জাপান যেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা ২০২৪

    জাপান যেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা ২০২৪


    জাপান যেতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন আছে। আপনি যদি জাপানে গিয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাকে জাপানে যেতে হবে। এক্ষেত্রে যদি আপনি নরমাল শ্রমিক ভিসা নিয়ে অথবা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকলেও চলবে। কেননা বর্তমানে সরকারিভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতা শুধুমাত্র এইট পাশ থাকলেই জাপানে যাওয়া যাচ্ছে


    তবে যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে অথবা ভালো কোন চাকরি নিয়ে জাপানে যেতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে তাছাড়া কিন্তু আপনি জাপানে যেতে পারবেন না। জাপানি স্টুডেন্ট যেতে হলে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ থাকে। তবে আপনি যদি সরাসরি বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে অথবা ভালো কোন জব নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাহলে কিন্তু অনার্স সম্পূর্ণ করে যেতে হবে


    জাপানের বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে অনার্স সম্পূর্ণ ব্যক্তিদেরকেই চাকরি দেওয়া হয়ে থাকে তাই আপনি যদি জাপানে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে অনার্স মাস্টার সম্পূর্ণ করে গেলে সরাসরি সেখানে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজের সুযোগ মিলে। তাছাড়া যদি আপনি মনে করেন শুধুমাত্র কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন তাহলে এইচএসসির পরেই অথবা ক্লাস এইট এর পরেই আপনি জাপানে কাজের ভিসা নিয়ে অথবা শ্রমিক হিসাবে কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারবেন


    সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা

    আপনি যদি সরকারিভাবে জাপানে যেতে চান তাহলে এসএসসি পাশ থাকলেই আপনি কারিগরের ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে ট্রেনিং করে জাপানে সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি শারীরিক যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে। বর্তমানে সরকারিভাবে জাপানে প্রায় প্রত্যেক বছর অনেক কর্মী নিচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে পরীক্ষা দিয়ে শারীরিক দক্ষতা দেখিয়ে নির্বাচিত হতে হয়


    প্রয়োজনে শিক্ষাগত যোগ্যতা সেই সাথে সাঁতার এবং শারীরিক দক্ষতার প্রমাণ দিয়েই জাপানে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হতে হয়। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বছর ছয় মাসের ট্রেনিং করে বাংলাদেশ থেকেই সরকারি মাধ্যমে একেবারে বিনা খরচে জাপানে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। আগের বছরের তুলনায় এবারে জাপানে যাওয়ার সুযোগ সুবিধা বেশি ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে লোক নিয়োগ দিয়েছিল তাই ২০২৪ সালে পুনরায় আবার এই বিষয়ে লোক নিয়োগ দেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার


    সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য আবেদন করুন


    প্রত্যেক ছয় মাস পর পরই সরকারিভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে ভালো বেতনে জাপানে চাকরি দেওয়া হয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে শুধুমাত্র এসএসসি সম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি বয়সসীমা ৩৫ পর্যন্ত নির্ধারিত থাকে


    সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার বয়স

    সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য ২১ বছর থেকে শুরু করে ৩৫ বছর পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ থাকে। কেউ যদি জাপানের কোন কোম্পানিতে সরাসরি নিয়োগ পেতে চায় তাহলে সেই কোম্পানির রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী বয়সীমা নির্ধারিত থাকে ক্ষেত্রে ৪৫ অথবা ৫০ বছর পর্যন্তও বয়সের একটা নির্ধারিত লিমিট দিয়ে থাকে


    তবে সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে আপনি কোন কোম্পানিতে কাজ করতে যাচ্ছেন সেই কোম্পানির উপর তবে যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে যেতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই ২১ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত বয়স সীমা হতে হবে। সেই সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের উপর দক্ষতার প্রমাণ দেখেই মূলত জাপানে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়ে থাকে


    জাপান যাওয়ার প্রসেস ২০২৪

    বর্তমানে অনেকভাবে জাপানে যাওয়া যাচ্ছে এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়েও যাওয়া যাচ্ছে আবার কাজের ভিসা নিয়েও যাওয়া যাচ্ছে তবে আপনি কিভাবে যেতে চাচ্ছেন সে বিষয় নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে এখানে তুলে ধরবো। মূলত বিগত কয়েক বছর যাবত স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সেখানে অনেকেই কাজ করছে আবার অনেকেই আছে যারা কিনা সরকারের মাধ্যমে অথবা বেসরকারি মাধ্যমে কিন্তু জাপানে যাচ্ছে


    তবে আজকে আমরা আপনাদেরকে এমন কিছু বিষয় নিয়ে জানাবো যেখানে আপনারা খুব সহজেই জাপানি কাজের ভিসা নিয়ে অথবা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা বেসরকারিভাবে আপনাকে জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দিতে পারবে ক্ষেত্রে ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করা লাগতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে আপনি যদি সরকারিভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপ পেয়ে যান সে ক্ষেত্রে কিন্তু একেবারে ফ্রিতে যেতে পারবেন


    আর যদি সরকারিভাবে আপনি যদি যেতে চান তাহলে একেবারে বিনামূল্যে কোন ধরনের খরচ লাগবে না। তবে সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য কিন্তু আপনাকে প্রথম অবস্থায় নির্বাচিত হতে হবে তারপরে দীর্ঘ ছয় মাস ট্রেনিং করে ভাষা শিখে তারপরে জাপানে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন। মনে রাখবেন জাপানে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত না এক্ষেত্রে সরকারিভাবে ভিন্ন রকম প্রসেসর বেসরকারিভাবে ভিন্ন প্রসেস


    জাপান যেতে হলে কি কি নিয়ম মানতে হয় দেখুন


    জাপানে যদি আপনি বেসরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তারপরেও কিন্তু আপনার সেখানে যাতে মোটামুটি ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ লাগতে পারে। যদি আপনি নিজে কাজের ভিসা সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে পারেন তাহলে একেবারেই কম খরচ হবে এক্ষেত্রে আপনার জাপানের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে আপনাকে আগে থেকেই যোগাযোগ করে নিতে হবে অথবা দেশের বাইরে থেকে এই প্রসেস গুলো করতে হবে এক্ষেত্রে আপনি যদি দুবাই মালয়েশিয়া বা অন্যান্য দেশে থাকেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু প্রসেস ভিন্ন হতে পারে


    দালালের মাধ্যমে জাপান যাওয়া যায়

    দালালের মাধ্যমে জাপানি যাওয়া যায় না এক্ষেত্রে সরাসরি ভালো কোন এজেন্সি অথবা সরকারি মাধ্যমে জাপানে যেতে হয়। অন্যান্য দেশের মতো কিন্তু জাপানি কোন ধরনের ইলিগ্যাল বা অবৈধ কাজ চলে না সেখানে যেতে হলে একেবারে বৈধভাবে যেতে হবে এবং সরকারিভাবে যেতে হলে প্রচেষ্টা আরো কঠিন কেননা সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য ভালো কাজ জানা লাগে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সে সাথে শারীরিক দক্ষতা দেখানো লাগে


    এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক দালাল বলবে যারা কিনা আপনাকে বেসরকারিভাবে অথবা বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে জাপানে পাঠাতে পারবে এই সমস্ত লোকদের থেকে দূরে থাকুন। কেননা জাপানের আইন কানুন নিয়ম অনেকটাই কঠিন তাই আপনি যদি সরকারিভাবে না যেতে পারেন তারপরেও কিন্তু অবৈধ পদ্ধতিতে কখনোই যাওয়া উচিত না এক্ষেত্রে বৈধ অনেকে এজেন্সি রয়েছে তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে যাওয়া সব থেকে ভালো


    মনে রাখবেন জাপানে কিন্তু যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই একে কোম্পানি বা এক এক এজেন্সি এক এক রকম খরচ দেখাতে পারে তবে আপনি যদি সঠিক মনে করেন এবং আপনার অন্যান্য মানুষদের সাথে কথা বলে যদি মনে হয় যে না ঠিক আছে তাহলে যেতে পারেন তবে অবশ্যই যারা জাপানি গিয়েছে তাদের সাথে একেবারে যোগাযোগ করে নেবেন সে ক্ষেত্রে আপনার কত টাকা খরচ হচ্ছে এবং কি কি বিষয়ে তারা খরচ দেখাচ্ছে এ বিষয়ে জেনে নেওয়া সব থেকে ভালো হবে

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন