বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রিয়া বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে অথবা বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সে দেশে গিয়ে থাকে থাকে। বিজনেস এর উদ্দেশ্যে অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অথবা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব অস্ট্রিয়াতে যেতে কত টাকা লাগে এবং যাওয়ার উপায় নিয়ে। তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক অস্ট্রিয়াতে কিকি মাধ্যমে যাওয়া যায় এবং কত টাকা খরচ হয়।
অস্ট্রিয়াতে বাংলাদেশ থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকেই যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়া যায়। অথবা অস্ট্রিয়াতে বাংলাদেশ থেকে ভিসা জটিলতা যদি থেকে থাকে তাহলে দিল্লি এম্বাসির মাধ্যমে অথবা লিবিয়ার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই অস্ট্রিয়াতে যেতে পারবেন। অস্ট্রিয়াতে যেতে হলে আপনাকে কয়েকটি মাধ্যম ব্যবহার করা লাগতে পারে সে বিষয়টা নিয়ে তুলে ধরছি।
অস্ট্রিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রিয়াতে যাওয়ার জন্য কয়েকটি উপায় রয়েছে যেগুলো হলো গাড়ি, ট্রেন, প্লেন, এবং বাস তবে সে ক্ষেত্রে আপনাদের কে ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যম দিয়ে যেতে হতে পারে। অস্ট্রিয়াতে যাওয়ার সবথেকে সহজ মাধ্যম হলো গাড়ি চালিয়ে যাওয়া এবং প্লেনে যাওয়া। সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে $350 - 1,000 এবং সময় লাগবে 12 ঘন্টা 23 মিনিটের মত। এবং ট্রেনে যাওয়ার জন্য খরচ হবে 270 থেকে শুরু করে বারোশো ডলার পর্যন্ত লাগতে পারে।
তবে সব থেকে সহজ এবং সস্তা মাধ্যম হলো প্লেনের মাধ্যমে যাওয়া। প্লেনের মাধ্যমে যেতে হলে অবশ্যই আপনার একটিভেট পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে হবে এবং টুরিস্ট ভিসা বা অন্যান্য বিশাল মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই অস্ট্রিয়াতে যেতে পারবেন। একটি সুন্দর এবং শান্তিপ্রিয় একটি দেশ সেখানে টুর ট্রাভেল করার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকেই সেখানে পাড়ি জমিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকেও এবং অন্যান্য দেশ থেকেও সেখানে কাজের জন্য প্রতিনিয়ত মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
অস্ট্রিয়া যাওয়ার উপায়
অস্ট্রিয়াতে জামাত তিনটি উপায় রয়েছে। এই তিনটি উপায়ে ব্যবহার করে আপনি অস্ট্রিয়াতে যেতে পারবেন এবং সেখানে যাওয়ার জন্য অবশ্যই একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট অবশ্যই থাকতে হবে। বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি যেতে চান তাহলে দিল্লি আম্বাসেড মাধ্যমেই যাওয়া লাগতে পারে তাছাড়াও বর্তমানে আপনি বাংলাদেশ থেকেও অস্ট্রিয়াতে যেতে পারবেন। তাহলে চলুন তিনটি উপায়ে কিভাবে যাওয়া যায় অস্ট্রিয়াতে সেই বিষয়টা নিয়ে তুলে ধরি।
- টুরিস্ট ভিসার
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসার
মধ্যপ্রাচ্য থেকে অস্ট্রিয়া যাওয়ার উপায়
সৌদি আরব বা অন্যান্য কান্ট্রি থেকে যদি আপনি অস্ট্রিয়াতে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে সে ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়াতে টুরিস্ট ভিসা নিতে হলে নব্বই দিন বা তিন মাস বৈধ ভিসা দিয়ে থাকে টুরিস্ট ভিসার জন্য। 90 দিনের মধ্যে আপনি যাওয়ার পরে অস্ট্রিয়াতে বিভিন্ন ওয়ার্ক ভিসার জন্য বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করতে হবে আবেদন করার পরে যদি তারা আপনাকে ভিসা দিতে রাজি হয় সে ক্ষেত্রে আপনি পরবর্তিতে আবার ফেরত আসার পরে আপনি অস্ট্রিয়াতে আবার যেতে পারবেন ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে।
সৌদি আরব থেকে অস্ট্রিয়া যাওয়ার উপায়
সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরাসরি অস্ট্রিয়াতে যাওয়ার কোন উপায় নাই সেক্ষেত্রে আপনাকে পোল্যান্ডে যাতে হবে প্রথমে পোল্যান্ড থেকে আপনি টুরিস্ট ভিসা ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে খুব সহজেই অস্ট্রিয়াতে যেতে পারবেন এবং গিয়ে সেখানে কাজ করতে পারবেন বা অন্যান্য বিজনেস পরিচালনা করতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনি সৌদি আরব দুবাই মালয়েশিয়া এসব মাধ্যম দিয়ে গেলে অস্ট্রিয়াতে সরাসরি আপনি যেতে পারবেন না।
অস্ট্রিয়াতে যাওয়ার আগে সর্তকতা
আপনি যদি বৈধভাবে অস্ট্রিয়াতে যান সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু কিছু বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আর সেই বিষয় নিয়ে আমরা পর্যায়ক্রমে নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি। চলুন দেখে নেওয়া যাক যাওয়ার আগে কিছু সতর্কতাঃ
- তিনটি উপায়ে ছাড়া অন্য কোন উপায়ে অস্ট্রিয়া যাবেন না
- কাউকে টাকা দিয়ে কোন কাজ করাতে অবশ্যই যাবেন না
- অস্ট্রিয়াতে যাবার জন্য যদি অন্য কোন দেশে যাওয়ার সুযোগ পান চলে যাবেন
- অন্য কোন দেশে যদি পড়ালেখার সুযোগ পান চলে যাবেন
- আবার যেখানে আপনি চাকরি পেয়ে যাবেন অন্য কোন দেশে চলে গেলেন
এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে আপনি অস্ট্রিয়াতে যেতে পারবেন। মনে রাখবেন অবৈধ উপায়ে কখনোই অস্ট্রিয়াতে যাবেন না বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী অস্ট্রিয়াতে অবৈধভাবে যাওয়ার কারণে 6 মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে তাই বৈধভাবে পাসপোর্ট এর মাধ্যমে অথবা টুরিস্ট ভিসা বা অন্যান্য ভাষার মাধ্যমে অস্ট্রিয়াতে যাবেন।
অস্ট্রিয়াতে যাবার পর কি করতে পারবেন
আপনি যদি উপরের দেওয়া এই কয়েকটি উপায় মাধ্যমে যদি অস্ট্রিয়াতে যেতে পারবেন তাহলে চলে যাবেন যাওয়ার পরে তাদের গভমেন্ট জব ওয়েবসাইটগুলোতে আপনারা কিসের মাধ্যমে জবের জন্য এপ্লিকেশন করতে পারবেন অস্ট্রিয়াতে কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই জবের জন্য। যে কেউ এই সমস্ত জবের জন্য এপ্লিকেশন করতে পারবে। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে থাকেন তাও আপনি জবের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন অথবা জব করতে পারবেন।
টুরিস্ট ভিসাতে অস্ট্রিয়া যাওয়ার পর
টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রিয়াতে যাওয়ার পরে আপনি যেকোনো কাজেই এনভেলোপ হতে পারবেন তবে যদি আপনি টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার পর পার্মানেন্ট হওয়ার চিন্তা ভাবনা করতে চান তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি পার্মানেন্ট জব খুঁজে নিতে হবে পার্মানেন্ট জব খুঁজে নেওয়ার পরে কোম্পানির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ওয়ার্ক ভিসা পেয়ে যাবেন এবং ওয়ার্ক ভিসা থাকা অবস্থায় যদি আপনি 3 বছর থেকে 6 বছরের মধ্যেই আপনি স্থায়ী হওয়ার জন্য বিভিন্ন দালাল এর মাধ্যমে স্থায়ী হতে পারবেন।
অস্ট্রিয়াতে কিভাবে স্থায়ী হবেন
অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ট্রিয়াতে পাড়ি জমান সেক্ষেত্রে আপনাকে কাজের জন্য অথবা অস্থায়ী হওয়ার জন্য অনেকের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দালালেরা চেয়ে থাকে সেই হিসাবে স্থায়ী হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু মাধ্যম অবলম্বন করা লাগতে পারে। তবে মনে রাখবেন টাকা দিয়ে দালাল ধরে কাজ করানো এটি একটি সম্পূর্ণ অবৈধ কাজ। এতে করে আপনার প্রচুর সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং আপনার জন্য কাজ না হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে। সেই সাথে আপনার সময় এবং টাকা দুটোই নষ্ট হতে পারে।
তাই সব থেকে নিরাপদ উপায় হল একটি ফুলটাইম বা পার্ট টাইম জব খুঁজে নেওয়া এ জব এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বৈধ উপায়ে স্থায়ী হতে পারবেন এটাতে অবশ্য কোন টাকা লাগবে না শুধুমাত্র একটি চাকরি জোগাড় করতে পারলে আপনি মাসে মাসে ইনকাম করতে পারবেন এভাবে আপনি যদি তিন থেকে ছয় বছর পার করতে পারেন তাহলে অস্ট্রেলিয়াতে পার্মানেন্ট হওয়ার জন্য আপনার একটি রেকর্ড তৈরি হবে।
অস্ট্রিয়া পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি পাওয়ার উপায়
পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি কার্ড পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অস্ট্রিয়ান নাগরিক হতে হবে। টেম্পোরারি রেসিডেন্সি কার্ড পাবার পর থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নিয়ম অনুসারেই দেশে 5 7 8 10 বছর পর্যন্ত থাকতে হবে। তারপরে আপনি রেসিডেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন তার আগে আপনি রেসিডেন্সি কার্ড হাতে পাবেন না।
কিভাবে অস্ট্রিয়াতে বৈধ হবেন
অস্ট্রিয়াতে অবৈধ ভাবে যদি আপনি পেয়ে থাকেন তাহলে কি করবেন। প্রথম কথা হল অবৈধভাবে কোন দেশে যাওয়া উচিত না সেক্ষেত্রে আপনার লাইফে রিক্স থাকে এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় সেই সাথে আপনার জেল এবং জরিমানা হতে পারে তাই আর যাই হোক কোনোভাবেই কোনো দেশেই কখনো অবৈধ উপায়ে যাবেন না। তবে কীভাবে অস্ট্রিয়াতে বৈধ হবেন সে বিষয়ে নিচে তুলে ধরা হলো।
প্রথমে আপনাকে অস্ট্রিয়ার শরণার্থী শিবিরে যেতে হবে এবং শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার পরে আপনার সমস্যার কথাটা তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে হবে। তারপরে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি ফর্ম দেওয়া হবে সেই ফরমটি পূরণ করতে হবে এবং আপনার কি সমস্যার কারনে আপনি দেশে ফিরতে পারছেন না সেই বিষয়টি সেখানে ক্লিয়ার করতে হবে। তারপর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট রিজিয়ন দেখাতে হবে কারণ দেখাতে হবে যেমন হতে পারে রাজনীতি বা ধর্মীয় কোনো জটিল সমস্যার কারণে আপনি দেশে ফিরতে পারছেন না।
আপনার এই সমস্ত সমস্যা জানার পরে শরণার্থী শিবির থেকে আপনার কাগজপত্র ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং দেখবে তারপর শরণার্থী শিবির আপনার জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা তারা করে দিবে। শরণার্থী শিবিরে আপনাকে মোটামুটি তিন বছর পর্যন্ত থাকতে পারে তারপরে আপনি টেম্পরারি রেসিডেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং টেম্পরারি রেসিডেন্স পাওয়ার 5 থেকে 8 বছর পরে আপনি অস্ট্রিয়ার রেসিডেন্সি কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আমরা এখানে দেশ বিদেশ নিয়ে বিভিন্ন এবং বিভিন্ন দেশে যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত অন্যান্য কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরেছিল আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন