বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ দিনের ট্রেনিং | বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ


    বর্তমান সময়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ দিনের ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আপনাকে তিনদিনের টেলিং অবশ্যই করা লাগবে। এটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে এবং বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতে টেকনিক্যাল ট্রেনিং হয়ে থাকে। আপনারা উপযুক্ত জায়গায় গিয়ে ট্রেনিং গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। তাই আজকে আমরা কথা বলবো বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ দিনের ট্রেনিং নিয়ে। তাহলে চলুন জেনে নেই


    বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ দিনের ট্রেনিং

    বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনের ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা লাগবে। আপনার ভিসা কার্যক্রম সব শেষ হওয়ার পরে যখন আপনি ভিসা হাতে পাবেন। তখন আপনাকে বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ দিনের ট্রেনের ট্রেনিং করে নিতে হবে। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন গুলি ছাড়া আপনি যেকোন দিন ট্রেনিং শুরু করতে পারেনশনিবার এবং মঙ্গলবার এই দুই দিন ট্রেনিং শুরু হয়ে থাকে। এই ট্রেনিং এখন বিভিন্ন আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে সম্পন্ন করা যায়। এবং ট্রেনিং এর শেষ দিন আপনাকে সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে


    ট্রেনিং শুরুর প্রথম দিন সকাল বেলায় ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে আপনাকে ২০০ টাকার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করতে হবে। এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডকুমেন্টসহ নিচে আমরা তুলে দিচ্ছি যা আপনাকে সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে এবং ট্রেনিং শুরুর প্রথম দিন থেকেই আপনার কাগজপত্রগুলো লাগবে তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে আসবেন নিচে দেওয়া হল


    সৌদি আরবে জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


    বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩দিনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ দিনের ট্রেনিং এর জন্য ২০০ টাকার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে তা নিচে তুলে দেওয়া হল। এবং অবশ্যই কাগজগুলো ফটোকপি করে আগে থেকে রেডি করে রাখবেন

    • ভিসা ফটোকপি
    • পাসপোর্ট এর ফটোকপি
    • তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

    প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পরে। ট্রেনিং শুরু দ্বিতীয় দিন পর সুযোগ করে ডি এম ও অফিসে গিয়ে আপনাকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আসতে হবে। তাহলে আপনাকে অন্য কোন সময় ঝামেলায় পড়তে হবে না এটা অবশ্যই মনে করে এই কাজটি করে রাখবেন

    আপনার ট্রেন্দিং শেষ হওয়ার পরে আপনাকে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে আর এই সার্টিফিকেটটি আপনি খুবই যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করে রাখবেন। এটা আপনার তখনই প্রয়োজন পড়বে যখন বহির্গমন ছাড়পত্র রিসিভ করার সময় এই সার্টিফিকেটটি আপনাকে অবশ্যই দেখাতে হবে। তাই অবশ্যই সার্টিফিকেটটি যত্ন সহকারে রেখে দিবেন



    বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ দিনের ট্রেনিং আবেদন

    বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনি যখন ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন তখন আপনাকে ৩ দিনের ট্রেনিং করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি এখন আঞ্চলিক কেন্দ্র হতেই ট্রেনিং এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। শুধুমাত্র ২০০ টাকা খরচ করে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়েই এই আবেদন সম্পন্ন করে আপনাকে ট্রেনিং এ যুক্ত হতে হবে


    বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ

    বিদেশ যাওয়ার জন্য তিন দিনের ট্রেনিং প্রত্যেকটা ব্যক্তির জন্য খুবই জরুরী কারণ প্রশিক্ষণ ছাড়া আপনি বিদেশ গিয়ে সাকসেস হতে পারবেন না। তাই অবশ্যই দেশ থেকে আপনাকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে হবে। সে ক্ষেত্রে অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে যে কোথায় গিয়ে প্রশিক্ষণ করব এবং প্রশিক্ষণ কতদিনের হয়ে থাকে এবং কি কি প্রশিক্ষণ তারা দিয়ে থাকে তাহলে চলুন আজকে কথা বলি বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে




    বিদেশ যাওয়ার জন্য কেন প্রশিক্ষণ প্রয়োজন

    বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ অবশ্যই জরুরি কেননা আপনি যেই কাজের ভিসার উপরে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন সেই কাজ যদি আপনি না পারেন তাহলে একসময় আপনাকে হয়তো বা দেশে ফেরত আসা লাগতে পারে। মনে করেন আপনি ইলেকট্রনিক্স উপরে সেখানে কাজের জন্য ভিসা পেয়েছেন কিন্তু আপনি ইলেকট্রনিক্স কাজ সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নেই তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই কোম্পানি দেশে পাঠিয়ে দিবে। তাই আপনি যেই কাজের উপর ভিসা পেয়েছেন সেই কাজের অবশ্যই অভিজ্ঞতা তৈরি করতে হবে


    বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং সেন্টার কোথায়

    বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং সেন্টার বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনারা যদি কাজের প্রশিক্ষণ নিতে চান তাহলে টিটিসি কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং নিতে পারবেন। অথবা সরকার নিবন্ধিত বাংলাদেশে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে এই এজেন্সি গুলোও বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে থাকে। সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিলেই বর্তমানে বিদেশ যাওয়ার ট্রেনিং এর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে


    বিএমইটি এবং বুয়েসেলের মাধ্যমে আপনারা বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি কোন দেশে যাচ্ছেন এবং কোন কাজের উপর অভিজ্ঞতা হচ্ছেন সেই বিষয়ে তাদের মাধ্যমে আলোচনা করে আপনারা ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। বর্তমানে বিদেশে কোন কাজের উপর চাহিদা বেশি এবং কোন কাজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলছে সেই অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ট্রেনিং দেওয়া হয়



    বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বীকৃত কিছু ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যেগুলো সরকারি মাধ্যমে ট্রেনিং করা হয়ে থাকে এই সমস্ত বিভাগ গুলো তে গিয়ে আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওপর দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন এবং সার্টিফিকেট করে নিতে পারবেন। তাই অবশ্যই আপনি যেই ক্যাটাগরির উপরে ভিসা পেয়েছেন সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিবেন


    বাংলাদেশের জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতে টিটিসি সেন্টারগুলোর মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। সেখানে আপনি বিভিন্ন কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। কিছু কিছু ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ সরকার ট্রেনিং ফ্রি করে দিয়েছে সেই বিষয়গুলোর উপর আপনি ফ্রিতে ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারবেন


    এ ট্রেনিং সেন্টার গুলোতে আপনি বিদেশী ভাষা সহ কোরিয়ান জাপানিজ চাইনিজ এবং ইংলিশ ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ড্রাইভিং এবং কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। তাই আপনার জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতে টিটিসি সেন্টারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিবেন


    বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রশিক্ষণ দেয়

    বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনি ইলেকট্রিশিয়ান ড্রাইভিং অটোমোবাইল সহ ক্লিনার এবং হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট এই সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে তারা ট্রেনিং দিয়ে থাকে। তাছাড়াও আপনি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য ল্যাঙ্গুয়েজ এর ওপর প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। তাই অবশ্যই বিদেশ যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ জরুরী


    তাছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা রয়েছে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে। আপনারা যদি সরকারিভাবে অন্যান্য জায়গায় বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে চান তাহলে আরো উন্নত মানের কাজগুলোর প্রতি আপনারা প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যবস্থায় আপনাকে কিছু পরিমাণ টাকা বেশি দিয়ে কোর্সগুলো করা লাগবে। তাই যারা ভাল কাজ এবং দক্ষ কাজ শিখতে চাচ্ছেন তারা চাইলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন


    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা খরচ হয় দেখে নিন

    বিদেশ যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ নিলে সুবিধা কি

    বিদেশ যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ নিলে আপনার সেই কাজের অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং আপনার একটি ভ্যালিড সার্টিফিকেট তৈরি হবে সেই ক্ষেত্রে আপনার কোম্পানিতে এটা দেখালে আপনার বেতন বৃদ্ধি হতে পারে অথবা আপনার চাকরির সুযোগ টা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে তা না হলে আপনাকে কাজ না পারার জন্য হয়তোবা একসময় দেশে ফেরত আশা লাগতে পারে

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন