জার্মানি টুরিস্ট ভিসা-জার্মানি ভিসা প্রসেসিং

    জার্মানি টুরিস্ট ভিসা


    আজকে আমরা কথা বলব জার্মানি টুরিস্ট ভিসা কিভাবে করবেন এবং জার্মানি টুরিস্ট ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে। তাছাড়াও জানতে পারবেন জার্মানি টুরিস্ট ভিসা করতে হলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এবং মেডিকেল রিপোর্ট কিভাবে তৈরি করবেন এবং কোথায় মেডিকেল করানো উচিত এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।


    জার্মানিতে বিভিন্ন কারণে অনেকেই ট্যুর করে থাকে। তবে অনেকেই জানে না জার্মানি টুরিস্ট ভিসা কিভাবে তৈরি করতে হয় এবং টুরিস্ট ভিসাতে সর্বোচ্চ কত দিন পর্যন্ত সে জার্মানিতে অবস্থান করতে পারবে এবং টুরিস্ট ভিসা থাকা অবস্থায় সে কি কি কাজ করতে পারবে এবং কি কাজ করতে পারবে না এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েই আজকে আমরা তুলে ধরেছি।


    জার্মান দেশটি একটি ভদ্র দেশ হিসেবে বিবেচিত করা হয়। এবং অন্যান্য দেশের থেকে অনেকটাই সুন্দর যে পরিপূর্ণ দেশ হলো জার্মানি। অনেকেই শিক্ষা ক্ষেত্রে অথবা বিভিন্ন ধরনের বিজনেস করার জন্য অথবা শুধুমাত্র বেড়ানোর উদ্দেশ্যে অথবা হানিমুন করার উদ্দেশ্যে ও অনেকেই জার্মানিতে যেয়ে থাকে। সেই সাথে অনেকেই খেলার জন্য অথবা বিভিন্ন এডুকেশনাল সিস্টেম গুলো ফলো করার জন্য যে থাকে।


    জার্মানি টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং

    জার্মানি টুরিস্ট ভিসা করার জন্য সরাসরি বাংলাদেশের যেকোনো এজেন্সির মাধ্যমে করতে পারবেন অথবা ইন্ডিয়ান জার্মানি দূতাবাস থেকেও করতে পারবেন। এক্ষেত্রে জার্মান দূতাবাসের মাধ্যমে সরাসরি আপনি যদি জার্মানি টুরিস্ট ভিসা করতে চান তাও করতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আপনাকে জার্মানি টুরিস্ট ভিসা সম্পন্ন করতে হবে।


    আর আপনি যদি বেসরকারি এজেন্সি এর মাধ্যমে জার্মানি টুরিস্ট ভিসা করেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা ছাড়া এবং যে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো প্রয়োজন হয় তা অনেকটাই শিথিল যোগ্য হয়ে থাকে। তাই অনেকেই দূতাবাসের মাধ্যমে কোলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকে তাই অনেকেই বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমেই জার্মানি টুরিস্ট ভিসা করে থাকে।


    জার্মানি টুরিস্ট ভিসা কিভাবে করবেন

    জার্মানি টুরিস্ট ভিসা করার জন্য অনলাইন থেকে অথবা জার্মানি দূতাবাস থেকে আবেদন পত্র নিয়ে সেটা পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়ে আবেদন ফরমের সাথে জমা দিতে হবে এবং যে সমস্ত কাগজপত্র গুলো চাওয়া হয় তা সবগুলোই সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করে দিতে হবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটি কারণ দেখাতে হবে আপনি কতদিন ট্যুর করবেন এবং কি উদ্দেশ্যে ট্যুর করতে চাচ্ছেন এই বিষয়গুলো দেখাতে হবে।


    বুয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


    সাধারণত জার্মানি করতে হলে বাংলাদেশ থেকে সমস্যা করে থাকে কেননা বাঙালিরা অনেকেই সেখানে গিয়ে পালিয়ে থাকার চিন্তা ভাবনা করে অথবা সেখান থেকে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাই এই বিষয়গুলো স্বরূপ দেখানো লাগে কেননা আপনি যদি সেখানে থেকে যান তাহলে পরবর্তীতে যাতে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যায় সেই ভাবেই আপনাকে অনুমতি দেওয়া হয়।


    জার্মানি টুরিস্ট ভিসা খরচ কত

    জার্মানি টুরিস্ট ভিসা করার জন্য আট হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকার মত খরচ হয়ে থাকে দূতাবাসের মাধ্যমে করতে গেলে। তবে আপনি যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে করতে চান তাহলে আপনার অন্যান্য প্যাকেজ সহ খরচ ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।


    বুয়েসেলের মাধ্যমে ফিজিতে কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


    এর মধ্যে বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ তুলে ধরা হয় সেই সাথে আপনি কতদিন পর্যন্ত অবস্থান করবেন এবং কোন জায়গাগুলোতে অবস্থান করবেন এই বিষয় নিয়েও যে সমস্ত খরচ হয়ে থাকে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আবেদন ফ্রি এবং টুরিস্ট ফি কত টাকা এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েই একটি নির্ধারিত প্যাকেজ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।


    দেশের বাইরে থেকে জার্মান টুর কিভাবে করবেন

    আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন তাহলে জার্মানি টুরিস্ট ভিসা করতে অনেকটাই সহজ হবে এক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোন দূতাবাসের মাধ্যমে গিয়ে যদি আপনি জার্মানি টুরিস্ট ভিসা নেবেন বলে তাদেরকে জানান তাহলে তাদের প্রসেস সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবে। এবং প্রয়োজনীয় নির্ধারিত ফ্রি প্রদান করে আবেদন সম্পন্ন করলেই 15 দিনের মধ্যেই জার্মানি টুরিস্ট ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন।


    তবে আপনি কি উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন এবং কতদিন পর্যন্ত থাকবেন সেই বিষয়ে সংক্রান্ত একটি প্রমাণ আপনাকে দেখানো লাগবে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য কাগজপত্র যদি চেয়ে থাকে যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়গুলো অবশ্যই দেখাতে হবে।


    জার্মানি টুরিস্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম

    জার্মানি টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনার এনআইডি কার্ডের নাম অনুযায়ী এবং আপনার পাসপোর্টে দেওয়া স্বাক্ষর অনুযায়ী আবেদন ফরমে পূরণ করতে হবে। আপনার এন আইডি কার্ড যদি কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে অবশ্যই আগে থেকেই সবকিছু ঠিক করে নেবেন এবং আপনার অন্যান্য কাগজপত্র গুলো যে সমস্ত জায়গা থেকে সত্যায়িত করার কথা বলা হয়েছে অবশ্যই ঐ সমস্ত কাগজপত্র গুলো সত্যায়িত করে নিবেন।


    বোয়েসেল এর মাধ্যমে রোমানিয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


    পাশাপাশি আপনি কতদিনের জন্য যাচ্ছেন এ সংক্রান্ত অথবা আপনি কি কাজের জন্য সেখানে ট্যুর করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়গুলো ভালোমতো দেখে নিবেন এবং প্রয়োজনীয় মেডিকেল রিপোর্টসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো দেখে নিবেন। করোনা মহামারির পর থেকে কিন্তু অবশ্যই করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার বিষয়টি তারা জার্মান ট্রাভেল এজেন্সি গুলো নিশ্চিত করেছে তাই অবশ্যই করানো হয়েছে নিশ্চিত করতেই হবে।


    জার্মানি টুরিস্ট ভিসাতে কতদিন থাকতে পারবেন

    জার্মানি টুরিস্ট ভিসাতে সর্বনিম্ন ৩০ দিন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আপনি ৯০ দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে পারবেন তবে বিশেষ কোনো কারণে যদি আপনি পরবর্তীতে সময় বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে নিকটস্থ দূতাবাসে গিয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংযোজন করে তারপরে আপনি পরবর্তী সময় বাড়িয়ে নিতে পারবেন তবে আপনাকে অবশ্যই পরবর্তী ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হওয়ার পরেই তারা নিশ্চিত করবে আপনি কত দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে পারবেন।


    তবে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে জার্মানিতে কিন্তু টুরিস্টদের জন্য প্রত্যেক মাসের শেষে একবার করে আপনাকে দূতাবাসে গিয়ে আপনার বিষয়গুলো জানাতে হয় সেই সাথে আপনি কোথায় অবস্থান করছেন এবং কোন হোটেলে আছেন এই সংক্রান্ত তথ্য গুলো আপনাকে সংযোজন করতে হবে এবং তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন সিস্টেমেও প্রসেস দেওয়া আছে।


    জার্মানি টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে কি কাজ করা যায়

    জার্মানি টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন। সাধারণত যারা টুরিস্ট ভিসায় তারা কিন্তু কাজ করার জন্য যায় না তারা মূলত বিভিন্ন বিজনেস করার উদ্দেশ্যে অথবা অন্যান্য বিষয়গুলো রিসার্চ করার জন্য যে থাকে তাই আপনি যদি সেখানে গিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনার দেশের এবং আপনার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে কেননা জার্মানিতে যারা টুরিস্ট ভিসাই যায় তাদের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি থাকে।


    রোমানিয়া জব এজেন্সি এবং রোমানিয়া ভিসা এজেন্সি সংক্রান্ত তথ্য


    তবে আপনি যদি আপনার নির্ধারিত কোন কোম্পানির কাজ করেন অথবা কোন ধরনের লো মানের কাজ না করেন তাহলে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবে না তবে আপনি যদি একবারে হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যক্তি হয়ে নিম্নমানের কাজ করে থাকেন তাহলে আপনাকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে অথবা আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী যদি আপনাকে নিম্নমানের কাজে দেখা হয় তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে ভিসা জটিলতার মধ্যে পড়তে পারেন।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন