প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বুয়েসেল) এর মাধ্যমে সরকারিভাবে ফিজিতে শ্রমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে ৪০ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স তারা ফিজি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবে। তাই আজকে আমরা উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সরকারিভাবে ফিজি যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
ফিজি কাজের ভিসা ২০২৪
ফিজি সরকার দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে এবং দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি পূরণ করতে বিদেশী শ্রমিকদের কাজের অনুমতি দেয়। ২০২৪ সালে ব্যাপকভাবে কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলমান থাকবে 2024 সালের নতুন ভাবে যারা সরকারিভাবে ফিজিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা বুয়েসেলের মাধ্যমে খুব সহজে যেতে পারবেন কিভাবে সরকারি মাধ্যমে আপনারা ফিজিতে কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন তা বিস্তারিত দেখুন।
ফিজিতে কাজ করার জন্য দুই ধরনের ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে: আপনি যদি নিজেই স্বইচ্ছায় গিয়ে সেখানে কাজ করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে সেই অনুযায়ী আপনাকে সেখানে নিয়োজিত হতে হবে এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানি অথবা নিজস্ব উপায়ে সেখানে কাজ সংগ্রহ করে নিতে হবে।
কর্মসংস্থান ওয়ার্ক পারমিট: এই পারমিটটি একটি নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার জন্য কাজ করার জন্য। নিয়োগ করতে অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে সেই সাথে ওভারটাইম ও অন্যান্য কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারবেন কথা বলে।
স্ব-নিযুক্ত ওয়ার্ক পারমিট: এই পারমিটটি আপনার নিজের ব্যবসা চালানোর জন্য।
কর্মসংস্থানের ওয়ার্ক পারমিট পেতে, আপনাকে অবশ্যই নিম্নলিখিতগুলি করতে হবে: তবে নিজের ইচ্ছায় কাজ করার জন্য অবশ্যই নির্ধারিত আপনি স্কিল না থাকলেও হোটেল রেস্টুরেন্ট বা অন্যান্য কাজগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
একজন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি চাকরির অফার পান যা ফিজিতে একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিয়োগকারী এজেন্টের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আপনি একটি নির্ধারিত এজেন্সির মাধ্যমে এই পদ্ধতিটা আপনি একটি কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন তাহলে চলুন কি কি কাগজপত্র লাগে দেখে নেওয়া যাক।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকুন
- একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করুন
- একটি মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ
- নির্ধারিত কাজের উপর প্রশিক্ষণ
একটি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করুন এবং প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদান করুন
আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে যা সাধারণত এক বছরের জন্য বৈধ থাকে। আপনি আপনার ওয়ার্ক পারমিট দুই বছরের জন্য নবায়ন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি নির্ধারিত কোন কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করে থাকেন তাহলে তারাই কিন্তু আপনাকে পরবর্তী ভিসা রিভিউ করার ব্যাপারে অবগত করবে।
ফিজিতে একটি ব্যবসা চালানোর জন্য একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রদান করুন
প্রদর্শন করুন যে ব্যবসা চালানোর জন্য আপনার পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে। সে সাথে প্রয়োজনেও কিছু রিকোয়ারমেন্ট লাগে এক্ষেত্রে আপনি স্বচরা যদি কাজ করতে চান তাহলে প্রয়োজনে কি কি কাগজপত্র লাগে দেখুন।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকুন
- একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করুন
- একটি মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন
একটি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করুন এবং প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদান করুন
আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে যা সাধারণত তিন বছরের জন্য বৈধ থাকে। আপনি আপনার ওয়ার্ক পারমিট আরও তিন বছরের জন্য নবায়ন করতে পারবেন। পরবর্তীতে রিনিউ করা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার জন্য ফিজি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গুলোতে দেখতে পারেন অথবা তাদের এম্বাসিতে গিয়েও যোগাযোগ করে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন।
ফিজিতে কাজের অনুমতির জন্য আবেদন করার সময়, আপনাকে অবশ্যই নিম্নলিখিত ফিগুলি প্রদান করতে হবে: প্রয়োজনে আবেদন ফি এবং প্রক্রিয়াকরণ ফ্রি সহ ভিসার নির্ধারিত দাম নিশ্চিত করে আপনাকে ফিরিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
- আবেদন ফি: FJD$100
- প্রক্রিয়াকরণ ফি: FJD$500
- ভিসা ফি: FJD$100
সরকারিভাবে ফিজি কাজের ভিসা
বোয়েসেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বলা হয়েছে ফিজিতে মোট ১০ জন কর্মী নেওয়া হবে। ১০ জন কর্মী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বোয়েসেলের বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে। হাইড্রোক্লিন টেকনিশিয়ান পদে ৬ জন নিয়োগ দেবে। এবং প্রজেক্ট টিম লিডার পদে একজন আইটি টেকনিশিয়ান পদে তিনজন নিয়োগ দেওয়া হবে। উপরোক্ত পদগুলোতে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে।
ফিজি বোয়েসেল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
পদের নামঃ হাইড্রো ক্লিন টেকনিশিয়ান
পদের সংখ্যাঃ ৬ জন
বয়স সীমাঃ ৪০ বছর
অভিজ্ঞতাঃ ৫ বছর
বেতনঃ প্রতি ঘন্টায় ৬ ফিজি ডলার
ডিউটি টাইমঃ সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৪৮ ঘন্টা
পদের নামঃ প্রজেক্ট টিম লিডার
পদের সংখ্যাঃ ১ জন
বয়স সীমাঃ ৪০ বছর
অভিজ্ঞতাঃ ৫ বছর
বেতনঃ প্রতি ঘন্টায় ৭ ফিজি ডলার
ডিউটি টাইমঃ সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৪৮ ঘন্টা
পদের নামঃ আইটি টেকনিশিয়ান
পদের সংখ্যাঃ ৩ জন
বয়স সীমাঃ ৪০ বছর
অভিজ্ঞতাঃ ৫ বছর
বেতনঃ প্রতি ঘন্টায় ৬ ফিজি ডলার
ডিউটি টাইমঃ সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৪৮ ঘন্টা
ফিজি চাকরির শর্ত
চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চাকরির চুক্তির বয়স দুই বছরের। তবে নবায়নযোগ্য হবে পরবর্তীতে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা কর্মস্থল যাতায়াত এবং পরিবহন ব্যবস্থা নিয়োগকারী কোম্পানি বহন করে থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসা খরচ কোম্পানীই দিয়েবে।
তবে উপরুক্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো যাচ্ছে যে খাবারের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে এবং চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর বিমান ভাড়া কর্মীকেই বহন করা লাগবে এবং চাকরি শেষে দেশে আসার জন্য বিমান ভাড়া নিয়োগকারী কম্পানি খরচ বহন করবে। চাকরির অন্যান্য শর্ত ফিজি শ্রম আইন অনুযায়ী আইন প্রযোজ্য হবে।
সরকারিভাবে ফিজিতে আবেদন প্রক্রিয়া
সরকারি ভাবে আবেদন করার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের বোয়েসেলের নির্ধারিত সার্ভিস এবং যে চার্জ বিধি মোতাবেক এবং অন্যান্য সরকারী যে সমস্ত ফি প্রদান করা লাগবে। ফিজিতে সরকারিভাবে আবেদন করার জন্য ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এক কপি জীবন বৃত্তান্ত এবং অভিজ্ঞতার সনদ তৈরি করতে হবে। ড্রাইভার পদের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই লাইসেন্স থাকতে হবে। আবেদন করার লাস্ট ডেট ২৭ শে ডিসেম্বর।
ফিজি কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে ক্লিক করুন
ফিজি কাজের ভিসা বিস্তারিত
আপনারা অনেকেই অনেক দেশে কাজের জন্য যেতে চান। তেমনি অনেকেই ফিজি তে কাজের জন্য যেতে আগ্রহী। অনেকে আছেন বিদেশে যেতে চান কিন্তু আপনারা নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত কোন কিছু জানেন না। অন্য কারো মাধ্যম দিয়ে বা দালালের মাধ্যমে আপনারা শুনে থাকেন। তারা সঠিক তথ্য দেয় নাকি ভুল তথ্য দেয় তা নির্বাচন করতে পারেন না।
আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে ফিজি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি ফিজি তে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে এই কন্টেন্ট টি আপনার জন্য। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ফিজিতে কি কি কাজ রয়েছে। ফিজিতে কিভাবে যাবেন, সে দেশে কাজের বেতন কত ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি আপনারা সবাই উপকৃত হবেন।
ফিজি কাজের বেতন ২০২৪
ফিজিতে কাজের বেতন পেশা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং আপনি যে কোম্পানির জন্য কাজ করেন তার উপর নির্ভর করে। তবে ক্ষেত্রে যারা ফিজিতে নিজের ইচ্ছামত কাজ করেন তাদের বেতন কিন্তু ভিন্ন রকম হয়ে থাকে এক্ষেত্রে তাদের বেতনে কিন্তু নির্ধারিত লিমিট থাকে না। তবে যদি আপনি কোম্পানির অধীনে কাজ করে থাকেন তাহলে কিন্তু একটি ভিন্ন রকম বিষয় এখানে কাজ করে থাকে।
বেতন:
হোটেল:
- রুমের পরিচারক: FJD$2.50 - FJD$3.50 প্রতি ঘন্টা
- ওয়েটার/ওয়েট্রেস: FJD$3.00 - FJD$4.00 প্রতি ঘন্টা
- শেফ: FJD$5.00 - FJD$7.00 প্রতি ঘন্টা
নির্মাণ:
- শ্রমিক: FJD$4.00 - FJD$5.00 প্রতি ঘন্টা
- কারিগর: FJD$5.00 - FJD$7.00 প্রতি ঘন্টা
- সুপারভাইজার: FJD$7.00 - FJD$9.00 প্রতি ঘন্টা
- কৃষি শ্রমিক: FJD$3.00 - FJD$4.00 প্রতি ঘন্টা
- ফার্ম ম্যানেজার: FJD$5.00 - FJD$7.00 প্রতি ঘন্টা
- অ্যাকাউন্ট্যান্ট: FJD$50,000 - FJD$70,000 প্রতি বছর
- প্রকৌশলী: FJD$60,000 - FJD$80,000 প্রতি বছর
- শিক্ষক: FJD$40,000 - FJD$60,000 প্রতি বছর
- বেশিরভাগ নিয়োগকর্তা কর্মীদের বাসস্থান ভাতা এবং চিকিৎসা বীমা প্রদান করে।
- ফিজিতে ন্যূনতম মজুরি FJD$2.68 প্রতি ঘন্টা।
- ফিজিতে জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম।
আপনারা অনেকেই ফিজিতে কাজ করার জন্য যেতে চান। আপনাদের অনেকেরই একটি কমন প্রশ্ন থাকে আপনারা যে দেশে যেতে চান সেই দেশের বেতন সম্পর্কে জানতে চান। আজকে আমরা আপনাদের ফিজির বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
ফিজিতে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে ডলারে। আপনারা হয়তো অনেকেই ভাবছেন কোন ডলারে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। ফিজিতে ফিজিয়ান ডলারে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। নরমালি কোন বাংলাদেশি যদি ফিজিতে কাজ করে থাকে তাহলে তার বেতন পেয়ে থাকে 1000 ফিজিয়ান ডলার এর মত। 1000 ফিজিয়ান ডলার এটা কি আমরা সর্বনিম্ন বেতন বলতে পারি। ফিজিয়ান এক ডলার সমান সমান বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 40 টাকার মতো।
সুতরাং হিসেব করলে দেখা যায় সর্বনিম্ন বেতন ফিজিতে দেওয়া হয় বাংলাদেশি টাকায় 40 থেকে 50 হাজার টাকার মতো। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সেখানে সর্বনিম্ন বেতন যদি 40 থেকে 50 হাজার টাকা হয় তাহলে আপনি চাইলেই আরো বেশি টাকা আয় করতে পারেন খুব সহজেই। আশা করি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
ফিজি ভিসা খরচ কত
আপনারা অনেকেই জানেন না ফিজিতে যেতে হলে ভিসা খরচ কথা হয় তার সম্পর্কে। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ফিজিতে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ফিজি তে কাজ করার জন্য যেতে চান তাহলে আপনার মোট খরচ হবে 6 লক্ষ টাকার মতো। এটা আপনাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল খরচ এর কথা বললাম। যেমন, ভিসা থেকে শুরু করে ফিজিতে পৌঁছানো পর্যন্ত সকল কিছু। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দালালরা কিছু টাকা কম বা বেশি নিয়ে থাকে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশ থেকে ফিজিতে যেতে হলে কত টাকা খরচ হতে পারে তা সম্পর্কে।
ফিজিতে বাংলাদেশিরা কি কি কাজ করেন
আপনারা অনেকেই ফিজিতে যেতে চান কাজ করার জন্য। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না সেখানে বাংলাদেশিরা কি কি কাজ করে থাকে সে সম্পর্কে। আপনারা অনেক কে জিজ্ঞাসা করে থাকেন ফিজিতে কি কি কাজ করা হয় কিন্তু অনেকেই ভুল বলে আবার অনেকেই সঠিক তথ্য দেয়। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ফিজিতে বাংলাদেশিরা কি কি কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আর কাউকে জিজ্ঞেস না করলেও চলবে। চলুন আলোচনা শুরু করি।
ফিজি তে গিয়ে বাংলাদেশিরা অনেক রকমের কাজ করে থাকেন। যেসকল কাজগুলো সেখানে করে থাকেন তা সম্পর্কে নিচে দেওয়া হল :
বাংলাদেশিরা ফিজিতে গিয়ে কনস্ট্রাকশনের কাজ বেশি করে থাকেন।
বাংলাদেশিরা ফিজিতে ট্যুরিজম সেক্টরের জব করে থাকেন।
বাংলাদেশের ফিজিতে গিয়ে কৃষিকাজে করে থাকেন এটা অনেক বেশি বাংলাদেশিরা করেন।
বাংলাদেশ থেকে যে সকল মানুষেরা ফিজিতে কাজ করার জন্য যদি থাকে তারা বেশিরভাগ মানুষই কনস্ট্রাকশন এবং কৃষি কাজ করে থাকেন।
ফিজিতে গিয়ে বাংলাদেশের আরো অনেক রকমের কাজ করে থাকেন। যেমন,
বাংলাদেশিরা ফিজিতে হোটেলের কাজ করে থাকেন। হোটেলের মধ্যে কেউ বাবুর্চি অথবা কেউ কিচেন হেলপের একেক জন একেক রকম কাজ করে থাকেন।
বাংলাদেশের অনেকেই ফিজিতে গিয়ে গার্মেন্টসে কাজ করে থাকেন।
বাংলাদেশীরা ফিজিতে গিয়ে ক্লিনার, সুপারভাইজার ইত্যাদি রকমের কাজ করে থাকেন।
ফিজিতে বাংলাদেশিরা বেশি কাজ করে থাকেন কৃষিকাজ। অনেক বাংলাদেশী সেখানে অনেক রকম কাজ করে থাকেন এবং তাদের কাজের উপর নির্ভর করে তাদের বেতন দেয়া হয়ে থাকে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
ফিজিতে যেতে হলে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
আপনারা যারা ফিজিতে যেতে চান তাদের জানা অতি জরুরী যে ফিজিতে যেতে হলে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে তার সম্পর্কে। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আপনি যদি পেজে যান তবে আপনার কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে তা নিয়ে।
প্রথমত আপনি যদি ফিজিতে চান অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
আপনি যে পাসপোর্ট নিয়ে যেতে চান সেই পাসপোর্ট এর কালার কপি প্রয়োজন হবে।
তারপরে আপনার প্রয়োজন হবে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট। অথবা আপনার কোন কাজের অভিজ্ঞতা আছে এই সম্পর্কে প্রমান পত্র।
ফিজিতে যেতে হলে আপনাকে ভিসা করার পূর্বে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর কপি আপনাকে সেখানে জমা দিতে হবে।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ফিজিতে যেতে চান তাহলে আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ থেকে ফিজিতে যাওয়ার পুর্বে মেডিকেল করানোর প্রয়োজন হবে। কেননা, মেডিকেল করানো বাধ্যতামূলক।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?
ফিজি কি ইউরোপ
ফিজি ইউরোপীয় সদস্য ভুক্ত একটি দেশ। ফিজিতে যেকোনো ধরনের ভিসা পেলে ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়া কিন্তু অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ৩জি টুরিস্ট ভিসা বা অন্যান্য যে কোন ধরনের ভিসার নিয়ে ফিজিতে যাওয়া যায়।
ফিজি সম্পর্কে বিস্তারিত
ফিজিকে দীপ রাষ্ট্র বলা হয় এর কারণ হচ্ছে পিজি তে প্রায় 350 দ্বীপ নিয়ে গঠিত। ফিজি দেশ 350 লক্ষ মানুষ বসবাস করে থাকেন। ফিজিতে যদিও 10 লক্ষ মানুষ বসবাস করে তার পরেও ফ্রিজের জিডিপি অনেক ভালো। ফিজিতে বাংলাদেশীদের অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। সেখানে অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আর একটি কথা বলে রাখা ভালো যে ফিজিতে আপনি যদি ভিজিট করতে চান তাহলে আপনার কোন ভিসার প্রয়োজন নেই। আপনি সেখানে তিন মাস ভিসা ছাড়াই করতে পারবেন।
আরো পড়তে ভিজিট করুন: কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?
বর্তমানে ফিজিতে যাওয়ার প্রসেস আগের তুলনায় অনেকটাই সহজ হয়েছে। যারা বর্তমান সময়ের মধ্যে ফিজিতে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণ খরচ দিয়ে যাওয়া সম্ভব না তারা চাইলে সরকারি মাধ্যমগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন এক্ষেত্রে খুবই কম খরচের মধ্যেই যেতে পারবেন সরকারিভাবে প্রত্যেক বছরের শুরুতেই আবেদন প্রক্রিয়া চলমান থাকে সে সাথে বিদেশ থেকেও যাওয়ার কিন্তু সুযোগ করে নেওয়া যায় পর্যায়ক্রমে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব আজকে এ পর্যন্তই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন