ধর্ষণের পরীক্ষা কিভাবে করা হয় | ধর্ষণের আলামত কতদিন থাকে

    ধর্ষণের পরীক্ষা কিভাবে করা হয় | ধর্ষণের আলামত কতদিন থাকে


    বর্তমান সমাজে প্রতি নিয়ত মানুষ ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এ বিষয়টি প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের নিউজ গুলো অথবা পত্র পত্রিকা খুললেই এই খবর গুলো সামনে আসে। দুঃখের বিষয় হলো বর্তমান সময়ে এই বিষয়টা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে


    কেউ যদি ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে তাহলে অনেকটাই ভয়ের মধ্যে থাকে। ধর্ষণের শিকার হলে কিভাবে পদক্ষেপ নিবে। এবং ধর্ষণের পরীক্ষা কিভাবে হয়। ধর্ষণের শিকার হলে কি করতে হবে। ধর্ষণের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আজকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক

    ধর্ষণের পরীক্ষা কিভাবে করা হয়

    যদি কোন ব্যক্তি ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে তাহলে সে এলাকার নির্দিষ্ট থানাতে গিয়ে বিষয়টি জানাতে হবে। কান্না সেটা একটি পুলিশ কেইস এবং থানাতে গিয়ে আপনাকে জিডি করতে হবে। সেখান থেকে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে যাবে। সাথে ধর্ষণের শিকার সেই ব্যক্তির ছবি এবং স্বাক্ষর এর প্রয়োজন হয়


    ঢাকা মেডিকেল কলেজ বিভাগে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস নামক সেন্টার আছে। সেই জায়গায় ধর্ষণের পরীক্ষা হয়ে থাকে। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার। এবং সেই সেন্টারে ভিকটিমকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। যদি ভিকটিমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা অন্যান্য যেকোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তা হলে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবেই তা সেন্টারে দিয়ে থাকেন। এই বিষয়টি ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাক্তার জান্নাতুন নাঈম ভয়েস অফ আমেরিকা কে বলেছিলেন বিষয়টি


    তিনি বলেছিলেন ভিকটিম যদি ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে সেই আলামত নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। যদি ভিকটিমের সাথে কোন মিলন বা শারীরিক কোনো আঘাত সেটা পরীক্ষা করার জন্য ভিকটিমের যৌনাঙ্গ থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়ে থাকে


    যৌনাঙ্গের ভিতরে কোন শুক্রাণু আছে কিনা সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ফরেনসিকের স্পেশালিস্ট দাঁড়া পরীক্ষা করা হয়। এবং এই সমস্ত নমুনা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের পাঠানো হয়ে থাকে। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার থেকে নমুনা নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের ভিতর ডিএনএ সহ আরো অন্যান্য লেখা আছে সেখানে পাঠানো হয়ে থাকে। এবং ফরেনসিক বিভাগে থেকেই সেগুলো নিয়ে মালিবাগে সিআইডির অধীনে সেগুলো পাঠানো হয়ে থাকে


    বয়স নির্ধারণ করার জন্য হাড়ের এক্সরে করতে হয় সেটা রেডিওলজি বিভাগে পাঠানো হয়ে থাকে কারণ বয়সের সাথে দর্শনের একটি ব্যাপার হচ্ছে। ইকো মাইকোলজি বিভাগে পাঠানো হয় ভেজিনাল সোয়াপ আছে কিনা দেখার জন্য। এ সমস্ত রিপোর্টগুলো আসতে কমপক্ষে 10 থেকে 12 দিন বা এক মাস সময় লেগে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাগুলো করতে কোন খরচ লাগে না


    কেউ যদি ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে তাহলে ভিকটিমকে কাজটিতে রাখা হয়। এবং সে যদি তিন দিনের মধ্যে আসতে পারে তাহলে তারা আলামত সঠিকভাবে পাওয়া যায়। তার যৌনাঙ্গ হতে যদি কোন শুক্রাণু থেকে থাকে তাহলে সেটা কালেক্ট করা সম্ভব হয়। এছাড়া ভিকটিমের কাপড় সহ বিভিন্ন বিষয়ে দেখা হয় দর্শন হওয়ার সময় যে কাপড়ে এ যে কোন বিষয়ে লেগে থাকে সে আলামতগুলো পাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে


    যদিও আগে টু ফিঙ্গার বলে একটা পরীক্ষা ছিল সেই পরীক্ষাটি করা হতো। এখন সেটা হাই কোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে আগেই পরীক্ষা মহিলা ও পুরুষ ডাক্তার ও ভাই করতো। বর্তমানে 2 থেকে 3 বছর যাবৎ শুধু মহিলা ডাক্তার গনের পরীক্ষাগুলো করছে


    যদি পরীক্ষা করা খুবই জরুরী কারণ ভিকটিমের মানহানির কথা চিন্তা করে এগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ভিকটিমের মেয়ে ধর্ষণের শিকার তারপরে ডাক্তাররা বল যৌনাঙ্গের ভিতরে পরীক্ষা করে থাকে এ বিষয়টি একটু অন্যরকম ভাবে দেখা হতো। জনম গেলো তার অন্য কোনো বিষয়বস্তু গিয়েছি কিনা সেটা দেখার জন্য এই পরীক্ষাগুলো করা হয়ে থাকে


    ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ছয় জন ডাক্তার থাকে এবং ফরেনসিক বিভাগে মোট তিনজন ডাক্তার থাকে। সেইসাথে সহকারি থাকে দুইজন এবং সব মহিলা ডাক্তার এগুলো। বর্তমানে করণা মহামারীর জন্য মৃত্যুর সংখ্যা কম আসছেমাসে 200 থেকে 300 সমীর শিখার ব্যাক্তি এখানে এসে থাকেন। 15 থেকে 38 বছর মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে


    বর্তমান সময়ে খুব ছোট শিশুরাও এর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত যেমন তিন থেকে চার বছরের বাচ্চা অথবা 8 থেকে 10 বছরের বাচ্চা গুলো ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের পরীক্ষাগুলো খুব সাবধানের সাথে করা হয়ে থাকে। অনেক সময় বাচ্চারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং অসুস্থ হয়ে যায়। তাই বাচ্চাদের অনেক বুঝিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে তথ্য বের করার চেষ্টা করে বর্তমানে অনেক পুরুষ ধর্ষণের এইচএস নিয়ে প্রতিনিয়ত আসছে


    ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রতিনিয়ত 10 থেকে 12 জন ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি এসে থাকেন। যে পরিমান ভিকটিম ফরেনসিক কে আসে সেই মোতাবেক ডাক্তার এখানে অবশিষ্ট নেই। রীতিমত এই কয়েকজন ডাক্তার হিমশিম খেয়ে যায়


    বছরের 365 দিনই এই ফরেনসিক বিভাগের জন্য সর্বদা খোলা থাকে যে কেউ যেকোনো মুহূর্তে থানার মাধ্যমে জিডি করে খুব সহজে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে পারবে। তবে ডাক্তারের জান্নাতুল নাঈম তিনি বলেন ফরেনসিক বিভাগের ভিকটিমের জন্য আরো ডাক্তার প্রয়োজন এই বিভাগে আরও ডাক্তার নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরেছেন


    ধর্ষণের আলামত কতদিন থাকে

    ধর্ষণের আলামত সাধারণত 3 দিন পর্যন্ত ভালোমতো সংগ্রহ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে যদি দেরি হয় তবে প্রবলেম নাই। ধর্ষণের শিকার হওয়া মাত্রই থানার জিডি করে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আলামতগুলো জমা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির পোশাক সহ সমস্ত আলামত আছে সেগুলো দিতে হবে


    এবং ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিকে তার যৌনাঙ্গের শুক্রাণু আছে কিনা সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এবং তার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিভাগের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের পাঠানো হয়। আর এই পরীক্ষাগুলো করতে সাধারণত দশ থেকে বারো দিন এক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়


    ধর্ষণের খবর

    বর্তমান সময়ে পত্রিকা খুললেই ধর্ষণের নিউজ সামনে আসে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইন্ডিয়া বাংলাদেশ সহ বিশ্বের যেকোন প্রান্তে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। তাই বর্তমানে মানুষকে সচেতন হতে হবে তা না হলে এর শিকার আমাদের মা বোনরা ও হতে পারে


    এক্ষেত্রে মেয়েদের ধর্ষণের শিকার বেশি হয়ে থাকে তাই মেয়েরা ধর্মীয় কাজগুলো বেশি ভাবে করা উচিত এবং নিজের পোশাক গুলো ঠিকভাবে পরিধান করলে ধর্ষণের শিকার হয়। এবং নারীরা বাইরে একটা চলাচল গভীর রাতে চলাচল করলে ধর্ষণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এবং খবরে যে আলামত গুলো পাওয়া যায় এবং কিভাবে ধর্ষণ হয়েছে তার মধ্যে বিষয়গুলো থাকে


    ধর্ষণের সংজ্ঞা কি

    ধর্ষণের সংজ্ঞা বলতে বোঝানো হয়েছে সাধারোনত একজন ব্যক্তির অনুমতি না নিয়েই তার যৌনাঙ্গে যৌনসঙ্গম করা বা অন্য কোনো ধরণের বস্তু যদি অবৈধভাবে প্রবেশ করানো হয় আর সেই  ঘটনাকে ধর্ষণ বলে। অতএব শারীরিকভাবে বলপ্রয়োগ করে যদি অন্য কোনো ব্যক্তির উপর যৌনসঙ্গম বা যৌন আচরণ করে থাকে তাহলে তাকে ধর্ষণ বলা হয়। এটি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে


    ধর্ষণের শিকার

    বর্তমান সময়ে ধর্ষণের শিকার নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই হচ্ছে। এমনকি তিন থেকে চার বছরের বাচ্চা অথবা 8 থেকে 10 বছরের বাচ্চাদের ধর্ষণের শিকার হচ্ছে এ নিউজ গুলো প্রতিনিয়ত টিভি চ্যানেল সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। ধর্ষণের শিকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে মেয়েরা ভালো মতো পোশাক পরিধান করে যদি চলাফেরা করে পর্দার মধ্যে থাকে তাহলে এর সংখ্যাটা অনেকটাই কমে আসবে এবং অপরিচিত ছেলেদের সাথে মেলামেশা করলে ধর্ষণের শিকার কমে আসবে


    ধর্ষণের উক্তি

    দর্শনীয় একটি ধর্ষণের বিরুদ্ধে স্লোগান ধর্ষণের বিরুদ্ধে হাটার স্টাইল এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বর্তমানে ফেসবুকে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। বর্তমানে অনলাইন এবং অফলাইন এর মাধ্যমে ধর্ষণ স্লোগান তৈরি করতে হবে এবং যাতে সমাজের মানুষ ধর্ষণের শিকার না হয় সেই বিষয়ে থানা পুলিশ এবং জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে


    ধর্ষণের কারণ ও প্রতিকার

    সাধারণত ধর্ষণের শিকার যে কেউ হতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি মানুষকে সজাগ থাকতে হবে এবং জানতে হবে কোন মাধ্যমগুলো দ্বারা ধর্ষণ হয়ে থাকে এবং কিভাবে হয় সেই বিষয়ে জানতে হবে। সাধারণত ধর্ষণ মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তাই মেয়েরা একা চলাফেরা করা কখনই উচিত নয়


    দেখা যাচ্ছে মেয়েরা রাত করে বাড়ি ফিরেছে একা একা সেক্ষেত্রে বাসের মধ্যে বা রাস্তার মধ্যে অনেকে ধর্ষণ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যদি কোন ব্যক্তি ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে তাহলে নির্দিষ্ট থানাতে গিয়ে জিডি করতে হবে এবং তার নমুনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করতে হবে


    ধর্ষক যাতে না হয় সেই বিষয়গুলো পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরতে হবে এবং জনসচেতনামূলক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে এবং এর কঠিন আইন তৈরি করতে হবে যাতে ধর্ষণ করতে অনেক ভয় পাই
    । এবং ছেলেমেয়েদেরকে ইসলামিক শিক্ষা দিতে হবে কারন একমাত্র ইসলামই ধর্ষণের কঠোর আইন আছে যেখানে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ছেলেমেয়েদেরকে ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে যাতে তাঁরা আল্লাহকে ভয় পায় এবং ধর্ষণ থেকে বিরত থাকে


    বলাৎকার ও ধর্ষণের মধ্যে পার্থক্য

    বলাৎকার ধর্ষণ দুটোই একই বিষয়। সে ক্ষেত্রে বলাৎকার ধর্ষণ এই দুই নামেই মানুষ জানে তবে বাংলাতে ধর্ষণ সাধারণত নারীর সাথে জোর পূর্বক সেক্স করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। আর বলৎকার নারীর ক্ষেত্রে এবং পুরুষের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে এই দুইটারে কি অর্থ বোঝায় সাধারণত বাংলাতে পুরুষের সাথে বা অন্য পুরুষের সাথে যদি জোরপূর্বক সমকামী বা সেক্স করা বোঝায় তাহলে তোকে বলদ কাকে বলে




    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন