগবে না অথবা ইন্ডিয়াতে কাজে নিয়োজিত থাকা লাগবে না এটা সরাসরি আপনারা বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়াতে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।


    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার এজেন্সি

    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অনেক বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে আপনারা যেতে পারবেন তবে অবশ্যই জেনে রাখবেন যে ইন্ডিয়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কিনা। এবং তাদের লাইসেন্স নাম্বার সহ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য সার্টিফিকেট দেখে তারপরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তবে এক্ষেত্রে অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কাজ নিয়ে সরাসরি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে থাকে।


    আরো পড়ুন: জাপানে কাজের ভিসা | জাপান ভ্রমণ ভিসা


    এসব এজেন্সির মাধ্যমে আপনারা স্টুডেন্ট ভিসার সহ বিভিন্ন চিকিৎসার জন্য ভিসা পাবেন তবে এক্ষেত্রে আপনাদের স্পেসিফিকভাবে করতে কত টাকা খরচ হবে তা আমরা জানাতে পারবো না এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে ভিসার দাম এবং খরচ পাতি সহ আলাদা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই এটি একবারে উপযুক্তভাবে আজকে আমরা তুলে ধরতে পারলাম না পরবর্তীতে অন্য একটি কনটেন্টের মধ্যে আমরা এই বিষয়টা তুলে ধরবো।


    ইন্ডিয়া থেকে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে ইউরোপ

    ইন্ডিয়া থেকে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আপনারা ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমাতে পারবেন যেমন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ইন্ডিয়া তে অবস্থিত পড়াশোনার জন্য সুযোগ খুজছেন তাহলে আপনাকে প্রথম অবস্থায় খুঁজে বের করা লাগবে আপনি কোন প্রতিষ্ঠান পড়তে যাচ্ছেন এবং সেখান থেকে একটি ইনভেটেশন লেটার যদি পেয়ে যান। তারপরেই আপনি ইন্ডিয়াতে অবস্থিত দূতাবাস থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারবেন পড়াশোনার জন্য


    তবে এ ক্ষেত্রে সাধারণত যে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো চাওয়া হয় তাহলে আপনার পড়াশুনা কতদূর পর্যন্ত করেছেন এবং আইএলটিএস করেছেন কিনা এ সমস্ত সনদপত্র লেগে থাকে পাশাপাশি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট চাওয়া হয় এবং আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক একটি চিঠি তৈরি করা লাগে আনুষঙ্গিক তৈরি করে যদি আপনি দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করেন ইউরোপে যাওয়ার জন্য তাহলে ইউরোপে যাওয়া সম্ভব।


    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপে কাজের ভিসা

    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গুলোতে কাজের ভিসা পাওয়া সম্ভব তবে এক্ষেত্রে আপনাদেরকে একটু বেশি খরচ করা লাগতে পারে যেমন ইন্ডিয়া থেকে ইতালি ভিসা পাবেন, ইউরোপ, রোমানিয়া, পোল্যান্ড বিভিন্ন দেশের ভিসা আপনারা পাবেন তবে এক্ষেত্রে আমরা যে সমস্ত দেশগুলোর কথা উল্লেখ করেছে এই সমস্ত দেশগুলোতে ভিসা পাওয়া সহজ।

    নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া সহ অন্যান্য যেতে চান তাহলে কিন্তু আপনাদের খরচ বহন করা লাগবে তাছাড়া তাদের বহুৎ রিকোয়ারমেন্ট আছে এসমস্ত পূরণ করতে গেলে আপনাকে অনেক সময় দেওয়া লাগবে এবং অনেক একটি লং প্রসেস হয়ে যাবে।


    আরো পড়ুন: ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে


    তবে নরমালি যদি আপনার কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আমরা উপরোক্ত যে দেশগুলোর কথা বলেছি এই সমস্ত দেশগুলোতে আপনারা অনায়াসেই কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে খরচ কত পড়বে এটাই কিন্তু এখন মূল বিষয় । নরমালি এখন বাংলাদেশ থেকেও কিন্তু ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কাজের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে যেমন ইতালি ফ্রান্স সহ অন্যান্য দেশের ভিসা আপনারা পাবেন।


    ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপের ভিসার দাম কত

    ইন্ডিয়া থেকে যদি আপনি ইউরোপের ভিসা নিতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় আগে জানতে হবে আপনি কোন ভিসা নিবেন স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যদি নিতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোন উল্লেখ করা নেই কেননা আপনি কোন দেশে যাবেন যদি আপনি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ইতালি ফ্রান্স সমস্ত দেশগুলোতে করতে চান তা হলে খরচ আনুষাঙ্গিক বিমান ভাড়া এবং স্টুডেন্ট ভিসা ফি কত প্যাকেজের মাধ্যমে নির্ধারিত থাকে।


    তবে যদি আপনি কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের কান্ট্রি গুলো তে প্রবেশ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে মিনিমাম 8 থেকে 10 লক্ষ টাকা খরচ করা লাগবে সেই সাথে আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ রয়েছে যেমন আপনি বাংলাদেশ থেকে যখন ইউরোপে যাওয়ার জন্য ইন্ডিয়াতে যাতায়াত করবেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার একটা খরচের ব্যাপার আছে সেই সাথে আপনার অন্যান্য কাগজ পাতি সংগ্রহ করার জন্য এবং আইএলটিএস করার জন্য কিন্তু খরচ পাতি ধরা হয়ে থাকে।


    আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ


    তাছাড়া ট্রাভেল করার জন্য নির্ধারিত কোন প্যাকেজ অনুযায়ী তা হয়ে থাকে তবে অবশ্যই এটা জেনে রাখবে যে ট্রাভেল করার জন্য আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় দেখভাল করা হয় সেই সাথে আপনি অন্য কোন দেশে ভ্রমণ করেছেন কিনা সেই বিষয়টিও তারা দেখে থাকে তাই অবশ্যই এ সমস্ত কাগজপত্র আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখবেন।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন