জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (JICA) প্রোগ্রামের মাধ্যমে সরকারিভাবে জাপান যাওয়া যায়। যারা সরকারি মাধ্যমে যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন তারা চাইলে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির মাধ্যমে খুব সহজেই যেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ কিছু প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করা লাগে সেগুলো দিয়ে আপনারা খুব সহজে জাপানি যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন।
JICA প্রোগ্রামগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের প্রশিক্ষণ
- শিক্ষা: শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা
- স্বাস্থ্যসেবা: নার্সিং, মেডিসিন, পাবলিক হেলথ
- কৃষি: কৃষি প্রযুক্তি, কৃষি ব্যবস্থাপনা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ
- প্রযুক্তি: তথ্য প্রযুক্তি, রোবোটিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
এছাড়া আরো বেশ কিছু কাজের জন্য জাপান সরকার প্রতি বছর প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে লোক নেওয়ার জন্য নতুন নতুন ক্যাটাগরি চালু করে থাকে। তাই আপনি যখন জাপানে যাবেন কোন কাজের উপর যাবেন অথবা যে কাজ বিষয়ে যাবেন সেই কাজের উপর দক্ষতা আছে কিনা সেটি অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে যাওয়া উচিত তা না হলে এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেতে পারবেন।
কৃষি প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম: এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশী কৃষকদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। প্রশিক্ষণ জাপানের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম: এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশী তরুণদের তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। প্রশিক্ষণ জাপানের বিভিন্ন আইটি কোম্পানি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
JICA প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাপানে যাওয়ার উপায়
- JICA-এর ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- আপনার আগ্রহের প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
- জাপানি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
সরকারি মাধ্যমে যদি JICA প্রোগ্রামের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটিকে একটা অ্যাকাউন্ট সম্পন্ন করুন এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন। সরকারি মাধ্যমে যাওয়ার জন্য একটি মাত্র উপায় রয়েছে এটি এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে আপনি জাপানে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন।
জাপান সরকারের বৃত্তি প্রোগ্রাম
জাপান সরকারের বৃত্তিগুলি স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি স্তরে অধ্যয়নের জন্য উপলব্ধ। তাছাড়া যদি এর আগে যেতে চান তাহলে কিন্তু বেসরকারি অথবা বেসরকারি যে সমস্ত এজেন্সি রয়েছে এগুলোর সাথে আপনাকে যোগাযোগ করে যেতে হবে যখন সরকার ভিত্তিগুলো স্নাতক পর্যায়ে থেকেই দেওয়া শুরু করে থাকে।
মনবুগাকুশো বৃত্তি: এই বৃত্তিটি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে অধ্যয়নের জন্য প্রদান করা হয়।
টোকাই বৃত্তি: এই বৃত্তিটি পিএইচডি স্তরে অধ্যয়নের জন্য প্রদান করা হয়। এছাড়া আরো কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে এক্ষেত্রে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন সেখানে আপনারা বিস্তারিতভাবে দেখতে পারবেন।
জাপান সরকারের বৃত্তি পেতে হলে
আপনার দেশের জাপানি দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করুন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন। জাপানি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এক্ষেত্রে জাপানি ভাষার একটি লেভেল আছে সেই লেভেল অনুযায়ী কিন্তু আপনার জব ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসা নির্ভর করে। পর্যায়ে ক্রমে আমরা সকল বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করেছি এক্ষেত্রে সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র জাপানি ভাষা শিখে তাদের পরীক্ষা দিয়েই আপনারা সেখানে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন।
জাপান যাওয়ার অন্যান্য উপায়:
জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া: জাপানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ভাষার কোর্স অফার করে। জাপানি কোম্পানিতে চাকরি পাওয়া: জাপানি কোম্পানিগুলি প্রায়শই বিদেশী কর্মীদের নিয়োগ দেয়। জাপানে একটি স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করা: জাপানে অনেক স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা রয়েছে যা বিদেশী স্বেচ্ছাসেবকদের সুযোগ বেশি দিয়ে থাকে।
তবে এক্ষেত্রে যারা সরকারি ব্যবস্থা ছাড়া অথবা নিজে পরিচিত কোন ব্যক্তিদের মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তারা সেভাবেও যেতে পারেন তবে এ ক্ষেত্রে পরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে যেতে হলে সে কোম্পানি করতে ইনভাইটেশন লেটার সংগ্রহ করা লাগে এই সংগ্রহ করে আপনারা খুব সহজে তাদের মাধ্যমে যেতে পারবেন।
তবে পরিচিত কোন ভাই ব্রাদার যদি সেখানে থেকে থাকে তাদের মাধ্যমে রিকোয়েস্ট করে আপনারা সেখানকার একটি ভিসার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন খেতে প্রয়োজন তাদেরকে প্রদান করতে হবে তাহলে অনেকেই আপনার এই কাজটি করে দিতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন