গর্ভবতী হওয়ার পর কি মাসিক হয়?

    গর্ভবতী হওয়ার পর কি মাসিক হয়


    অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে গর্ভবতী হওয়ার পর মাসিক হয় কিনা। এ বিষয়টি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন রকম ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আজকে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করেছি। আশা করি বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য


    অনেকেই মিলন হওয়ার পরে দীর্ঘদিন যাবত ওয়েট করে আসেন তারপরে হঠাৎ দেখা যায় যে মাসিকের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাহলে কি বুঝবেন যে আপনি গর্ভবতী হচ্ছেন না। এ বিষয়টি বোঝার জন্য আপনাকে তারপরেও কয়েকটি দিন ওয়েট করতে হবে। এবং কিছু কিছু লক্ষণ আপনাকে বুঝতে হবে। তাহলে চলুন লক্ষণ গুলো দেখে নেওয়া যাক


    গর্ভবতী হওয়ার পর কখনোই মাসিক হয় না। স্বামী স্ত্রীর মিলনের পরে পিরিয়ডের ডেট এর সময় যদি পিরিয়ড হয় তাহলে বুঝতে হবে গর্ভবতী হননি। পিরিয়ডের ডেটের এক থেকে তিন দিনের মধ্যে যদি মাসিক হয়ে যায় তাহলে গর্ভবতী হওয়ার কোন লক্ষণ নেই


    যদি দেখা যায় এক থেকে তিন দিনের মধ্যে হালকা ধরনের রক্তচাপ আসছে এক্ষেত্রে বেশি আকারে না তাহলে কিন্তু গর্ভধারণের একটি লক্ষণ থেকেই যাই। মাসিকের ডেটের সময় যদি হালকা ভাবে রক্তের শ্রাব আসে বেশি আকারে না আসে তাহলে কিন্তু ধারণের একটি লক্ষণ থেকে যায়


    পুরোপুরি ভাবে কখনোই গর্ভবতী হওয়ার পরে মাসিক হয় না। যদি সামান্য আকারে রক্তচাপ হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে মাসিক বলা হয় না। মাসিক হওয়ার জন্য মিনিমাম তিন দিন পর্যন্ত রক্তস্রাব হওয়া লাগবে। এক্ষেত্রে সাদা স্রাব অথবা রক্তচাপ হওয়া লাগবে। এক্ষেত্রে যদি তিন দিন পর্যন্ত রক্তচাপ হতে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি গর্ভবতী না


    তিনটা সিজার হওয়ার পর বাচ্চা নেওয়া যায়


    তাই বলা যায় যে গর্ভবতী হওয়ার পরে কখনোই মাসিক হয় না। হালকাভাবে যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে মাসিক বলা হয় না এক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাই। একটা কেউ যদি বিষয়টি নিয়ে সন্দেহান থাকেন তাহলে বিষয়টি ভালোমতো খেয়াল করে দেখতে হবে। রক্তস্রাব হচ্ছে কিনা এবং কতদিন পর্যন্ত হচ্ছে যদি তিন দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে তাহলে গর্ভবতী হয় না


    কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়

    মাসিকের প্রথম দিন থেকে শুরু করে সাত দিনের মধ্যে যদি মাসিক না হয় তাহলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকেযারা শারীরিকভাবে দুর্বল তাদের অধিকাংশ সময়ই মাসিক হওয়ার জন্য বেশি সময় লাগে। যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তাদের পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে শুরু করে ১৫ দিন পর্যন্ত নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অনেকে ৪০ অথবা ৪৫ দিনের মাথায় মাসিক হয়

    তাই প্রথম পিরিয়ডের ডেট মিস হওয়ার পরেই যে গর্ভবতী হয়ে যাবেন এ বিষয়টি একেবারে ভুল ধারণা। এক্ষেত্রে আপনাকে ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত ওয়েট করতে হবে। এর মধ্যে আপনি কিছু কিছু লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারবেন যে আসলে গর্ভবতী হয়েছেন কিনা

    যদি ১৫ দিনের মধ্যে কোন ধরনের পিরিয়ড না হয় তাহলে আপনাকে শারীরিক কিছু লক্ষণ দেখতে হবে। যেমন, তলপেট ব্যথা হয়ে যাওয়া, থেকে ওঠার পরে শরীর দুর্বল, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব হওয়া, এই লক্ষণগুলো যদি শুরু হয়ে যায় ১৫ দিনের মধ্যেই তাহলে কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ


    তবে ১৫ দিনের মধ্যে এটি বেশি আকারে কিন্তু কখনোই দেখা দেয় না হালকা ভাবেই দেখা দেয়। ১৫ দিনের মধ্যে যদি মাসিক না হয়ে থাকে তাহলে আপনারা টেস্ট কিট ব্যবহার করে জেনে নিতে পারবেন আসলে আপনি গর্ভবতী কিনা

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন