কুয়েত ভিসা নিউজ ২০২৪ | কুয়েত ভিসা দাম কত

    কুয়েত ভিসা নিউজ ২০২৩

    ২০২৪ সালে কুয়েতের ভিসা নিউজ অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে বিশেষ কিছু ভিসা সার্ভিস চালু আছে এখন পর্যন্ত যারা বর্তমানে 2024 সালে কুয়েতের কোম্পানি ভিসা বা অন্যান্য যেকোনো ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা আজকে আমাদের এই কন্টেন্টই পড়তে পারেন এবং কুয়েতের ভিশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো দেখে নিতে পারেন


     দীর্ঘদিন যাবত কুয়েতের যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ছিল তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র অন্যান্য দেশ থেকেই কুয়েতে যাওয়া যেত যেমন বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক আছে যারা দুবাই অথবা মালদ্বীপ ইন্ডিয়া থেকেও অনেকেই কুয়েতে কাজে গিয়েছে তবে এখন আপনি চাইলেই সরাসরি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কাজে যেতে পারবেন।


    কুয়েত ভিসা নিউজ ২০২৪

    পরিবারের জন্য ভিসা: কুয়েত সরকার নির্দিষ্ট কিছু পেশাজীবীদের (যেমন ডাক্তার, শিক্ষক, পরামর্শদাতা) জন্য পারিবারিক ভিসা পুনরায় চালু করেছে। তবে সাধারণ প্রবাসীরা এখনও এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত।


    গৃহকর্মীর ভিসা: কুয়েত বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার গৃহকর্মীদের জন্য ভিসা চালু করেছে।


    ভিসার ফি বৃদ্ধি: কুয়েত সরকার ভিসা ইস্যু করার ফি ১০০% বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে।
    ভিসার মেয়াদ: নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ভ্রমণকারীদের অবশ্যই দেশ ত্যাগ করতে হবে।

    কুয়েত ভিসা সংক্রান্ত খবর:

    কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ: সম্প্রতি কুয়েতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরে গেলেও, ফুটবলারদের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন কোচ।
    কুয়েতে গ্রীষ্মকাল: কুয়েতে গ্রীষ্মকালে তীব্র রোদের কারণে বাইরে বের হওয়া কঠিন হতে পারে।


    ২০২৩ সালে কুয়েতের যাবতীয় ভিসা চালু আছে। এক্ষেত্রে কুয়েতের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা সহ অন্যান্য যে কোন কোম্পানির ভিসা নিয়ে যে কেউ কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারিভাবে  কুয়েতে কোন কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি তবে বেসরকারি এজেন্সি অথবা সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমেই মূলত শ্রমিকরা কুয়েতে যাচ্ছে।


     2022 সাল থেকে মোটামুটি প্রায়ই ১৭ হাজার শ্রমিক কুয়েতে কাজে যোগ দিয়েছে। এগুলো সাধারণত সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত এজেন্সি গুলো আছে ওই এজেন্সিগুলোই কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকদের। তাছাড়া আপনি চাইলে দেশের বাইরে থেকেও কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন যেমন ফ্যাক্টরি ভিসা অথবা ইলেকট্রিক কোম্পানি এবং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি সহ আরো অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজ করছে।


    কুয়েত ভিসা আবেদন

    কুয়েত ভ্রমণের জন্য আপনাকে ভিসার প্রয়োজন হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার আগে, আপনাকে অবশ্যই নিম্নলিখিতগুলি করতে হবে নির্ধারণ করুন যে আপনার কোন ধরণের ভিসা প্রয়োজন। কুয়েত বিভিন্ন ধরণের ভিসা অফার করে, যার মধ্যে রয়েছে

    পর্যটন ভিসা: এই ভিসাটি বন্ধু বা পরিবারের সাথে দেখা করতে বা কুয়েত ঘুরে দেখার জন্য।
    ব্যবসায়িক ভিসা: এই ভিসাটি কুয়েতে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য।
    কর্ম ভিসা: এই ভিসাটি কুয়েতে কাজ করার জন্য।
    ছাত্র ভিসা: এই ভিসাটি কুয়েতে পড়াশোনার জন্য।


    প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করুন। আপনার ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি আপনার আবেদন করা ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করবে। যাইহোক, সাধারণত প্রয়োজনীয় নথিগুলির মধ্যে রয়েছে:

    • একটি বৈধ পাসপোর্ট
    • একটি ভিসা আবেদন ফর্ম
    • একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট-আকারের ফটো
    • আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য প্রমাণ (যেমন, একটি হোটেল বুকিং বা একটি ব্যবসায়ের আমন্ত্রণপত্র)
    • আপনার আর্থিক সহায়তার প্রমাণ (একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট)


    একটি কুয়েতি দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করুন। আপনি আপনার নিজ দেশে বা আপনি যে দেশ থেকে ভ্রমণ করছেন সেখানে একটি কুয়েতি দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করতে পারেন।


    ভিসা ফি প্রদান করুন। ভিসা ফি ভিসার ধরন এবং আপনি যে দেশ থেকে আবেদন করছেন তার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে কুয়েতিদের ওয়েবসাইট দেখুন দূতাবাস বা কনস্যুলেট।

    কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করার টিপস :

    • আপনার আবেদন সম্পূর্ণ করার সময় নিশ্চিত করুন যে সমস্ত তথ্য সঠিক এবং সম্পূর্ণ।
    • আপনার আবেদনের সাথে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি অন্তর্ভুক্ত করুন।
    • আপনার আবেদন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমা দিন, বিশেষ করে যদি আপনি ব্যস্ত ভ্রমণের মরসুমে ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করছেন।
    • আপনার আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে তাই ধৈর্য ধরুন।


    কুয়েত ভিসা আবেদন করার জন্য বাংলাদেশের সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির মাধ্যমেই আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি সরকারিভাবে কুয়েতের ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে বিএমইটি অথবা বুয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে কুয়েত ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কি ধরনের ভিসা নিবেন এবং ভিসা রিকোয়ারমেন্ট গুলো কি তা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন।



     নিচে আমরা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরব কুয়েতের ভিসা কিভাবে পাবেন এবং ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র থাকা প্রয়োজন এবং কাজের ভিসার জন্য কি কি রিকোয়ারমেন্ট গুলো দেওয়া থাকে এই সংক্রান্ত তথ্য গুলো আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারবেন তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কুয়েত ভিসা প্রসেসিং করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন।


    কুয়েত কোম্পানি ভিসা 2024

    কুয়েত কোম্পানির ভিসা হল এমন একটি ভিসা যা আপনাকে কুয়েতে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির জন্য কাজ করার অনুমতি দেয়। ভিসা পেতে, আপনাকে অবশ্যই একটি কুয়েতি কোম্পানির কাছ থেকে স্পনসরশিপ অর্জন করতে হবে। কোম্পানিটি তখন আপনার হয়ে ভিসার জন্য আবেদন করবে।

    • কুয়েত কোম্পানির ভিসা পেতে,
    • একটি বৈধ পাসপোর্ট
    • একটি পাসপোর্ট-আকারের ছবি
    • একটি কাজের চুক্তি
    • একটি মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদন
    • একটি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র
    • একটি অপরাধমূলক ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

    কুয়েত কোম্পানির ভিসার প্রক্রিয়াকরণের সময় সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় নেয়। ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনাকে কুয়েতে প্রবেশের জন্য এটি আপনার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করতে হবে।
    কুয়েত কোম্পানির ভিসার মেয়াদ সাধারণত এক বছর হয়। ভিসাটি এক বছরের জন্য নবায়ন করা যেতে পারে। কুয়েত কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে:


    • আপনাকে অবশ্যই একটি কুয়েতি কোম্পানির কাছ থেকে স্পনসরশিপ অর্জন করতে হবে।
    • আপনাকে অবশ্যই সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করতে হবে।
    • ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় কয়েক সপ্তাহ সময় নিতে পারে।
    • ভিসাটি এক বছরের জন্য নবায়ন করা যেতে পারে।
    • আপনি যদি কুয়েত কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করতে আগ্রহী হন, তাহলে আরও তথ্যের জন্য কুয়েতি দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করুন।

    কুয়েত কোম্পানির ভিসা সম্পর্কে তথ্য:

    কুয়েত কোম্পানির ভিসা একক বা একাধিক প্রবেশের জন্য হতে পারে।
    কুয়েত কোম্পানির ভিসাধারীরা কুয়েতে তাদের পরিবারদের স্পনসর করতে পারে।
    কুয়েত কোম্পানির ভিসাধারীরা কুয়েতে গাড়ি চালানোর জন্য লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারে।
    আপনি যদি কুয়েতে কাজ করার কথা ভাবছেন, তাহলে একটি কুয়েতি কোম্পানির ভিসা একটি বিকল্প। ভিসা পেতে প্রয়োজনীয়তা এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য উপরে দেওয়া নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করুন।

    কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা 2024

    কুয়েত সরকার ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বেশিরভাগ ভিসা বন্ধ করে রেখেছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত, নিম্নলিখিত ভিসাগুলি এখনও বন্ধ রয়েছে:

    • পর্যটন ভিসা (সকল জাতীয়তার জন্য)
    • ভিজিট ভিসা (সকল জাতীয়তার জন্য)
    • কর্ম ভিসা (নতুন)
    • পারিবারিক ভিসা (সকল জাতীয়তার জন্য)

    কুয়েত যে ভিসাগুলি খোলা হয়েছে:

    • কর্ম ভিসা (বিদ্যমান স্পনসরদের জন্য)
    • ডিপেন্ডেন্ট ভিসা (বিদ্যমান কর্মীদের জন্য)
    • ছাত্র ভিসা
    • চিকিৎসা ভিসা
    • গৃহকর্মীর ভিসা (বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার জন্য)

    কুয়েত সরকার এখনও পর্যটন এবং ভিজিট ভিসা কখন খোলা হবে তা ঘোষণা করেনি। তবে, কর্ম ভিসার জন্য আবেদনকারীদের জন্য কিছু নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কর্ম ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ করতে হবে:


    • তাদের একটি বৈধ স্পনসর থাকতে হবে।
    • তাদের একটি বৈধ কাজের চুক্তি থাকতে হবে।
    • তাদের একটি মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
    • তাদের একটি নির্দিষ্ট আয়ের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।
    • কুয়েত ভিসা সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে কুয়েতি দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট দেখুন।


    কুয়েত ভিসা প্রসেসিং ২০২৪

    ভিসার ধরণ নির্বাচন:

    • পর্যটন ভিসা: বন্ধু বা পরিবারের সাথে দেখা করতে বা কুয়েত ঘুরে দেখার জন্য।
    • ব্যবসায়িক ভিসা: কুয়েতে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য।
    • কর্ম ভিসা: কুয়েতে কাজ করার জন্য।
    • ছাত্র ভিসা: কুয়েতে পড়াশোনার জন্য।

    প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ:

    • বৈধ পাসপোর্ট
    • ভিসা আবেদন ফর্ম
    • সাম্প্রতিক পাসপোর্ট-আকারের ফটো
    • ভ্রমণের উদ্দেশ্য প্রমাণ (হোটেল বুকিং, ব্যবসায়িক আমন্ত্রণপত্র)
    • আর্থিক সহায়তার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)


    ভিসার জন্য আবেদন:

    • কুয়েতি দূতাবাস বা কনস্যুলেটে
    • অনলাইনে (কিছু ক্ষেত্রে)


    ভিসা ফি প্রদান:

    ভিসার ধরণ ও আবেদনের দেশ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

    ভিসা প্রসেসিং সময়:

    কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ


    কুয়েতে যে কোন ভিসা প্রসেসিং করার জন্য মিনিমাম তিন মাসের মত সময় লাগবে এক্ষেত্রে যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সরকারি কোন এজেন্সির মাধ্যমে  নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই তিন  মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া লাগবে।  তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ছয় মাস মেয়াদে একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকলেই আপনি কুয়েতের যে কোন ধরনের ভিসা প্রসেস করতে পারবেন।


     তবে আগেই বলে রাখা উচিত যে আগের তুলনায় কিন্তু বর্তমানে কুয়েতের ভিসা এবং কুয়েতে যাওয়ার জন্য খরচ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সহ অন্যান্য দেশের এয়ার লাইন্সের ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই মূলত ভিসা সার্ভিস আগের তুলনায় একটু কঠিন হয়েছে।  আপনারা যদি বর্তমানে কুয়েতের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের দেওয়া নিচের লিঙ্ক থেকে জেনে নিতে পারবেন।


    বোয়েসেলের মাধ্যমে কোরিয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


    কুয়েত ভিসা দাম কত

    কুয়েত ভিসার দাম নির্ভর করে ভিসার ধরন, আবেদনকারীর জাতীয়তা এবং কতদ্রুত ভিসা প্রয়োজন তার উপর। কুয়েত ভিসার জন্য আনুমানিক খরচ এখানে দেওয়া হল:

    ভিসার ধরণ খরচ

    • পর্যটন ভিসা (1 মাস) 30-100 কুয়েতি দিনার (KWD)
    • ব্যবসায়িক ভিসা (3 মাস) 60-150 KWD
    • কর্ম ভিসা (2 বছর) 300-1000 KWD
    • ছাত্র ভিসা (1 বছর) 150-300 KWD


    অতিরিক্ত ফি:

    • ভিসা প্রসেসিং ফি
    • মেডিকেল পরীক্ষার ফি
    • বিমানবন্দর নিরাপত্তা ফি
    • কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, আপনাকে অবশ্যই নিম্নলিখিতগুলির জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে:

    ভিসা ফি: এটি ভিসার ধরন এবং আবেদনকারীর জাতীয়তার উপর নির্ভর করে।
    প্রসেসিং ফি: এটি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণের খরচ।
    অন্যান্য ফি: এতে মেডিকেল পরীক্ষার ফি এবং বিমানবন্দর নিরাপত্তা ফি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করার আগে, আপনার নির্দিষ্ট খরচ সম্পর্কে জানতে আপনার নিকটতম কুয়েতি দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।


    বর্তমানে কুয়েতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে হলে খরচ পড়বে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আর আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে তিন লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যেই কুয়েতে যেতে পারবেন।


    বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি কুয়েতে যেতে চান তাহলে আপনি যে সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ভালোমতো জেনে নিবেন আপনি ওই ভিসাতে কি কি সার্ভিস পাবেন এবং আপনাকে এক্সট্রা ভাবে আলাদা কি কি খরচ বহন করা লাগবে। অথবা আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিলে কত ঘন্টা ডিউটি এবং কত টাকা বেতন এই সংক্রান্ত তথ্য গুলো আপনার এজেন্সির মাধ্যমে।


    কুয়েতে ড্রাইভিং চাকরি

    কুয়েতে ড্রাইভিং চাকরি পেতে হলে বাংলাদেশী ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। কুয়েতের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে এবং সেটি কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সার্টিফাইড করে নিতে হবে।  অনেকেই ড্রাইভিং জানেন কিন্তু এখন পর্যন্ত লাইসেন্স হয়নি তারা কিন্তু কখনই কুয়েতে গিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন না তবে এক্ষেত্রে আপনাদের উচিত হবে কুয়েতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে  পুনরায় ড্রাইভিং শিখে তারপরেই লাইসেন্স করতে। তাহলে আপনাদের কাজ পাওয়া সহজ হবে এবং লাইসেন্স করতেও সহজ হবে।



    কুয়েতে ইন্টারন্যাশনাল মাঠে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে অথবা ভারী যানবাহন চলাচলের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেই আপনি কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানিতে অথবা সার্ভিস হোল্ডার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।  বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া এবং মায়ানমারের  শ্রমিকরা কুয়েতে ড্রাইভিং এর পর বিভিন্ন কোম্পানিতে নিয়োজিত আছে। তাই চাইলে আপনারা ও খুব সহজে কাজ করার সুযোগ নিতে পারবেন।

     

    কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

     কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসাতে বেতন ৭৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ বিশ হাজার অথবা এর থেকেও বেশি বেতন পাওয়া যায়। তবে আপনি যদি ড্রাইভিং কাজে বেশি পরিমাণ সময় সুযোগ দিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে ১ লাখ এর উপর মাস শেষে বেতন তুলতে পারবেন।


     তবে নরমালি আপনি যদি বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন তাহলে ৭৫ হাজার টাকা থেকে বেতন শুরু হবে পরবর্তীতে আপনার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং সেই কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা আপনাকে প্রোভাইড করবে সেই সাথে আপনাকে বছর শেষে বোনাস প্রদান করবে।


     তবে কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন অথবা চাইলে নিজেই ড্রাইভিং এর কাজ করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা আপনি যদি নরমাল ড্রাইভিং এর কাজ জানেন সে ক্ষেত্রে আপনি ডেলিভারি বয় হিসাবে কাজ করতে পারবেন।



    কুয়েত ভিসা করতে যা যা প্রয়োজন

    •  ৬ মাস মেয়াদের ভ্যালিড পাসপোর্ট
    • নির্দিষ্ট একটি কাজের প্রশিক্ষণ  প্রাপ্ত সনদ
    • ড্রাইভিং কাজ হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স
    • চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত সনদ
    • কুয়েত দূতাবাস হতে সত্যায়িত কাগজপত্র
    • কোম্পানিতে হলে প্রয়োজনীয় এডুকেশনাল সার্টিফিকেট
    •  স্টুডেন্ট হলে বিশ্ববিদ্যালয় করতে ইনভাইটেশন লেটার



     তবে এই সমস্ত কাগজপত্র যদি কোন ধরনের ভুল থাকে তাহলে তার আগেই ঠিক করে নিতে হবে না হলে কুয়েতের যাবতীয় ভিসা এপ্রুভাল পাবেন না। যেমন এনআইডি কার্ডের ডেট অফ বার্থ এবং নামের কোন ভুল থাকলে তা অবশ্যই সংশোধন করে নিতে হবে। ভিসা প্রবাল করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে আবেদন করতে হবে এবং ফাইলগুলো এটাস্ট করতে হবে।


    বোয়েসেল রোমানিয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি



    কুয়েতে প্রবেশ করতে হলে কুয়েত সরকার অনুমোদিত ভ্যাকসিন গুলো গ্রহন করতে হবে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ২,৩  ডোজ গ্রহণ করলে চলবে এবং সামনে গ্রহণ করতে হতে পারে। কুয়েত সরকার অনুমোদিত ভ্যাকসিন হচ্ছে, অক্সফোর্ড, ফাইজার, জনসন এন্ড জনসন, মর্দানা এই ভ্যাকসিন গুলো দুটি গ্রহণ করলেই আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন।


    কুয়েত ভিসা পাওয়ার পর যা করণীয় ?

    আমরা অনেকেই জানিনা কুয়েত ভিসা পাওয়ার পর আমাদের কি করনীয় আজ আপনাদের সেসকল করণীয় নিয়ে বিস্তারিত বলবো। কুয়েত এয়ারপোর্ট এ আসতে হবে এবং পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে। আপনার ফোনে আপনি ইমুনি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন করে নেবেন।


    কুয়েত মোবাইল আইডি এবং অ্যাপ্লিকেশন এবং স্লোনেক অ্যাপ্লিকেশন এবং টিকিট করার পরে আপনাকে কুয়েত মুসাফির ওয়েবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।


    আসার সময় অবশ্যই কিছুদিন দিনার আনতে হবে, নতুন পরিবেশে আসার জন্যে এবং পরিবেশের সাথে মিল রাখার জন্য কিছুদিন থাকতে হবে এবং যে খরচগুলো হবে তার জন্য কিছুদিন দিনার আনার কথা বললাম। একটি সিম ক্রয় করতে হতে পারে।


    অবশ্যই আপনাকে হোম কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানো হবে, হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে বের হওয়ার পর আপনি স্বাধীন জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।


    কুয়েতের বেতন কত

     কুয়েতে কাজের বেতন কত তা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের কাজ করছেন আপনি যদি সাধারণ ক্লিনার হিসেবে কাজ করেন তাহলে মাসিক ৩৫ হাজার টাকা থেকে বেতন শুরু হয়। তবে আপনি যদি কোম্পানিতে কাজ করেন তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার বেতন ৬৫ হাজার থেকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত পাবেন।


     তবে সম্পূর্ণটা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের কাজ করবেন সেটার উপর বেতন ডিপেন্ড করে। তবে আপনি যদি ভাল কোন কোম্পানিতে কাজ করতে পারে তাহলে অন্যান্য কাজের তুলনায় বেতন বেশি পাবেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই  অভিজ্ঞ হতে হবে তাহলে যে কোন কোম্পানিতেই কাজ পাওয়া সহজ হবে এবং ভালো পরিমানে বেতন পাওয়া যাবে।


    বাংলাদেশ থেকে কুয়েত ভিসা কতো ধরনের ?

    বাংলাদেশ থেকে কুয়েত ভিসা কয়েক রকম ক্যাটাগরিতে পাওয়া যায়। যেমন : কম্পানি ভিসা, খাদেম ভিসা, কোম্পানির মধ্যে পাবেন আপনারা ক্লিন ভিসা এবং ড্রাইভিং ভিসা। যদি আপনি ক্লিন ভিসায় আসতে চান তাহলে আপনাকে বেতন দেবে 75 দিনার এটি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 19 হাজার 500 হবে। হসপিটাল ক্লিনার, রোড ক্লিনার, স্কুল ক্লিনার, মসজিদ ক্লিনার, পুলিশ স্টেশন, অফিস-আদালত ইত্যাদি। যারা ক্লিন কাজের জন্য আসবেন তারা যেখানেই হোক না কেন ক্লিন কাজ পাবেন।


    কাজের কন্টাক কতো দিনের এবং আকামা ফি ?

    এটা আপনাদের জানা জরুরি, কাজের কন্টাক থাকবে তিন বছর। তিন বছর পর পর আকামা হিসেবে কোন কোন কোম্পানি টাকা নেই অথবা কোন কোন কোম্পানি টাকা নেয় না। আকামা নবায়ন ফি ১২০  দিনার থেকে ১৭০ দিনার এর মত।


    তবে বর্তমানে এখনো এ বিষয়ে আপডেট তথ্য পাওয়া যায়নি এটা আগের তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে যারা কাজে কন্টাক্ট এ কাজ করছেন  তাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন বর্তমানে আকামা ফি কত যাচ্ছে এবং কি কি বিষয় নতুন আপডেট করা হয়েছে এ বিষয়গুলো ভালো মতো জেনে নিবেন।

     

    রোমানিয়াতে সরকারিভাবে যাওয়ার উপায়


    কুয়েত ভিসার মূল্য কত

     বর্তমানে কুয়েতের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে আপনাকে ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করা লাগবে তবে আপনি যদি নরমালি টুরিস্ট ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে তিন লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যেই এই ভিসা  নিতে পারবেন।


    কুয়েত ভিসা নিয়ে সতর্কতা

     তবে কুয়েতের যেকোনো ধরনের ভিসা তৈরি করার সময় অবশ্যই সেই ভিসা অনলাইনের মাধ্যমে দেখে তারপরেই ভিসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন এক্ষেত্রে বর্তমানে কুয়েতের ভিসা নিয়ে অনেক ধরনের জালিয়াতি কার্যক্রম সমাজে প্রচলিত আছে। তাই আপনি ভিসা হাতে পাওয়ার পরে কুয়েতের ভিসা অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে নিতে পারবেন।


     এক্ষেত্রে আপনি কুয়েতের ভিসা যদি অনলাইনে চেক করেন তাহলে আপনি বর্তমানে কোন কোম্পানিতে কাজ পেয়েছেন এবং বেতন কত এবং কত দিন পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ এই সংক্রান্ত তথ্য গুলো আপনি অনলাইনের মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন।

    1 মন্তব্যসমূহ

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment

    নবীনতর পূর্বতন