কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার | কিডনির দাম কত | কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ

    কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার | কিডনির দাম কত | কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ

    কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

    আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ কিডনি। আমাদের প্রত্যেকের শরীরে দুইটা কিডনি রয়েছে। একটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য একটি কিডনি যথেষ্ট। আমরা অনেক সময়ই কিডনি সমস্যায় পড়ে থাকি। ইদানিং সময়ে লক্ষ্য করা যায় কিডনি সমস্যা অনেক বেশি। কিডনির রোগের কারণে অনেকেই মারা যায়। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে।


    কিডনি রোগের লক্ষণগুলো স্বাভাবিকভাবে আগে বোঝা যায় না। রোগটি যখন শরীরের প্রায় 70 ভাগ এ পৌঁছে যায় তখন রোগটি সম্পর্কে বুঝা যায়। কিডনি রোগের লক্ষণগুলো এমত অবস্থায় খাওয়ার রুচি কমে যায়। বমি বমি ভাব হয় এবং মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠলে চোখ মুখ অতিরিক্ত বেশি ফোলা দেখা যায়। কিডনি রোগের কারণে মানুষের শরীরে আস্তে আস্তে রক্ত শূন্যতার সৃষ্টি হয়।


    যার কারণে গায়ের রং স্বাভাবিক থাকে না একটু হলুদ এর মত হয়ে আসে বা ফ্যাকাশে। কিডনি সমস্যার কারণে শরীর কারণে বারবার চুলকাবে এবং অনেক ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হয়। কিডনি রোগের কারণে কখনও কখনও উচ্চরক্তচাপ ও দেখা যেতে পারে। মূলত এগুলোই ছিল কিডনি রোগের লক্ষণ। আশা করি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

    কিডনি ভালো রাখার উপায়

    আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ কিডনি। আমাদের সবার অনেক বেশি জরুরি কিডনি ভালো রাখার। কিডনির সমস্যা হলে আমাদের মৃত্যু হয়ে যায়। আমাদের প্রত্যেকের শরীরের দুইটি কিডনি রয়েছে। আমরা আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে।



    কিডনি ভালো রাখতে হলে আমাদের অনেক কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকা পরিবর্তন করতে হবে। যেমন, খাবারের তালিকায় চর্বিজাতীয় খাবার কমিয়ে দিতে হবে। আমরা এখন শাকসবজি খাওয়া প্রায় বাদ দিয়ে দিয়েছি বললেই চলে। কিন্তু আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না অনেকেই জানেননা সবজি আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী একটি খাবার। সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে তাহলে কিডনি ভালো থাকবে।


    ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল | ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা


    কিডনি ভালো রাখতে হলে আমাদের খাবার লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। আমাদের রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আমরা অনেক সময় রক্তচাপকে পাত্তা দিতে চাইনা কিন্তু এর কারণে আমাদের কিডনিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা সকলেই জানি আমাদের শরীরের জন্য ধূমপান ক্ষতিকর যাক কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কিন্তু আমরা তবুও ধূমপান করে থাকি। অনেক রকমের ওষুধ রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের কিডনিতে প্রভাব ফেলতে পারে সুতরাং যে কোন ওষুধ খাবার এর পূর্বে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা আমাদের জরুরি।


    কিডনি কত পয়েন্ট

    আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা কিডনি কত পয়েন্ট। কিন্তু আমরা সকলেই জানি কিডনি আমাদের শরীরের একটি প্রধান অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি। সুতরাং আমাদের সবার কিডনি সম্পর্কে জানা উচিত। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কিডনি কত পয়েন্ট এ সম্পর্কে বিস্তারিত।



    নরমালি 1.2 ধরা হয়ে থাকে ল্যাবরেটরির রেফারেন্স দেখা যায় তাই 1.3 অথবা 5 এমন। ক্রিয়েটিন যদি নরমাল থাকে তাহলে এটি আমাদের শরীরের জন্য ভালো কিন্তু যদি বেশি হয় তাহলে আমাদের শরীরে কিডনি 50 ভাগ কাজ করে আর 50 ভাগ কাজ করে না।


    কিডনি রোগীর খাবার

    যারা কিডনি সমস্যায় রয়েছেন তাদের জানা জরুরি কিডনি রোগের খাবার এর সম্পর্কে। আমরা যারা সুস্থ রয়েছে তাদের ও জানা জরুরী কিডনি রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত এবং কিডনি রোগীর খাবার সম্পর্কে কেননা অনেক সময় আমাদের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আজকে এই সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।



    কিডনি রোগীদের খাবার নিয়মমাফিক খেতে হয়। কেননা যে কোন খাবার খাওয়া যাবে না। যে কোন খাবার খেলে রোগ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে। কিডনি রোগীরা যে সকল খাবার খেতে পারবে তা হল। ফুলকপি খেতে পারবে ও বাঁধাকপি এবং পালং শাক খেতে পারবে। কিডনি রোগীরা কচু, মুলা, শাক খেতে পারবেন। কিডনি রোগীরা গাজর, কাঁঠালের বিচি, শিমের বিচি, আরো অনেক কিছু খেতে পারবেন। এক কথায় শাকসবজি খাওয়া কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী।


    ধর্ষণের পরীক্ষা কিভাবে করা হয় | ধর্ষণের আলামত কতদিন থাকে


    কিডনি রোগীরা মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি শর্করা জাতীয় খাবার সীমিত পরিমাণে খেতে পারবেন এবং নিয়ম মাফিক খেতে হবে। কিডনি রোগীদের জন্য ডাব, কলা, আঙ্গুর এগুলো খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিডনি রোগীদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাই আপনি যদি ডাব কলা আঙ্গুর খান তাহলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। কেননা এগুলাতে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এসকল খাবারগুলো কিডনি রোগীরা খেলে কোন সমস্যা হবে না। আশাকরি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি ইনশাআল্লাহ।


    কিডনি সমস্যার লক্ষণ

    কিডনির সমস্যা হলে আমরা যে সকল অক্ষর গুলো দেখে বুঝতে পারি যে কিডনির সমস্যা রয়েছে তার সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।


    আমাদের শরীরে সামান্য কিছু হলে আমরা ঠিক থাকতে পারি না। কিডনির মত বড় সমস্যা হলে আমরা মারা যেয়ে থাকি। আমাদের সকলের উচিত কিডনি সম্পর্কে জানা এবং কিডনির যত্ন নেওয়া। যত্ন নেওয়া বলতে বুঝাতে চাচ্ছি যে সকল খাবার খেলে কিডনি ভালো থাকে এবং যে সকল খাবার খেলে কিডনির ক্ষতি হয় সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখা।


    ঘরোয়া উপায়ে নাইট ক্রিম তৈরি


    কিডনির সমস্যা হলে আমাদের ঘন ঘন প্রসাব হয়। তারপরে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। আমাদের শরীর ফ্যাকাসে হয়ে আসে। আমাদের ক্ষুধা কমে যায়। কিডনির সমস্যা হলে আমাদের খিচুনির সমস্যা হতে পারে এবং মাংসপেশিতে টান লাগতে পারে। খাবারের রুচি হারিয়ে যায় এবং বমি বমি ভাব হয় মূলত এই গুলোই কিডনি রোগের লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো আমরা বাইরে থেকেই বুঝতে পারি।


    কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়

    আমরা তাই অনেকেই জানিনা কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করা প্রয়োজন। আজকে আমরা আপনাদেরকে সম্পর্কে জানাতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।



    ডায়ালাইসিস করার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনটি দিন নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে যেতে হয়। প্রতিদিন 4 ঘন্টা রক্ত পরিশোধন করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগী যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। সাধারণত কয়েকটি ডায়ালাইসিস এরপর কিডনি সমস্যা ভালো হয়ে যাই।


    ডায়ালাইসিস কি

    আমরা অনেকেই জানিনা ডায়ালিসিস কি। ডায়ালাইসিস এমন একটি পদ্ধতি যা বিকল্প পদ্ধতিতে রক্ত পরিষ্কার করা। ডায়ালাইসিস করার মাধ্যমে রক্তের দূষিত পদার্থ কে এবং অতিরিক্ত পানি খেয়ে শরীর থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের শরীরে কিডনির কাজ করো এমনিতেই করে থাকে কিন্তু যাদের কিডনিতে সমস্যা তাদের শরীরে এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে পরে না।



    তার জন্য তাদের ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন হয়। শুধু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন হয় না অনেক সময়ই যে কারণে শেষ করার প্রয়োজন হতে পারে। কিডনি আমাদের শরীরের খনিজ ও পানির ভারসাম্য বজায় রাখে। আমাদের শরীরে রক্ত কণিকা তৈরি করে এবং কিডনির ধারা আমাদের শরীর নিজে নিজেই ডায়ালাইসিস করে নেয়। যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন হয়।


    বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি


    কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ

    আমাদের যাদের শরীরে কিডনি সমস্যা রয়েছে তাদের জানা জরুরি কিডনি ইনফেকশন সম্পর্কে। কিডনি সমস্যা আমাদের শরীরের সবচেয়ে একটি বড় সমস্যা। কিডনি সমস্যার জন্য আমরা মারা যেয়ে থাকি। কিডনির সমস্যা হলে আমাদের প্রসব করার সময় জ্বালা ভাব বা রক্তপাত বা ব্যথা অনুভূত হয়। এ মনু পেতে হলে বুঝে নিতে হবে যে আমাদের ইনফেকশন রয়েছে। এমন সমস্যা গুলো যদি আমাদের কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের জ্বর হয় এবং পিঠে ব্যথা অনুভূত হয়। কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। কিডনি রোগ সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের কন্টেনড পুরোটা দেখুন। আশা করি সকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন।


    কিডনি কোথায় থাকে

    কিডনি কোথায় থাকে এটা হয়তো আমরা সকলেই জানি। কিডনি আমাদের শরীরের একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ সেটাও আমরা জানি। আমাদের শরীরে সাধারণত দুইটি কিডনি থাকে। কিডনির অবস্থান আমাদের শরীরের ঠিক পেটের ভিতর, পিঠের দিকে, মেরুদন্ডের দুই পাশে, কোমরের অংশে অবস্থিত থাকে। কিডনির আকার হয় প্রায়ই শিমের বীজ এর মত। প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কিডনি সাধারণত 10 সেন্টিমিটার লম্বা এবং পাঁচ সেন্টিমিটার চওড়া আর 4 সেন্টিমিটার মোটা হয়ে থাকে। এটাই ছিল কিডনি সম্পর্কে বিস্তারিত।


    কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার

    আমরা অনেকেই জানিনা কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার কোনগুলো বা কি কি। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে জানাবো কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার সম্পর্কে।



    আমরা খাওয়ার সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে শুধু খেয়ে যাই। কিন্তু আমাদের জানা জরুরী যে অতিরিক্ত খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। আমরা গরুর মাংস খেয়ে থাকি যেটা আমাদের শরীরের জন্য ভালো আবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া আমাদের কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করে যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। আমাদের কিডনির জন্য ক্ষতিকর চিপস, ফাস্টফুড, লবণ ইত্যাদি। আমাদের খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন রাখা যাবে না। অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির জন্য ক্ষতিকর। আমাদের শাকসবজি বেশি খেতে হবে এটি আমাদের কিডনির জন্য উপকারী।


    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে


    কিডনি পাথর গলায় কোন খাবারে

    আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কিডনি পাথর গলায় কোন খাবারে তা নিয়ে। যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। আমাদের দিনে অন্তত 7 থেকে 8 গ্লাস পানি খাওয়া প্রয়োজন। এতে কিডনির সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। আপেল খাওয়া আমাদের জন্য ভাল। আপেলের রস যদি গরম পানিতে 2 চামচ দিয়ে খাওয়া যায় তাহলে এটা আমাদের কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে।


    কিডনির দাম কত

    আমরা অনেকেই কিডনির দাম জানতে চাই। অনেক সময় আমাদের কিডনির প্রয়োজন হয়। কিডনির খোঁজ করে থাকি কিন্তু কিডনি কোথাও পাই নাই। তখন আমাদের কিডনি কেনা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। তাই আমাদের কিডনির দাম সম্পর্কে জানা জরুরী। আপনাদের সকলের জানা উচিত যে কালোবাজারে কিডনির চাহিদা সব থেকে বেশি। একটি মানুষের কিডনির দাম মোটামুটি 1 কোটি 30 লক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। যদি আপনি মৃত মানুষের কিডনির দাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে জেনে নিন। মৃত মানুষের কিডনির দাম হয়ে থাকে প্রায় 10 লক্ষ টাকার মতো।



    কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম | কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার নিয়ম

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন