গ্যাস্ট্রিক হয় না এমন মানুষের দেখা খুব কমই পাওয়া যায়। গ্যাস্টিকের যন্ত্রনা প্রতিটি মানুষেরই কম বেশী হয়ে থাকে। তাই আজকে কথা বলব গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম এবং দেশের ওষুধ খেলে কি কি ক্ষতি হয় এবং গ্যাসের ওষুধের নামের তালিকা নিয়ে। তাই আমরা প্রথমে শুরু করছি গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে এবং গ্যাসের ওষুধের প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত।
গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
আমরা আমাদের গ্যাসের জন্য দুই ধরনের গ্যাসের ওষুধ খেয়ে থাকি। বিভিন্ন ওষুধের সঙ্গে খাবার আগে অথবা আপনার গ্যাসের সমস্যার কারণে এই দুই ধরনের ঔষধি ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই এই দুই ধরনের ওষুধ খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে এই নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে এই ওষুধগুলো সেবন করা লাগবে।
- অ্যাসিড নিউট্রালাইজার
- এসিড ক্ষরণ বাধা প্রদানকারী
1. অ্যাসিড নিউট্রালাইজার: এজাতীয় গ্যাসের ওষুধ গুলো পাকস্থলীতে পূর্ব থেকেই অ্যাসিড নিউট্রালাইজার করে থাকে। এই ধরনের সবচেয়ে বেশি পরিচিত ওষুধ গুলো হল এন্টাসিড প্লাস এবং এন্টাসিড। তাছাড়াও রয়েছে এলজিনেট এজাতীয় গ্যাসের ওষুধ গুলো খাবারের 10 থেকে 15 মিনিট আগে খেতে হয়। যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা থাকে তাহলে খাবারের 10 মিনিট আগে খেলেই হবে।
এসিড ক্ষরণ বাধা প্রদানকারী: ধরনের ওষুধ গুলো দেশের জন্য পাকস্থলীতে এসিড ক্ষরনে বাধা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে দুই ধরনের ওষুধ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে নিচে লিস্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
- ওমিপ্রাজল
- রেবিপ্রাজল
- প্যানটোপ্রাজল
- ইসমিপ্রাজল
গ্যাস হবার কারণে অথবা বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট খাওয়ার আগে যদি এ ধরনের ওষুধগুলো খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই কমপক্ষে 10 থেকে 15 মিনিট আগে অথবা আধাঘন্টা আগে এই ওষুধগুলো খেতে হবে।
মুখের ঘা এর ঔষধের নাম | জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম | মুখে ঘা দূর করার উপায়
গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা
বিভিন্ন কারণে অথবা গ্যাসের অতিরিক্ত সমস্যার কারণে এই ওষুধগুলো ডাক্তাররা দিয়ে থাকে তাই বাজারের সেরা কিছু গ্যাসের ওষুধ নিয়ে আমরা এখানে তুলে ধরেছি যা বর্তমান বাজারে এই ওষুধ গুলো ভালো সার্ভিস দিয়ে আসছে এই নিয়ে আমরা একটা লিস্ট প্রকাশ করলাম।
গ্যাসের ওষুধ খেলে কি হয়
গ্যাস হয় না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই পাওয়া যায় তাই আমরা অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যার কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের ওষুধ সেবন করে থাকি। এই গ্যাসের ওষুধ গুলোর মাধ্যমে আমাদের পেটের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রণা সহ দেশের নানা যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দেশের ওষুধ খাওয়ার একটি নিয়ম আছে এবং খাওয়ার পরিমাণ আছে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয় নিশি আমরা তুলে ধরব গ্যাসের ওষুধ খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট কোনটা ভালো
আমরা ফার্মেসি থেকে যেভাবে ঔষধ ক্রয় করে থাকি তা কোনোভাবেই উচিত নয়। খাদ্য নালীর সমস্যা এবং পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে অনেক সময় বুক ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনই কোন গ্যাসের ওষুধ নিজের খাওয়া উচিত নয়। তবে অনেক সময় ব্যথার ওষুধের সঙ্গে গ্যাসের ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন পড়ে। ব্যথা জনিত সমস্যা হলে পিপিআই গ্রুপের ঔষধ ওমিপ্রাজল অথবা রেবিপ্রাজল খেতে হবে খাবারের আধা ঘণ্টা আগে।
চুলের জন্য মেথির উপকারিতা চুলে মেথি ব্যবহারের নিয়ম
গ্যাসের ঔষধের গ্রুপের তালিকা
গ্যাসের ঔষধ চেনার উপায়
যেকোনোটা প্লাটিনা চিনি খাওয়া উচিত না। এতে করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে । আমরা অনেক সময় বাঁচাতে পড়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ গ্যাসের ওষুধ মনে করে খেয়ে থাকি তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে গ্যাসের ওষুধ চেনার জন্য কিছু উপায় আছে। এই বিষয় গুলো দেখলেই মনে করবেন যে এটি গ্যাসের ঔষধ তবে অবশ্যই কনফার্ম হওয়ার পরে তারপরে গ্যাসের ওষুধ সেবন করবেন।
গ্যাসের ঔষধ চেনার উপায় হলো গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট এর নিচের দিকের অংশে লেখা থাকে ওমিপ্রজল, ইসোপ্রজল এবং সাধারণত ট্যাবলেট এর উপরের অংশে 20mg,40mg লিখা থাকে এই বিষয় গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন এটি গ্যাস্ট্রিকের জন্য ঔষধ।
গ্যাসের ওষুধ খেলে কি ক্ষতি হয়
কোন ওষুধই বেশি খাওয়া উচিত নয় তবে অবশ্যই ওষুধটি সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন তা না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে। অনেকেই আছে বুকে জ্বালা পোড়ার কারণে অথবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে গ্যাসের ওষুধ অতিরিক্ত সেবন করে থাকে এক্ষেত্রে ডাক্তারের কোন পারমিশন ছাড়াই। তাই গ্যাসের ওষুধ অতিরিক্ত সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পারমিশন নিবেন। ভারতের উত্তর বল কি কি ক্ষতি হয় তা নিচে লিস্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
- মাথাব্যথা
- ভিটামিন বি এর অভাব
- অতিসার
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- শরীর দুর্বল
- শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বালাপোড়া
- গ্যাস
- ব্যথা
- মাথাব্যথা
- ত্বকের সমস্যা
- চোখের সমস্যা
- নাকের সমস্যা
- হাত পা ফুলে যাওয়া
- খাদ্যনালীতে সমস্যা
- এক যৌথ ব্যথা
- বরণ উঠতে পারে
- বমি বমি ভাব
- মাথা ঘোরা
- অস্বস্তি ফিল করা
- লিভারের এনজাইম
- মেরুদন্ড ফ্র্যাকচার
সাবধানতা
আমাদের পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে যেসব বিষয় গ্যাস হবে তা কিন্তু নয়। গ্যাসের ওষুধ সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত তা না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করার আগেও কিন্তু গ্যাসের ওষুধ খাওয়া লাগে এটি ডাক্তাররাই আপনাকে কমেন্ট করবে আপনার জন্য কোন ওষুধ বেটার। তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন।
আমরা এখানে গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম এবং গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট কোনটা ভালো এবং বাজারের অন্যান্য গ্যাসের ওষুধ দিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করেছি। তাই আজ কে ছিল আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম এবং গ্যাস্ট্রিক ট্যাবলেটের নাম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
লতা হারবাল ক্রিম এর উপকারিতা | লতা হারবাল ক্রিম এর দাম | লতা হারবাল ফেসওয়াশ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন