সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে

অনেকেই আমাদের কাছে একটা বিষয় জানতে চেয়েছে যে সহবাসের কতদিন পরে পেটে বাচ্চা আসে এ বিষয়টি নিয়ে। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো সহবাসের কত দিন পর পেটে বাচ্চা আসে এ বিষয়টা নিয়ে। যখন একজন পুরুষ এবং একটি নারী সহবাস করে। তখন একজন পুরুষের শুক্রানু যদি নারীর জরায়ুতে প্রবেশ করে তাহলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যখন একজন পুরুষের শুক্রাণু নারীর জরায়ুতে প্রবেশ করে তখন কিন্তু সর্বোচ্চ পাঁচ দিন পর্যন্ত সেই শুক্রাণু বেঁচে থাকে। এর পাশাপাশি যখন একজন নারীর পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে। ১৪ দিনের মধ্যে যদি কোন প্রকারের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই সহবাস করে থাকে তাহলে কিন্তু সেই নারীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তাই আজকে আমরা আলোচনা করব সহবাসের কতদিন পর বাচ্চা পেটে আসে এই বিষয়টি নিয়ে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত আলোচনা। তবে তার আগে আপনাদের কয়েকটি বিষয় জানিয়ে দেবো যে যেকোনো সময় সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই তাই এই বিষয়টি অবশ্যই আপনাকে আগে থেকেই জেনে নেওয়া উচিত।

প্রতিটি মেয়ের ক্ষেত্রেই বিশেষ একটি চক্র থাকে। সেই চক্রের ভিত্তিতেই নির্ভর করে একটি নারীর গর্ভবতী হওয়া। এ বিষয়ে পূর্ণ প্রকার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সহ ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। একটা নারীর মাসিক চক্র মাসে ৭ দিন পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে। অর্থাৎ বলা যায় সাত দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে অষ্টম দিন থেকে সেই মাসের পরবর্তী ১৭ দিন পর্যন্ত একজন নারীর গর্ভধারণ করার জন্য উপযুক্ত সময় হিসাবেই ধরা হয়।

সহবাসের কতদিন পর বাচ্চা পেটে আসে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাক। আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে একজন নারীর পিরিয়ড সম্পূর্ণ হওয়ার পরে পরবর্তী সময় পর্যন্ত তখন কিন্তু ডিম্বাণুগুলো পূর্ণাঙ্গ হয়ে থাকে যার কারণে সাধারণভাবে যখন পিরিয়ড শুরু হয়ে থাকে তখন কিন্তু 14 দিনের মধ্যে কিংবা আশেপাশের মধ্যে কোন নারীর ডিম্বাশয় ডিম্বাণু উৎপন্ন করে থাকে।

কোন ইমারজেন্সি পিল সবথেকে ভালো দেখে নিন ১০০% কার্যকারী

একজন নারীর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ডিম বানানো ও তার জরায়ুতে অবস্থানকালে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে সক্ষম। তবে এখানেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে সহবাসের আসলে কতদিন পর্যন্ত পেটে বাচ্চা আসে। এ প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি বলে দেওয়া যায় যে একজন নারীর পিরিয়ডের তিন থেকে শুরু করে। পরবর্তী ৯ থেকে ১৯ তম দিন পর্যন্ত নারীর পেটে বাচ্চা আসার সম্ভাবনা থাকে।

৯ থেকে ১৯ দিনের মধ্যে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি মাত্রায় থাকে অর্থাৎ একজন নারীর মাসিক শেষ হওয়ার পরে নয় তম দিন থেকে পরবর্তী 19 তম দিন পর্যন্ত গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে না

সহবাস করার পরে ৯ থেকে ১৯ তম দিনের মধ্যেই বাচ্চা পেটে আসার সম্ভাবনা থাকে। মূলত একজন নারীর মাসিক রোক্র শেষ হওয়ার পরে কোন ব্যক্তি যদি সহবাস করে তাহলে কিন্তু নয় থেকে উনিশ দিনের মধ্যেই প্রথম আলামত পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনি নয় থেকে ১৯ দিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন প্রেগন্যান্ট হতে চলেছেন কিনা। যদি প্রেগনেন্ট হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখা যায় তাহলে অবশ্যই পেটে বাচ্চা চলে এসেছে এটা বুঝতে পারবেন।

সঠিক সময়ে এবং সঠিক নিয়মে যদি আপনি সহবাস করে থাকেন তাহলে অবশ্যই পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রেগনেন্সির বিষয়টি আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। আর সে সময় অবশ্যই পেগনেন্সি টেস্ট করে নিতে হবে তাছাড়া যদি প্রাথমিক পর্যায়ে মাথা ঘোরা এবং প্রেগন্যান্ট এর লক্ষণ গুলো দেখা যায় তাহলে অবশ্যই তৎকালিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো দেখুন

যখন একজন নারীর মাসিক চক্র শেষ হওয়ার পরে পরবর্তী 10 থেকে 14 দিনের মধ্যে যদি কোন পুরুষ সহবাস করে তাহলে কিন্তু প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে বীর্য ভিতর প্রবেশ করলেই নারীর জরায়ুর মধ্যে সর্বোচ্চ 5 দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবে। পরবর্তী সাত থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই পেটে বাচ্চা চলে আসে।

আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে এখানে সহবাস করার কতদিন পর বাচ্চা পেটে আসে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি পরবর্তীতে আমরা এ সমস্ত আরো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। তাই নিয়মিত চোখ রাখুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য জানুন এখান থেকে।

রবিতে ২২ টাকায় ৩ জিবি ইন্টারনেট