কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৩ ( আবেদন সহ)

আজকে আমরা কথা বলব কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে, হতে পারে সেটা কাজের হিসাব স্টুডেন্ট ভিসার টুরিস্ট ভিসা সহ অন্যান্য যাবতীয় না কোন কোন দেশে চালু আছে এই নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে এবং বন্ধ আছে এবং কবে নাগাদ খুলবে এই নিয়ে বিস্তারিত।

করণা মহামারীর কারণে দীর্ঘ দুই বছর যাবত অন্যান্য দেশের ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তাছাড়াও করোনার মধ্যে কিছু সংখ্যক দেশ খোলা ছিল কিন্তু যে সমস্ত কান্ট্রিতে মানুষ কাজের জন্য অথবা স্টুডেন্ট ভিসা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সেখানে পানি জমা হতো সেগুলো বন্ধ ছিল কিন্তু এখন কোন কোন বিষয়গুলো খোলা আছে সেগুলো জানবো।

কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৩

করোনা এর পর থেকে প্রায়ই সকল দেশেই বাংলাদেশের জন্য ভিসা চালু আছে এক্ষেত্রে যে কেউ ওয়ার্ক, পারমিট ভিসা, বিজনেস ভিসা, এবং স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দেশের বাইরে যেতে পারবেন। তবে যারা কাজের ভিসা নিয়ে দেশের বাহিরে যেতে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে যেতে হবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। 

করোনা মহামারির পরে দক্ষ শ্রমিকদের আগ্রহ দেখা দিচ্ছে তাই এক্ষেত্রে যারা আপনারা যে সমস্ত দেশের ভিসা চালু আছে ওই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করে তারপরেই যেতে হবে তা না হলে নতুন এই নিয়মের মধ্যে আপনাকে আবার পুনরায় দেশে আসা লাগতে পারে এবং কাজ বিহীন বসে থাকা লাগতে পারে। 

ভিসার ধরন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কারণ এটি বিভিন্ন দেশের  রিকোয়ারমেন্ট এর উপর নির্ভর করে ব্যবসা কার্যক্রম। যেমন হতে পারে মালয়েশিয়ার জব ভিসা মালয়েশিয়া কলিং ভিসা মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা সহ আরো অনেক। সৌদি আরবে ফ্রি ভিসা কোম্পানি ভিসা আদিল মানজিল ভিসা সহ বিভিন্ন ভিসা কার্যক্রম চালু আছে। 

আমেরিকার জন্য ইমিগ্র্যান্ট ভিসা, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, দুবাই কাজের ভিসা, দুবাই ফ্যাক্টরি ভিসা, সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিসা কার্যক্রম চালু আছে। তাছাড়া আমরা নিচে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব এবং কোন কোন ভিসা কার্যক্রম চালু আছে সেগুলো দেখতে পাবেন।

তা ছাড়াও অন্যান্য দেশের ভিসা বা যেকোন ভাষা কিভাবে নিতে পারবেন সে বিষয়েও নিয়েছি আমরা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করেছি কনটেন্ট পড়লে আপনাদের ভালো একটি ধারনা পাবেন অন্যান্য দেশের ভিসা সম্পর্কে এবং কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এবং কোন দেশে কাজের বেতন কত বিস্তারিত আলোচনা করব।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?

কোন দেশে গেলে ভালো বেতন পাবেন

বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত সৌদি আরব দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর কান্ট্রিতে গিয়ে মাসে 50 হাজার  থেকে 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু এসমস্ত কান্ট্রির মধ্যে ভালো বেতন পাওয়া যায় সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়াতে। তবে সে ক্ষেত্রে যদি আপনি দক্ষ কারিগর হয়ে থাকেন ভালোভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি যেকোন কান্ট্রি থেকেই ভালো পরিমাণ টাকা বেতন পেতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে যেকোনো কাজের প্রতি।

তবে এ সমস্ত কান্ট্রিতে গিয়ে সাধারণত বাংলাদেশের মানুষজন ড্রাইভিং, হোটেল কর্মী, ক্লিনিং পদে, ফ্যাক্টরির কাজ সহও সাধারণত ছোট কাজগুলো করে থাকে বেতন স্বাভাবিকভাবে 40 হাজার থেকে 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আইটি বিষয়ে বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে যদি দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে পাড়ি জমাতে পারেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি আরো ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন।

তাছাড়া দিদি ভাল বেতনের চাকরি করতে চান তাহলে আপনাকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে এবং অন্যান্য ভালো কান্ট্রি ক্লাবে প্রবেশ করতে হবে কাজের জন্য। যেমন কানাডা,অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, কোরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মেক্সিকো, এ সমস্ত কান্ট্রিতে গেলে আপনি ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন তাই যেকোনো মূল্যে এসব কান্ট্রিতে যদি কাজের ভিসা পান তাহলে আপনার লাইফ অনেকটাই সেটেল হয়ে যাবে। সর্বদা চেষ্টা করবেন ভালো কোন কান্ট্রিতে কাজের ভিসা নেওয়ার সেটা যেকোন মূল্যে। এবং সমস্ত কান্ট্রিতে কিভাবে ঢুকবে নিচে তুলে ধরবো।

রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?   সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?

কোন কোন দেশে কাজের ভিসা চালু আছে

করোনা মহামারী স্বাভাবিক হওয়ার কারণে বিভিন্ন দেশের ভিসা কার্যক্রম চালু করেছে তার মধ্যে কাজের ভিসা অনেক দেশেই চালু করে দিয়েছি অলরেডি। যেমন দুবাই ভিসা, মালয়েশিয়ার পারমিট ভিসা, সৌদি আরবের কাজের ভিসা, ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা, মরক্কো কাজের ভিসা সহ বিভিন্ন ভিসা বর্তমানে চালু আছে।

তবে সমস্ত দেশে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই তাদের নির্ধারিত অনুযায়ী আপনাদেরকে তৈরি থাকতে হবে। কারণ এই সমস্ত প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই দক্ষ কারিগর তারপরেই প্রবেশ করতে হয়। তা না হলে আপনি সমস্ত দেশে কাজ না পেয়ে হতাশ হতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে ট্রেনিং করে দক্ষতা অর্জন করুন তারপরে বিদেশে পাড়ি জমান। তাহলে আপনি ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন এবং ভালো ভাবে কাজ কমপ্লিট করতে পারবেন।

কানাডা জব ভিসা | কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

বাংলাদেশ থেকে যে দেশগুলোতে ভিসা পাওয়া যাচ্ছে

বাংলাদেশ থেকে এখন বিভিন্ন দেশের টুরিস্ট ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ বিভিন্ন ভিসা চালু আছে যেমন জার্মানিতে কাজের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে, কানাডাতে টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা, সৌদি আরবে কাজের ভিসা সহজে ভিসা, মালয়েশিয়াতে পিস এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ইন্ডিয়াতে চিকিৎসা সহ যাবতীয় কার্যক্রম চালু আছে, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, সাউথ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, লেবানন, ইতালি এসমস্ত দেশগুলোর বর্তমানে ভিসা পাওয়া যাচ্ছে।

ইউরোপের কোন দেশগুলোতে ভিসা চালু আছে

বর্তমানে ইউরোপের ভিসা বাংলাদেশ এম্বাসি মাধ্যমে পাওয়া সহজ নয় তবে আপনাকে দিলাম হ্রাসের মাধ্যমে যদি ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন দেশেই আপনি যেতে পারবেন যেমন ইউরোপের যে দেশগুলোতে যেতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, থাইল্যান্ড, বেলারুশ, জর্জিয়া, সহ বিভিন্ন দেশে আপনি দিল্লিবাসীর মাধ্যমে যেতে পারবেন তবে আপনাকে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে অথবা দিল্লি এম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

বিদেশ কাজের ভিসা ব্যাপারে সাবধানতা

বিদেশে কাজের ভিসার জন্য অনেকেই অনেক রকম ভাবে দালালের হাতে টাকা দিয়ে থাকেন। তাই এই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকা উচিত আপনি কার হাতে টাকা দিচ্ছেন এবং ভিসা পাওয়ার নির্ভরযোগ্যতা কতটুকু সে বিষয়ে অবশ্যই নজর রাখবেন। সাধারণত দালালরা 100 জনের কাছ থেকে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জনকে অল্প অল্প কিছু টাকা  দিয়ে তারা না করে দেয়।

 তাই এই বিষয়গুলোতে অবশ্যই নজর রাখবেন বিশ্বস্ত কাউকে বাজার কাছ থেকে আপনি টাকা আদায় করতে পারবেন তাদের কাছে আপনার ভিসা কার্যক্রমের জন্য টাকাপয়সা লেনদেন করবেন। কারণ আমরা জানি একজন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কতটা কষ্টকর টাকা জোগাড় করা। তাই অবশ্যই ভালো কোন এজেন্সি অথবা ভালো কোন ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা-পয়সা লেনদেন করবেন বিদেশ কাজের ভিসা নেওয়ার জন্য।

বাংলাদেশ থেকে কুয়েত ভিসা বিস্তারিত |  কুয়েতের বেতন কত ?

অনেকেই আছে কাজের ভিসা দেওয়ার কথা বলে দেখা যাচ্ছে টুরিস্ট ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসা ধরিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে চিনতে না পারে অনেকেই সেইভাবেই বিদেশি পাড়ি দেয় এবং কিছুদিন কাজ করার পরে দেশে ফেরত আসা লাগে সেটা কিন্তু অনেক টাকা ক্ষতির মধ্যে পড়ে যায়। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে এবং ভিসা হাতে পাওয়ার পরে অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে ভিসা চেক করতে পারবেন। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্য এইভাবে ভিসা চেক করে দিবেন এবং বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমেও আপনি কথা বলে তাদের সাথে ভিসা বিষয়ে জানতে পারবেন।

কোন দেশে কাজের বেতন কত

কোন দেশে কাজের বেতন কত এটা নির্ধারিত হয় ভিসা কার্যক্রমের উপর। আপনি যখন নির্দিষ্ট অনুযায়ী কাজের ভিসা পাবেন সে অনুযায়ী আপনার বেতন নির্ধারিত হবে। যেমন মালয়েশিয়াতে ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে মাসে 70 হাজার থেকে 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। ইতালিতে কাজের ভিসা তে মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। সিঙ্গাপুরের কাচের হিসাবে আপনি মাসে এক থেকে 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন দেশের কাজের ভিসার থেকে 50,000 থেকে 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

এটি নির্ভর করে সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রমের উপর এবং জবাব এর উপর আপনার কাজের মান যদি ভালো হয় তবে অবশ্যই আপনি ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। তবে তার আগে অবশ্যই আপনাকে সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং ভালোভাবে কাজ করতে ভালো বেতন পাবে না।

দুবাই কাজের ভিসা | দুবাই ভিসা আজকের খবর

এক্ষেত্রে আপনারা যারা কর্মী হিসেবে দেশের বাইরে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে বলবো অবশ্যই সরকারিভাবে যে সমস্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে আপনারা যেতে পারবেন। এবং সেখান থেকে আপনারা ভালো মানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন এতে করে আপনারা বাহিরে গেলে দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবেন সে সাথে বেতনও কিন্তু বেশি পাবেন। 

তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন ভালোমতো প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বাহিরে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা এবং সেই সাথে অবশ্যই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত এজেন্সি রয়েছে এই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা যাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে প্রতারণার শিকার কম হবেন। 

এবং যে সমস্ত দেশে যাওয়ার সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয় সেগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন অনেক দেশ আছে যারা কিনা আপনাকে অবৈধভাবে এবং অবৈধ পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে এই সমস্ত দেশগুলো থেকে না যাওয়ার চেষ্টা করুন তা না হলে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের বিপদের মধ্যে পড়তে পারেন।