গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ ( দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ )

    গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ

    আজকে কথা বলব গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি দেখা যায় এ বিষয়গুলো নিয়ে। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের জন্য অনেকেই এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তার মধ্যে থাকেন যে কোন লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন যে আপনি গর্ভবতী হতে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই আছে প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার জন্য এই লক্ষণগুলো খুজে থাকেন তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী হতে যাচ্ছেন।


    মূলত প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের ফিলিংস কাজ করে থাকে। তাই এই বিষয়টি কখন কিভাবে আপনি বুঝতে পারবেন এবং কিভাবে এটি উপলব্ধি করা যাবে এ সংক্রান্ত তথ্যগুলো নিয়েই আজকের এই আলোচনা। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে প্রথম অবস্থায় কিছু লক্ষণ দেখেই বুঝে নিতে হবে। তার মধ্যে প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি এ বিষয়গুলো জেনে নিন।


    গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ

    গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ হল আপনার যদি মাসিক মিস হয়ে যায় এবং এর পরেও সাত দিনের মধ্যে যদি কোন মাসিক না হয় তার মানে বুঝে নিতে হবে আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। এই ক্ষেত্রে মাথা ঘোরার ভাব আসতে পারে এবং বমি বমি ভাব চলে আসতে পারে। অনেক সময় শরীর দুর্বল এবং শরীরের জ্বর অনুভূত হওয়া স্বাভাবিক। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে অধিক পরিমাণ শরীর দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।


    প্রথম পিরিয়ডের মাসিক যদি না হয় এরপরে যদি সপ্তাহ পর্যন্ত আপনারা সময় অপেক্ষা করেন তারপরে যদি এই লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলে আপনি গর্ভবতী হতে চলেছেন। ফার্মেসিতে পাওয়ার টেস্ট  কিট গুলোর মাধ্যমে কিন্তু কোন কাজ নাও করতে পারে। যদি প্রথম সপ্তাহে লক্ষণ গুলো দেখে থাকেন তাহলে সরাসরি মেডিকেল ল্যাবে গিয়ে পরীক্ষা করা উচিত।

    • শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া
    • সকাল বেলা বমি বমি ভাব হওয়া
    • প্রথম পিরিয়ডের তারিখ মিস হওয়া
    • খাওয়ার প্রতি অনিহা চলে আসা
    • খাওয়াতে রুচি কমে যাওয়া
    • অধিক পরিমাণ থুথু উঠা
    • মাথা ঘোরানো
    • বমি বমি ভাব আশা


    কোন ইমারজেন্সি পিল সবথেকে কার্যকরী


    এ লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী হতে চলেছেন। প্রথম সপ্তাহে লক্ষণ গুলো স্বাভাবিক মাত্রায় দেখা দেয় তবে এটি শুধুমাত্র প্রথমবার পিরিয়ড মিস হওয়ার পরে আপনাকে ১০ দিন পর্যন্ত ওয়েট করতে হবে তারপরে আপনি এই লক্ষণ গুলো আস্তে আস্তে পাবেন। যদি এগুলো দেখে থাকেন তারপরে কনফার্ম হওয়ার জন্য সরাসরি মেডিকেল ল্যাবে গিয়ে টেস্ট করে নিতে পারেন।


    গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহের লক্ষণ

    গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহের লক্ষণ হিসেবে এই সময় এই মাত্রাগুলো আরো বেশি পত্তিমাই হয়ে থাকে। যেমন মাথা ঘোরা ভাব এবং সিঁড়িতে ওঠার সময় মাথা ঘোরা ভাব দেখা দিতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে বমি বমি ভাব এবং শরীরে অধিক পরিমাণ দুর্বলতা ভাব চলে আসতে পারে। দ্বিতীয় সপ্তাহে অধিক পরিমাণ অসুস্থতা ফিল আসতে পারে এক্ষেত্রে বমির মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে।


    তবে অধিক সময়ই বেশি মাত্রায় বমি হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাছাড়া খাবার প্রতি অনীহা আসতে পারে এক্ষেত্রে খাবার একেবারে কম খাওয়া যাবে না। দ্বিতীয় সপ্তাহের লক্ষণের মধ্যে প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলোই অত্যন্ত গুরুত্ব আকারে আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্বিতীয় সপ্তাহে চলাফেরা করা উচিত।


    গর্ভবতী হওয়ার পরে কি মাসিক হয় দেখুন


    গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ

    গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ হিসেবে স্তনের অতীত পরিমাণ ব্যথা দিতে পারে এসময় স্থানের বোটা আস্তে আস্তে বড় হতে পারে এবং রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। রক্তপাতের সাথে সাথে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তপাত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।


    রক্তগত হওয়ার সাথে সাথে খাবারের অনীহা এবং অন্যান্য সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই জটিল কোন সমস্যা দেখা দিলে তৎকালীনভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নাই যদি রক্তপাত কম হয় বা হালকা ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।


    গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ

    গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ হল সর্বপ্রথম মাসিক বা পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া। এ বিষয়টি প্রথমেই বুঝতে পারবেন। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলারা অন্যান্য লক্ষণগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যেমন। স্তনে চাপ দিলে ব্যথা অনুভূত হয়। মাসিকের যৌনি পথে তথা মাসিক রাস্তা থেকে হালকা ফোটা ফোটা রক্তপাত হতে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই এতে হালকা পরিমাণ রক্তপাত অনুভূত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।


    সিজারে কোন শিলায় ব্যবহার করা উচিত জেনে নিন


    চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ হিসেবে এগুলোই দেখা দেয় অধিকাংশ নারী প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে গর্ভধারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে থাকে। আপনি যদি মাসিকের প্রথম থেকে শুরু দিনগুলো হিসাব রাখতে পারেন তাহলে সন্তান জন্মদানের সময় অর্থাৎ ডেলিভারি সম্ভবত তারিখ বের করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আল্টাইজ সাউন্ড করেও এ বিষয়গুলো জানা যায়। তবে নিজের মাসিকের ডেট অনুযায়ী যদি আপনি ঠিক রাখতে পারেন তাহলে জন্মদিনের সময় ডেলিভারি সম্ভবত আরিফ অনেকটাই সহজ হয়।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন