কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | কাজাখস্তান কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    যারা প্রবাসে গিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কাজাকিস্তান হল গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ যেখানে গিয়ে আপনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন।এমনকি কাজাখস্তান এ গিয়ে আপনি সেখানকার নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন


    আর যদি সেখানকার নাগরিকত্ব নিতে পারেন তাহলে আপনি ওখান থেকে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে ইউরোপ সহ বিভিন্ন কান্ট্রিতে আপনি যেতে পারবেন। তাই আজকে আমরা কথা বলবো কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে করবেন। কাজাখস্তান টুরিস্ট ভিসা এবং কাজাখস্তান স্টুডেন্ট ভিসা এবং কাজাখস্তান কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিচে তুলে ধরা হলো


    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

    কাজাখস্তান এর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এখন বাংলাদেশ থেকেও পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের যে সমস্ত রিকরটিং এজেন্সি রয়েছে এই এজেন্সি গুলো কাজাকাস্থানের বিভিন্ন কোম্পানির ভিসা তারা প্রোভাইড করছে। এক্ষেত্রে কাজাকাস্থানে যাওয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তবে কাজের উপর ডিপেন্ড করে ভিসার দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে আপনি যদি ভালো কোন কাজ নিয়ে যেতে চান তাহলে আরো বেশি দাম পড়বে।


    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে কাজাখস্তান এর বিভিন্ন কম্পানি ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিট করতে হবে এবং তাদের ওয়ার্কার নিয়োগ বিষয়ে যে সমস্ত প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করেছে সেগুলো দেখতে হবে। এবং ঐ সমস্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আপনার সি ভি টি জমা দিতে হবে তাহলে আপনার মেইল অথবা ফোন নাম্বার অনুযায়ী আপনার সাথে যোগাযোগ করবে যোগাযোগ করার পরে যদি আপনি সিলেক্ট হয়ে যান তারপরে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দিয়ে দিবে

    আপনি যদি দেশে থেকেই কাজাকাস্থানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে কাজাখাস্তানের বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। যদি কাজাখাস্তানের ওই কোম্পানিতে আপনি চাকরি পেয়ে যান তাহলে আপনাকে ভিসা দিয়ে ওই কোম্পানি নিয়ে যাবে।


    কাজাখস্তান কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

    কাজাখস্তান এর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। তারা কনস্ট্রাকশন কম্পানি অথবা জাহাজ মেকানিকাল, রেস্টুরেন্ট ক্লিনার, মেডিকেল ক্লিনার, এবং ভালো বেতন সহ ড্রাইভিং এর জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। কাজাখস্তান এর সবচেয়ে বেতন বেশি কাজের মধ্যে ডাইভিং এর কাজ


    বর্তমানে এই কাজ করে মাসে 1 থেকে 2 লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। তবে এই কাজে অভিজ্ঞ তাছাড়া আপনি সেখানে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই আপনাকে এই কাজ বিষয়ে আগে অভিজ্ঞতা হয়ে তারপরে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন

    উপরুক্ত যে সমস্ত বিষয়ের উপর কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কাজাকিস্তান সরকার তার মধ্যে সবগুলোতেই আপনাকে দক্ষ হয়ে তারপরে আপনি কাজাখস্তান ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনি রেস্টুরেন্ট এবং মেকানিক্যালের কাজগুলো করে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশ সহ ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য দেশের কর্মীরা এখানে কাজ করে থাকেন

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত

    বর্তমানে কাজাকাস্থানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম ধরা হয় পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা। কাজাখস্তান ভালো মানের কাজ নিয়ে যেতে হলে আরো বেশি খরচ পড়তে পারে। কারণ বাংলাদেশ থেকে কাজাখাস্তানের দূরত্ব বেশি না হলেও বিমান ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং বিমান যোগাযোগ অন্যান্য মাধ্যমে হওয়ার কারণেই মূলত ভিসার দাম বেশি

    তবে আপনি যে কোম্পানির মাধ্যমে যাবেন সেই কোম্পানি কর্তৃক জেনে নিবেন কত টাকা বেতনের চাকরি এবং আপনি সেখানে কতদিন অবস্থান করতে পারবেন। তা না হলে পরবর্তীতে আপনাদের ঝামেলার মধ্যে পড়তে হতে পারে এমনকি আপনি যে কোম্পানিতে যাচ্ছেন সেই কোম্পানি কতদিন যাবত চলছে এবং ভবিষ্যতে তার শ্রমিকদের আগ্রহ থাকবে কিনা এই বিষয়গুলো ভালো মতো জেনে নিবেন।

    কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    কাজাকাস্থানে কাজ করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। মূলত এই সমস্ত কাগজপত্র গুলো বিভিন্ন কোম্পানিতে জয়েন করার ক্ষেত্রে অথবা আপনি যখন চাকরি একটার দিকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হবেন সেক্ষেত্রে কিন্তু এই কাগজপত্র গুলো দেখানো লাগে।

    অথবা আপনি যখন কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিবেন তখন আপনাকে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো দেখেই কিন্তু গাজাখাস্তানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে অফলাইনের মাধ্যমে দুই ভাবেই আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো এটাস্ট করে দিতে হবে তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক।

    • ছয় মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট
    • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
    • পূর্বে কোন কোম্পানিতে কাজ করলে তার প্রমাণ
    • যে বিষয়ের উপর দক্ষতা তার একটি সনদপত্র
    • বাবা মায়ের এন আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত সনদ


    তবে উপরোক্ত কাগজপত্র যদি কোন ধরনের ভুল থাকে তাহলে তা আগেই ঠিক করে রাখতে হবে তা না হলে ভিসা জটিলতা দেখা দিতে পারে। পাসপোর্টে যে স্বাক্ষর ব্যবহার করেছেন সেই স্বাক্ষর অনুযায়ী প্রত্যেকটা কাগজপত্র স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে এক্ষেত্রে যদি স্বাক্ষর আলাদা হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

    কাজাখস্তান যাওয়ার উপায়

    কাজাখস্তান যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইনভাইটেশন লেটার পাওয়া লাগবে তারপরে আপনি কাজাকিস্তান যাওয়ার অনুমতি পাবেন তবে বাংলাদেশের জন্য একটু ভিন্নভাবে যাইতে হবে। কারন বাংলাদেশ থেকে কাজাখস্তান যাওয়ার বিমান পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়াতে যাওয়া লাগবে মাধ্যমে

    সেখানে গিয়ে বিমান এর টিকিট কেটে কাজাখস্তান উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ইন্ডিয়া তে গিয়ে কয়েকদিন অবস্থান করা লাগতে পারে। কারণ কাজাখস্তানে যাওয়ার জন্য সপ্তাহে দুইদিন ফ্লাইট যাতায়াতের ব্যবস্থা। তারমানে সপ্তাহে দুই দিন কাজাখস্তানের উদ্দেশ্যে বিমান রওনা দেয়

    কাজাখস্তান যাওয়ার জন্য অথবা ভিসার যেকোনো আবেদনের জন্য বাংলাদেশের কিছু অনুমোদিত কোম্পানি আছে বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আছে সেখান থেকে আপনি যোগাযোগ করে কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।


     কাজাখস্তান যাওয়ার উদ্দেশ্যে আপনাকে যে কোন প্রকার সাহায্য করতে পারে বি এম আই টি এখান থেকে আপনি সর্বপ্রকার সাহায্য পাবেন এবং কাজাকিস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে আপনাকে অবগত করবে এটি শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠান। তাছাড়াও আপনারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যুরো এর অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা যারা পাঠায় তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন

    কাজাখস্তান স্টুডেন্ট ভিসা

    কাজাখস্তান আপনি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সেখানে যেতে পারেন তবে অবশ্যই আপনাকে এইচএসসি পাস থাকা লাগবে। তাহলে আপনি কাজাখস্তান স্টুডেন্ট ভিসায় প্রবেশ করতে পারবেন। এবং স্টুডেন্ট ভিসা তে গিয়ে আপনি সেখানে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রতিষ্ঠান হতে প্রশংসা পত্র সহ বিভিন্ন কাগজপত্র লাগবে। তাই কাজাখস্থান স্টুডেন্ট ভিসা নিতে হলে আপনাকে কাজাখস্তান এর গভমেন্ট এডুকেশন সাইট গুলোতে স্কলারশিপের উপর আবেদন করতে হবে

    কাজাকস্থান টুরিস্ট ভিসা

    দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর সমস্ত জায়গায় সাথে কাজ করার অনুমোদন থাকে না এমনকি জরিমানা গুনতে হয় কিন্তু কাজাখস্তান টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন তবে আপনার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে আবার আপনাকে চলে আসা লাগতে পারে সেক্ষেত্রে তাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়াই উত্তম


    কাজাখস্তান থেকে স্পেন ভিসা

    কাজাখস্তান ভোটে আপনি স্পেনের ভিসা খুব সহজেই পাবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ব্যাংকের ট্রানজাকশন স্টেটমেন্ট লাগবে। ট্রানস্যাকশন স্টেটমেন্টে যদি আপনি অধিক পরিমাণ টাকা ট্রানজেকশন করে থাকেন তাহলে আপনার ভিসা পেতে খুব একটা ঝামেলা হবে না। আপনি আপনার ফ্রেন্ড অথবা ফ্যামিলি হতে ট্রানজেকশন বাড়িয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনার ভিসার জন্য কোন ঝামেলা হবে না

    আপনি যে ভিসায় যেতে চাচ্ছেন স্পেনে সেই বিষয়ের উপরে দক্ষ হয়ে এবং সেখানকার একটা সার্টিফিকেট নিয়ে আপনি স্পেনের উদ্দেশ্যে যাইতে পারবেন। তবে আপনাকে যেকোনো একটি কাজের পুরো দক্ষ হয়ে সেই কাজের একটি সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে তাহলে আপনি স্পেনের উদ্দেশ্যে কাজাখস্তান স্পেনে যাইতে পারবেন


    কাজাখস্তান টুরিস্ট ভিসা মাধ্যমে স্পেন যাওয়ার উপায়

    কাজাখস্তান টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কাজাখস্তানে অবস্থান করা লাগবে এবং কাজাখস্তান বিমানবন্দর থেকে আপনাকে স্পেন যাইতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট অধিক পরিমাণ টাকা ট্রানজেকশন দেখাতে হবে যদি আপনি অধিক পরিমাণ টাকা ট্রানজেকশন দেখাতে পারেন তাহলে আপনি কাজাখস্থান স্পেনের উদ্দেশ্যে যাইতে পারবেন এইভাবে বাংলাদেশের অনেক মানুষ কাজাখস্থান হতে স্পেনের উদ্দেশ্যে যাই

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন