বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার ঔষধ, বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার উপায়

    বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার ঔষধ, বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার উপায়


    অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তি বা কোন বাদশা যদি রাত্রে বিছানায় মূত্রত্যাগ করে বা প্রস্রাব করে তাহলে তাকে বলা হয় বেডওয়েটিং। বছরের বেশি শিশুদের ক্ষেত্রে এ প্রবণতা বেশি দেখা যায় এবং বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় নকচারনাল কিংবা রাত্রিকালীন বিছানা। এই রোগ সাধারণত মানসিক বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলে থাকে। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব বিছানায় প্রস্রাব করার ঔষধ এবং বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য


    বিছানায় পস্রাব করা বাচ্চাদের বাপ মা কি ভালো ভাবে বিষয়টা দেখতে চায় না এক্ষেত্রে 5 থেকে 6 বছরের বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকেই আছে যারা বিছানায় প্রস্রাব করে। তাই অধিকাংশ বাচ্চাদের মা বাবা একথা বলে থাকে যে কিভাবে থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণের অসম্পূর্ণতা অপরিপক্কতার কারণে যেকোনো বয়সেই বয়সে রাত্রে বিছানাতে প্রস্রাব করতে পারে। এটা প্রত্যেকটি বাবা-মায়ের জন্য একটি বিব্রতকর বা অস্বস্তিকর একটা অবস্থা হতে পারে


    বিছানায় প্রস্রাব করার কারণ

    বিছানায় প্রস্রাব করার বিভিন্ন ধরনের কারণ হতে পারে তবে এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ রয়েছে যার কারণে ছোট বাচ্চারা সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ বিছানায় প্রস্রাব করতে পারে। মানসিক ঝুঁকি, জন্মগত বা বংশগত কারণ, হরমোন ভারসাম্যহীনতা, নিদ্রাহীনতা, দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিকস, মূত্রনালীর সংক্রমণ, উপরোক্ত কারণগুলোর জন্যই সাধারণত যেকোনো বয়সের মানুষ বিছানায় প্রস্রাব করতে পারে


    সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী কোনো চিকিৎসা নেই অবশ্য এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় আর এই জন্য দরকার সঠিক পরামর্শ এবং সঠিক চিকিৎসকের দ্বারপ্রান্তে হওয়া তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে এই বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দেবো তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার ওষুধ কি এবং ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে বন্ধ করবেন বিছানায় প্রস্রাব করা


     বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার ঔষধ 

    বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার অ্যান্টিকোলিনেরজিক ওষুধটি মূত্রাশয় এর সংকোচন এর পরিমান কাজ করতে সাহায্য করে এবং মূত্রাশয় এর ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধিক সময় এই ঔষধটি দিনের বেলাতে প্রস্রাব করলেও এ ওষুধটি দেওয়া হয় এবং জটিল চিকিৎসার জন্যঅ্যান্টিকোলিনেরজিক ওষুধ টি ব্যবহার করা হয়


    ডেসমোপেরেসিন

    ডেসমোপেরেসিন এই ঔষধটি তাৎক্ষণিকভাবে 50 থেকে 80 শতাংশ ক্ষেত্রে বিছানায় প্রস্রাব করা কমিয়ে দিতে পারে। তবে অল্প সময়ের জন্য কোন ক্যাম্প বা বন্ধুদের সঙ্গে কোন ভ্রমণ বা ছুটি কাটাতে এর দুটি ব্যবহার করা যেতে পারে এই ক্ষেত্রে বিছানায় প্রস্রাব করা থেকে বিরত থাকবে তবে এটি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত


    Desmopressin

    রাত্রে প্রসাব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই ওষুধটি পাঁচ বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের ট্যাবলেট হিসেবে খাইয়ে দেওয়া হয়। যা বার বার প্রসাব করার প্রবণতা কমিয়ে দেয় এবং প্রস্রাবের মাত্রা হ্রাস করে। তবে এ ক্ষেত্রে এটি একবারে নির্মল করবে এমন কোন বিষয় নাই তবে এটি ওষুধটি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে থাকতে হবে। ওষুধ সেবন করার পরে অত্যধিক পানি পান করা যাবে না। প্রথম অবস্থায় অল্প অল্প পানি পান করতে থাকতে হবে এবং পরবর্তীতে বেশি মাত্রায় পানি পান করলেও সমস্যা হবে না। তাছাড়াও অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত


    আরো পড়ুন: ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার 10 টি উপায়


    বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার উপায় 

    বিছানায় প্রস্রাব করা এটা তেমন কোন রোগ নয়, ডায়াবেটিকস বা মানসিক কিংবা শরীর ক্লান্ত থাকলে বিছানায় প্রস্রাব করার প্রবণতা তৈরি হয়। এইজন্য নিজের খাদ্যকে কন্ট্রোল করুন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, রাতের বেলায় মিষ্টি এবং পানি জাতীয় খাবার পরিহার করুন, ভাজাপোড়া খাবেন না, যদি ডায়াবেটিস থাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং ডাক্তারের চিকিৎসা নিন


    রাত্রিকালীন কোনো ব্যক্তি বা কোন বাচ্চা যদি নিয়মিত পেশাব করে তাহলে এক্ষেত্রে পরবর্তীতে এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। এটা প্রায় সব শিশুদের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায় আবার অনেকেই আছে যাদের কোন ধরনের সমস্যা হয় না। যে সমস্ত বাচ্চারা রাত্রিকালীন প্রস্রাব করে তারা কিন্তু দিনের বেলায় ঘুমানোর সময়ও এই কাজটি করতে পারে। তাই তাদের মেরুদন্ড, তলপেট, বা মূত্রথলি ,অঙ্গের বিশেষ করে পায়ের স্নায়ুর বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে


    বাচ্চাদের কোন ভয়ানক আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং পাশাপাশি তাদের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন এবং তাদের রুটিন পরিবর্তন করার সুযোগ সুবিধা দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে হবে। সেই হিসাবে রাত্রে পানির পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে রাত্রে মাঝেমাঝে সময় উঠিয়ে পানি পান করাতে হবে এবং রাত্রে বিভিন্ন সময়ে বাচ্চাকে তুলে পেশাব করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে


    এইভাবে যদি দুই থেকে তিন মাস নিয়মমাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চারা বিছানায় প্রবেশ করা অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে তা ছাড়াও যদি কোন ধরনের সমাধান না পান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেই অনুযায়ী আশা করা যায় এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে


    বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার দোয়া 

    বিছানায় প্রসাব করার জন্য সুরা ফাতেহা তিনবার, সূরা ইখলাস তিনবার, আয়াতুল কুরসী তিনবার পাঠ করে দুইহাতে ফু দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মাসাজ করুন এভাবে প্রত্যেক দিন যদি রাত্রে ঘুমানোর আগে এই দোয়া করল পাঠ করুন। তাহলে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন শয়তানের খারাপ প্রভাব থেকে মুক্তি দিবে এবং বিছানায় প্রস্রাব করা বন্ধ করতে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন সাহায্য করবে


    তাছাড়াও এইগুলো প্রত্যেক নামাজের পরেই পড়া উচিত এতে করে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কাছে অনেকটা প্রিয় হওয়া যায় তাই অবশ্যই যাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা আছে অথবা বিছানায় প্রস্রাব করার সমস্যা আছে তারা এইগুলো নিয়মিত পাঠ করতে পারেন


    আরো পড়ুন: চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ও চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ


    বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাব বন্ধের আমল 

    প্রত্যেকদিন ঘুমানোর আগে জানালা দরজা বন্ধ করার সময়ই বিসমিল্লাহ পড়া বন্ধ করতে হবে এবং ঘুমানোর আগে সূরা ফাতিহা তিনবার, সূরা ইখলাস তিনবার, আয়াতুল কুরসি তিনবার পড়ে বাচ্চার গায়ে দিয়ে ঘুমিয়ে দিতে হবে তাহলে শয়তানের খারাপ প্রভাব থেকে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন হেফাজতে রাখবে এবং বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাব করা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে


    এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত বাচ্চাদের ঘুমানোর আগে অবশ্যই বিসমিল্লাহ পাঠ করে অন্যান্য দোয়া দরুদ পড়ে বাচ্চার গায়ে ফু দিয়ে ঘুমিয়ে দেওয়া উচিত এক্ষেত্রে স্বপ্ন দেখার কারণে বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে এই সমস্ত সমস্যা থেকে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বাচ্চাদেরকে সাহায্য করে তাই অবশ্যই পাঠ করতে হয়


    বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার হোমিও ঔষধ 

    রাস-এরোমেটিক শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করার জন্য দিনে তিনবার এবং 5 ফোঁটা করে খাইয়ে দিতে হবে। যে সমস্ত বাচ্চারা বিছানায় প্রসব করে তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। 5 থেকে 6 বছরের নিচে বাচ্চাদের জন্য এই ওষুধটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করলে বিছানায় প্রস্রাব করা থেকে বন্ধ করা যায়


    বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার তাবিজ

    বিছানায় প্রস্রাব করার জন্য কেউ যদি তাবিজ ব্যবহার করে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে কোনো কাজ হবে না। কেননা তাবিজ দিয়ে কখনই বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করা যায় না। যেকোনো ধরনের কবিরাজি তাবিজ দিয়ে কখনোই বিছানায় প্রস্রাব করা বন্ধ করাতে পারবে না। ডাক্তারের চিকিৎসা অনুযায়ী পরামর্শ নিলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং আস্তে আস্তে পরবর্তীতে এ রোগ থেকে অটোমেটিক ভাবে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই কোনো ব্যক্তি বা কোন মাধ্যম হতে কখনোই বিছানায় প্রবেশ করার জন্য তাবিজ ব্যবহার করবেন না


    আরো পড়ুন:  মুখের ঘা এর ঔষধের নাম | জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম


    বাংলাদেশে অনেক কবিরাজ রয়েছে যারা কিনা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ফতোয়ার মাধ্যমে অথবা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে আপনাকে তাবিজ ধরিয়ে দিতে পারে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার কাছ থেকে খুবই কম মূল্য তাবিজ বিক্রি করতে পারে তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখবেন যে কখনোই তাবিজ-কবজ দিয়ে বিছানায় পেশাব করা বন্ধ করা যায় না


    বিছানায় প্রস্রাব করার কারণ 

    বিছানায় প্রস্রাব করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কারণ হতে পারে এক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে গেলে অথবা মানসিক, শারীরিক নির্যাতন, অথবা শারীরিক দুর্বলতা, ঘুমের মধ্যে ভয়ানক স্বপ্ন দেখলেই বিছানায় প্রস্রাব করতে পারে আর এটাই মূলত মেইন কারণ। তাই এই সমস্ত বিষয় গুলো রেখে কেউ যদি সঠিকভাবে নিয়মমাফিক পরিচালনা করতে পারে তাহলে বিছানায় প্রস্রাব করা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়


    তাছাড়াও যে সমস্ত বাচ্চারা অধিক মাত্র খাবার খাই অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে তাদেরকে নিয়মমাফিক পানি পান করাতে হবে এবং রাত্রে ঘুমানোর আগে অবশ্যই বারবার ডেকে তাকে পেশাব করার চেষ্টা করাতে হবে


    বড়দের বিছানায় প্রস্রাবের চিকিৎসা 

    বড়দের বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে সাধারণত ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে বিছানায় প্রস্রাব করা বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু এটা যদি নিয়মিত হতে থাকে এবং বড় হওয়ার পরেও বিছানায় প্রস্রাব করার প্রবণতা বাড়তেই থাকে তাহলে কিন্তু অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে


    এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে বড়দের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে অথবা মিষ্টি ঘনঘন খাওয়ার কারণে এবং শারীরিক-মানসিক কোন ধরনের সমস্যার মধ্যে থাকলে এই প্রবণতা বাড়তেই থাকে। ডাক্তাররা তার প্রয়োজনীয় সমস্যাগুলো জানার পরেই নির্ধারিত একটি ট্রিটমেন্ট নিলে অবশ্যই প্রস্রাব করা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব


    আরো পড়ুন: আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান


    ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব 

    ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব যেকোনো মানুষের হতে পারে। তবে এটি যদি নিয়মিত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং যে সমস্ত অভ্যাসের কারণে এগুলো হচ্ছে অভ্যাসগুলো পরিহার করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম এবং পরিমিত খাদ্য সেবন করতে হবে এক্ষেত্রে শাকসবজি বেশি খেতে হবে এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে তাহলেই ঘুমের মধ্যে প্রসব করা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে


    তবে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি পরবর্তীতে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। তবে ছোট অবস্থায় যদি এটি বেশি মাত্রায় দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনারা চিকিৎসা নিতে পারেন এক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি বিছানায় ঘুমের মধ্যে প্রসাব করা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে


    আরো পড়ুন: অফিসিয়াল ফোন চেনার কোড | অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন