সিজার করার পরে মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয় তবে কতদিন পর্যন্ত বিরত থাকতে হয় তা এখন পর্যন্ত কেউ জানেনা তাই আজকে আমাদের মূলত এই বিষয় নিয়ে আপনাদেরকে আলোচনা করব যে কতদিন পর্যন্ত আপনারা মিষ্টি খেতে পারবেন না এবং কোন ফলমূল গুলো এবং কি কি খাওয়া উচিত এই নিয়ে নিচে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
সিজার অপারেশনের পর কেউ যদি মিষ্টি খাই তাহলে সিজারের স্থান ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এমনকি যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে এবং ডায়াবেটিস রোগীর যদি সিজার করা হয় তাহলে মিষ্টি খাওয়ার পরে কিন্তু সিজারের স্থানের ঘা শুকাতে অনেকটা দেরি হয় এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই নির্দিষ্ট একটি সময়ে পরেই খাওয়া উচিত।
সিজারের পর মিষ্টি খেলে কি হয়
সিজার অপারেশন সম্পন্ন হওয়ার পরে কেউ যদি মিষ্টি খাই তাহলে ঘা শুকাতে দেরি হবে এবং সিজারে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কেউ যদি ভুলক্রমে মিষ্টি খেয়ে ফেলে তাহলে সিজারের স্থানে সমস্যা তৈরি হতে পারে এমনকি যাদের ডায়াবেটিস আছে বা ইনফেকশনজনিত সমস্যা আছে তাদের কিন্তু মিষ্টি খেলে সিজারের স্থানে আরো সমস্যা বেশি দেখা দিবে।
সিজার হওয়ার পরে অত্যন্ত কিছু দিন পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে এর মধ্যে সবুজ শাকসবজি সহ অন্যান্য খাবারগুলো খেতে হবে যাতে তাড়াতাড়ি ঘা শুকিয়ে যায়। এবং হালকা পরিমাণ হাঁটাচলা করতে হবে আমাদের মধ্যে অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে সিজার করার পরে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ তবে আসলেই তানা স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে।
সিজারের স্থানে ব্যথা হলে কি করবেন
সিজারের কতদিন পর মিষ্টি খাওয়া যায়
তাই কেউ যদি সিজারের পরে মিষ্টি খেতে চাই তাহলে অত্যন্ত তিন সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিন সপ্তাহ পরে যদি সিজারের স্থানে বা সিজারের কাটা স্থানে ঘা থাকে মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং কেউ যদি ভুলক্রমে মিষ্টি খেয়ে ফেলে এবং সেখান থেকে যদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
তিন সপ্তাহের মধ্যে যদি কোন ধরনের প্রবলেম না থাকে এবং সিজারের স্থান শুকিয়ে যায় তাহলে খাতে পারবে তবে যাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা থাকে যেমন ডায়াবেটিকস ইনফেকশনজনিত সমস্যা সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যা থাকলে তা একেবারেই খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং ডাক্তারকে দেখানোর পরে সে যদি অনুমতি দেয় তারপরেই মিষ্টি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন।
সিজারের কাটা শুকানোর কতদিন লাগে দেখে নিন
সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায়
সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায় এটা সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে স্বাস্থ্যের উপর। এটা মূলত স্বাস্থ্য যদি ভালো থাকে তাহলে দ্রুতই সে ভারী কাজ করতে পারবে। সাধারণত ডাক্তাররা মিনিমাম তিন মাস পর্যন্ত ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলে। এক্ষেত্রে সিঁড়ি ব্যবহার করা অথবা দীর্ঘক্ষন হেঁটে যাওয়া বা ভারী বালতি উত্তোলন করা এই বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
তাই এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির যদি তিন মাসের আগেই এটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলে আসে তাহলে কিন্তু সে হালকা পরিমাণ ভারী জিনিসগুলো উত্তোলন করতে পারবে। তবে তার যদি সন্দেহ হয় যে তার কাটা ঘায়ের স্থানে এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি তাহলে কখনোই ভারী কোন জিনিস উত্তোলন করা উচিত না তিন মাস পর্যন্ত।
সিজারে কতদিন পর টক খাওয়া যাবে
এটা সম্পূর্ণটা নির্ভর করে আপনার কাটা ঘায়ের স্থানের উপর এক্ষেত্রে যদি ঘা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে আসে তাহলে খেতে পারবেন এক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই তবে প্রথমের দিকে ডাক্তার একেবারে সম্পূর্ণভাবে খেতে নিষেধ করে তাই উচিত হবে মিনিমাম এক মাস পর্যন্ত কোন ধরনের টক জাতীয় খাবার না খাওয়াতে করে কাটা ঘায়ের স্থানে কিন্তু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সিজার অবস্থায় যে কোন খাবার খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এতে করে কোন সমস্যা হবে না অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো এলার্জি জাতীয় খাবার সেগুলো কিন্তু সিজার করার কারণে সমস্যা দেখা দেয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হবে অথবা টক জাতীয় বা বিভিন্ন খাবারের যদি আপনার সমস্যা থাকে সেগুলো জেনে নিতে পারবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন