দুবাই থেকে মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত

    দুবাই থেকে মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    দুবাই থেকে মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আজকে আমরা এ কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করব। তাছাড়াও আমরা আলোচনা করব। দুবাই থেকে মাল্টা যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে এবং কাজের ভিসা নিয়ে দুবাই থেকে কিভাবে যেতে পারবেন। এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এখানে আলোচনার করব। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক দুবাই থেকে মালদা যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত।

    বর্তমানে দুবাই থেকে মাল্টা যাওয়া অনেকটাই সহজ একটি ব্যাপার। কেননা বর্তমানে দুবাই থেকে ইউরোপ সহ বিভিন্ন কান্ট্রিতে খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে সেই হিসাবে মাল্টা যেতে পারবেন খুব সহজে। তবে এক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট আছে সে রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে দুবাই থেকে মাল্টার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং সে রিকোয়ারমেন্ট গুলো যদি আপনি না পূরণ করতে পারেন তাহলে কিন্তু মাল্টার ভিসা রাশা আপনাকে ছেড়ে দিতে হবে।

    দুবাই থেকে মাল্টা কেন যাবেন

    বর্তমানে মাল্টাতে কাজের সুযোগ সুবিধা একটু বেশি তাই সেই তুলনায় দুবাই থেকে অনেকেই সেখানে পাড়ি জমাচ্ছে। পাশাপাশি মাল্টা থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্যও সাধারোনত মাল্টাতে মানুষ কাজের ভিসা নিয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে অবস্থান করছে দীর্ঘদিন যাবৎ পরবর্তীতে সুরমায় সুযোগ অনুযায়ী ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গুলোতে ঢুকার চেষ্টা করছে এই দেশের মাধ্যমে। তাই চাইলে যে কেউ মাল্টার ভিসা নিয়ে সেখানে কাজ করতেও পারে অথবা সেখান থেকে অন্যান্য রাষ্ট্রের ঢুকতে পারে।

    তবে মাল্টাই যাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সে রিকোয়ারমেন্ট গুলো তৈরি করার পরেই আপনি মাল্টার ভিসা করতে পারবেন। অনেকেই বাংলাদেশ থেকে মালদা যাওয়ার চেষ্টা করে সে ক্ষেত্রে অনেকটাই কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় তবে কেউ যদি দুবাই থেকে যেতে চাই তাহলে তার থেকে অনেকটাই সহজ হবে এবং কাজ পাওয়ার সুযোগ সুবিধাও তৈরি হবে আপনাকে সেখানে স্থায়ী হতে পারলেই আপনি অন্যান্য দেশে ঢোকার চেষ্টা করতে পারবেন।

    দুবাই থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায়

    দুবাই থেকে মালদা যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুবাইয়ে যেকোনো মূল্যে সেখানে অবস্থান করতে হবে এক বছরের মতো। সেখানে এক বছর থাকার পরেই আপনাকে ভালো একটি এজেন্সির মাধ্যমে অথবা আপনি মাল্টা দূতাবাস এর মাধ্যমে খুব সহজেই মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনার কাজের একটি সার্টিফিকেট থাকা প্রয়োজন।

    দুবাইয়ে আপনাকে যেকোন মূল্যে প্রবেশ করার পরে সেখানে এক বছর অবস্থান করা লাগবে। যদি আপনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সেখানে পাড়ি জমান তাহলে আপনাকে কাজের ভিসায় কনভার্ট করে নিয়ে সেখানে দুই বছর মেয়াদ করে নিতে হবে তারপরে আপনি এক বছর সেখানে অবস্থান করবেন। এক বছর অবস্থান করার পরেই আপনি অন্যান্য দেশের ভিসার জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তখন আপনি মাল্টার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

    রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?   সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?

    দুবাই থেকে মাল্টা কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন

    আপনি যদি দুবাই থেকে মাল্টার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে মাল্টার দূতাবাসে যোগাযোগ করে আপনাকে আবেদন করতে হবে অথবা আপনাকে বড় কোন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে মাল্টার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনি আবেদন করতে হলে অনলাইনের মাধ্যমে দেখে নিতে হবে যে বর্তমানে মাল্টার কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং সেই অনুযায়ী আপনাকে একটি কাজের সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে হবে দুবাই থেকে।

    দুবাইতে যখন আপনি বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত থাকবেন আপনি চেষ্টা করবেন সেই কাজের একটি প্রমাণ তৈরি করে নিতে আপনার কফিলের কাছ থেকে একটি সার্টিফিকেট তৈরি করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে নিবেন সেটা যেভাবেই হোক যদি সামান্য পরিমাণ কিছু টাকাও লাগে তাহলে আপনার এই কাজের সার্টিফিকেট টা তৈরি করে নেওয়া উচিত। এতে করে মারা যাওয়ার পরে আপনার কাজ পাওয়ার সুযোগ সুবিধা বেড়ে যাবে এবং ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

    বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?

    এবং একবার যদি আপনি মাল্টাই কোনরকম ঢুকতে পারেন তাহলে আপনি সেখান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গুলোতে জানতে পারবেন অথবা সেখানে বিভিন্ন ধরনের বিজনেস সহ কাজ কর্মে নিয়োজিত থাকতে পারবেন। চেষ্টা করবেন যে কোন মূল্যে মাল্টায় যাওয়ার জন্য আপনার দুবাই থেকে একটি কাজের সার্টিফিকেট তৈরি কোরে নেওয়া। আপনার পরিচিত কারো মাধ্যম হলেও এই কাজটি করে নিতেই হবে তাহলে আপনার ভিসা পাওয়া সহজ হবে।

    মাল্টা যাওয়ার জন্য দক্ষতা

    মাল্টা যাওয়ার জন্য অবশ্যই দক্ষতা প্রয়োজন তা না হলে আপনি মাল্টা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন না। কারণ অন্যান্য দেশের মতো মাল্টাতে যাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সে রিকোয়ারমেন্ট গুলো পূরণ করা লাগবে। যেমন অবশ্যই কাজের দক্ষতা থাকতে হবে মাল্টা দেওয়ার জন্য তাহলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায় আপনি যদি কাজ ছাড়া যেতে চান তাহলে কিন্তু মাল্টার ভিসা পাওয়া যাবেনা।

    তাই বর্তমানে আপনি দুবাইয়ে থাকা অবস্থায় যে কোনো মূল্যে একটি কাজের সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে হবে এবং পাশাপাশি আরও প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো আমরা নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরবো। আপাতত আপনাকে অবশ্যই ভিসার জন্য একটি কাজের দক্ষতা জরুরী।

    কানাডা জব ভিসা 2022  | কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    দুবাই থেকে মাল্টা কাজের ভিসার জন্য আবেদন

    মাল্টায় কাজের ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে পারবেন একটা হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে অথবা বাংলাদেশসহ ইন্ডিয়ার কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে সে সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আপনারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া সরাসরি যদি আপনি দুবাই অবস্থিত মাল্টা দূতাবাসেও আপনারা যোগাযোগ করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কয়েকটি রিকোয়ারমেন্ট বাধ্যতামূলক সেইসাথে আপনার সময় বেশি লাগবে।

    নিজে কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে যাওয়াটা অনেক তাড়াতাড়ি হয় এবং অনেক শর্ট প্রসেস এর মধ্যেই আপনি যেতে পারবেন এক্ষেত্রে তেমন আপনার কাছে কঠিন কোনো ব্যাপার হবে না কারণ তাদের হাতে কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনেক থাকে এজন্য আপনার সুযোগ সুবিধা বেশি করে দিতে পারবে তারা।

    তাই যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা গুলি যাচাই-বাছাই করে নিবেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করতে যাবেন এবং কিছু ট্রাস্টেড কোম্পানি রয়েছে সে সমস্ত কোম্পানির আন্ডারে মাল্টা যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। এখানে সম্পূর্ণভাবে দালালের মাধ্যমে চলা উচিত এবং অবৈধ পথে না যাওয়াই ভালো কারণ অবৈধ পথে গেলে আপনার টাকা মেরে দেয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং আপনার লাইফের একটা রিস্ক হয়ে যায়।

    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে  | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ

    দুবাই থেকে মাল্টাতে যেতে কত টাকা খরচ কত

    দুবাই থেকে মালদা যাওয়ার জন্য ছয় লাখ টাকা খরচ হবে এক্ষেত্রে বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাগজের ধরন যে সমস্ত টাকা পয়সা লাগবে তার উপরে 6 লাখ টাকার মধ্যেই সম্ভব। তবে এজেন্সি অনুযায়ী খরচ কিন্তু কমবেশি হতে পারে তাই অবশ্যই কয়েকটি এজেন্সি ঘুরে চেষ্টা করবেন কোন এজেন্সিগুলো কম খরচে ভালো সার্ভিস দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে যাবার চেষ্টা করবেন। এবং তাদের পূর্ববর্তী যারা গিয়েছে তাদের অবস্থা বর্তমানে কি এবং তাদের কি কি কাজ করা লাগে এই বিষয়টি ভালোমতো নিশ্চিত হয়ে নিবেন।

    মাল্টা যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    দুবাই থেকে মালদা যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে সমস্ত কাগজপত্র দিয়ে দূতাবাস থেকে আপনাকে স্বাক্ষর করে নিতে হবে পাশাপাশি আপনি যেই কোম্পানির মাধ্যমে যাচ্ছেন সেই কম্পানিতে জমা দিতে হবে অথবা আপনি যদি এম্বাসির মাধ্যমে যান তাহলে সে এম্বাসি অনুযায়ী আপনাকে কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে। তাহলে চলুন কি কি কাগজপত্র লাগে সেগুলো দেখে নিন।

    • 6 মাস মেয়াদের একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট

    • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

    • বর্তমানে যে কাজে নিয়োজিত আছেন তার প্রমাণ

    • ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের পপি

    • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

    • পূর্বে কোথাও ভ্রমন করেছেন তার প্রমাণ

    • অল কাগজপত্রগুলো মাল্টা এম্বাসি হতে সত্যায়িত

    এই উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো নিয়ে আপনাকে মাল্টা ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে করেন তাও এ সমস্ত কাগজপত্র লাগবে। পাশাপাশি সব থেকে মূল্যবান হল আপনি যদি বর্তমানে কাজে নিয়োজিত থাকেন তাহলে সেই তার একটি কপি অবশ্যই তৈরি করে নিবেন এক্ষেত্রে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে বেশি থাকবে তাই অবশ্যই এটি চেষ্টা করবেন যে কোন মূল্যে তৈরি করে নিতে।

    বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন

    মাল্টাতে কি কি কাজ করতে পারবেন

    দুবাই থেকে মাল্টাতে অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে তাই বর্তমানে দুবাই থেকে মাল্টাই অনেকেই চলে যাচ্ছে এবং মাল্টা থেকে আবার অন্যান্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে তাই চাইলে আপনি দুবাই থেকে মাল্টাতে কাজ করতে পারবেন যেমন বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কাজ চলছে হোটেল এবং রিসোর্ট, কৃষি, ফ্যাক্টরি, গার্মেন্টস, গবাদি পশু পালন, ক্লিনার এই সমস্ত বিষয়ে বর্তমানে কাজ চলছে এবং সেগুলো আপনারা কাজ করতে পারবেন তবে সেখানে গিয়েও যদি আপনি অন্যান্য দেশের ভিসা প্রসেস করতে চান। তাহলেও আপনাকে একটি কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে তারপরে আপনি অন্যান্য দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন