ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

    ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন


    ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো অনেকেই এই প্রশ্নটা করে থাকেন তাই আজকে আমরা সমাধান দিব আপনার এই প্রশ্নের। অন্যান্য প্রেসার মতো ফ্রিল্যান্সিং হল একটি স্মার্ট পেশা। যে পেশার মাধ্যমে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভালো মত সাজাতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং শিখবো বললেই শুধু হবে না ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য মন মানসিকতা এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সহ পর্যাপ্ত সময় এর প্রয়োজন আছে। এগুলো যদি আপনার দ্বারা সম্ভব হয় তাহলে আপনি ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে পারবেন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সম্পূর্ণ জানতে চান তাহলে আজকের এই কনটেন্টে আপনার জন্য এই সমস্ত কন্টাক্ট যদি আপনি আজ কি পড়তে পারেন তাহলে আপনার কাছে ফ্রিল্যান্সিং পেশা সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পেয়ে যাবেন আশা করা যায়


    ফ্রিল্যান্সিং শুধু মুখে বললেই হয়ে যায় না এজন্য আপনার দরকার স্কিলড অর্জন করা। অনেকের ফ্রিল্যান্সিং এর ইচ্ছা আছে তবে তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী সে করতে পারে না। দেখা যাচ্ছে তার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই অথবা ভালো একটা কোর্স করার সামর্থ্য নাই। আবার অনেকেরই পর্যাপ্ত সময়ের অভাবে তার ফ্রিল্যান্সিং শেখা হয়ে উঠে না তবে আমরা কিছু আপনাকে ভাল মাধ্যম দেখাবো যার মাধ্যমে আপনার দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব এবং আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করা সম্ভব ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তাই চলুন পর্যায়ক্রমে আমরা দেখিয়ে দেই


    ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব

    আপনি যেই স্কুলের পুরো কাজ শিখতে চাচ্ছেন সেই স্কুলের উপর সময় দিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ পাওয়া সম্ভব না। বরং সে দক্ষতা অর্জন না করে যদি আপনি মার্কেটপ্লেসে ঢুকেন তাহলে হতাশ হবেন তাই আপনার উচিত হবে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে তারপরে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করা। তাই আজকে আমরা বলবো ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখতে পারবেন কোন বিষয় দিয়ে শুরু করা ভালো হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখতে পারবেন


    ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনাকে যেকোনো একটি বিষয়ের উপর কোর্স করতে হবে যেই বিষয়টা প্রতি আপনার আগ্রহ এবং আপনি ভালো পারেন সেই বিষয়টা দিয়ে আপনাকে শুরু করতে হবে। মনে করেন আপনার গ্রাফিক ডিজাইন ভালো লাগে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভালো একটা আইটি সেন্টার থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ে কোর্স করে নিতে হবে


    এবং আপনার যদি চিন্তা ভাবনা থাকে যে আপনি ফ্রিল্যান্সিংকরবেন তাহলে এখন থেকেই আপনাকে শুরু করতে হবে যে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে কি কনফিগারেশনের কম্পিউটার লাগে এবং কি কি শিখা লাগে এবং কোন টুলস এর কি কাজ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে টুকিটাকি সেই সময়গুলোতে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে শিখতে পারবেন অথবা বিভিন্ন বই পড়েও শিখতে পারবেন তবে আমি সাজেস্ট করবো ভালো কোন ইউটিউব এর channel-ফলো করতে যেখানে গ্রাফিক্সের সমস্ত কাজগুলো পর্যায়ক্রমে শিখিয়েছে এ সমস্ত চ্যানেল গুলো ফলো করবেন এখন থেকেই। তাছাড়াও আপনার সবথেকে বেটার হয় ফিজিক্যালি একটা কোর্স করলে


    কারণ আপনি যখন ফিজিক্যালি করবেন তখন আপনার সমস্ত প্রবলেম গুলো আপনার ট্রেইনারের মাধ্যমে সলভ করে নিতে পারবেন এবং মার্কেটপ্লেসে ঢোকার পর ও আপনি তার মাধ্যমে সলভ করে নিতে পারবেন। এই সুবিধাটা আপনি অনলাইন ভিত্তিক পাবেন না তবে অনলাইনে আপনি যদি একটিভ থাকেন তাহলে অনেক গ্রুপের মাধ্যমে হেল্প নিতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে চেষ্টা করা লাগবে এবং সব কাজের হেলপ ফ্রিতে ও পাওয়া যায় না। তাই আপনার উচিত হবে ভালো কোন একটি সেন্টারে গিয়ে ট্রেনিং করে শিখা


    ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতিষ্ঠান

    বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। অথবা সরকারি মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তে যেমন LEDP ফ্রিতে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো শিখতে পারবেন সরকারি খরচে। এমনকি আপনি যদি এই বিষয়গুলো স্বীকার করে মার্কেটপ্লেস থেকে 100 ডলার আর্নিং করতে পারেন এবং হতে পারেন ব্যাসের মধ্যে তাহলে আপনাকে সরকারকর্তৃক একটি ল্যাপটপ গিফট করবে। তাই আপনি এলইডিপি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন এবং সরকারি সার্টিফিকেট পাবেন


    লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ | LEDP Registration 2022 (LEDP)


    তবে আমি বলব আপনি যেকোন জায়গায় ফ্রিল্যান্সিং না শিখেভালো কোন প্রতিষ্ঠান শিখুন তা না হলে পরবর্তীতে আপনাকে হতাশ হতে হবে কারণ ভালো ট্রেনিং সেন্টার ছাড়া আপনার ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব হবে না এবং ভালোমতো স্কেল অর্জন করতে পারবেন না তাই অবশ্যই ভালো ট্রেনিং সেন্টার গুলোতে শিখবেন। ভালো ট্রেনিং সেন্টার গুলো কিভাবে চিনবেন। ভালো ট্রেনিং সেন্টার গুলোতে হলে আপনাকে তাদের পূর্বের ব্যাংকগুলোর সাকসেস রেট দেখতে হবে এবং তাদের সাথে কথা বলতে হবে যে আসলেই এখানে কি ভালো শিখায় এবং পরবর্তীতে কেমন সাপোর্ট দেয় সেই বিষয়টাও আপনাকে জেনে নিতে হবে তারপরে যদি দেখেন যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে তাহলে আপনি সেই ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন


    ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি শিখতে হবে

    ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই আপনার নির্দিষ্ট স্কুল তৈরি করতে হবে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান তাহলে আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইনের উপর আস্থা অর্জন করতে হবে আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান তাহলে ওয়েব ডিজাইন এর কাজ গুলো শিখতে হবে এবং আপনি যদি গেম ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান তাহলে গেম ডেভেলপমেন্ট এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে নিচে আমরা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরবো আপনি কি পরিমান আর্নিং করতে পারবেন


    ডিজিটাল মার্কেটিং

    ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো কিছু করতে পারবেন বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক মার্কেটিং ইনস্টাগ্রম মারকেটিং টুইটার মার্কেটিং মার্কেটিং এসইও এক্সপার্ট ইউটিউব মার্কেটিং সহ আরো অনেক কিছু যেগুলা দৈনন্দিন জীবনে অনলাইন ভিত্তিক কাজে লেগে থাকে তা সবই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং তাই বর্তমানে এই সমস্ত বিষয়ে স্টিল তৈরি করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে পারবেন


    গ্রাফিক্স ডিজাইন

    গ্রাফিক ডিজাইন আমাদের দৈনন্দিন কাজে লেগে থাকে টি-শার্ট ডিজাইন লোগো ডিজাইন অ্যানিমেশনের ক্যারেক্টার ডিজাইন ফটোশপের কাজ ফটো এডিটিং সহ নানা ধরনের কাজ জেগুলান করে আপনি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেনক্লায়েন্টের রিকোয়ারমেন্ট এর উপর সময়ের উপর বাজেট ঘোষণা হয়ে থাকে আপনার কাজ করতে যতটা সময় লাগবে সে অনুযায়ী আপনাকে বাজেট চাইতে হবে। তবে আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে ঢুকেন বা ঘোরাফেরা করেন তাহলেই বুঝতে পারবেন কোন কাজের কেমন রেট


    ওয়েব ডিজাইন

    বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং আগামী 10 বছর যাবৎ ওয়েব ডিজাইনের ব্যাপকভাবে চাহিদা থাকবে আপনি যদি একটা ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে থাকেন মিনিমাম 300 ডলার বাজেট হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে শেখা লাগবে এইচটিএমএল সিএসএস এইচপি জাভাস্ক্রিপ্ট মাইএসকিউএল সহ আরো অনেক ল্যাঙ্গুয়েজ মাধ্যমে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন এবং এই কাজটি শিখে আপনি ভবিষ্যতে বিভিন্ন কোম্পানি গুলোতে কাজ করতে পারবেন এবং চাইলে আপনি নিজেও একটি আইটি কোম্পানি তৈরি করতে পারবেন


    সরকারি কম্পিউটার কোর্স 2022 | সরকারি অর্থায়নে ফ্রি কম্পিউটার আইটি কোর্স ২০২২


    ব্লগিং

    ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সবথেকে প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করা হচ্ছে ব্লগিং এখান থেকে সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিংয়ে অন্যান্য কাজে যেমন ধরাবাধা নিয়ম রয়েছে সেক্ষেত্রে এখানে কিছুটা কম এখানে আপনার নিজের ইচ্ছামত ব্লক তৈরি করবেন লেখালেখি করবেন ভিডিও এডিট করবেন ভিডিও তৈরি করবেন ওয়েবসাইটে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে অথবা ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে খুব সহজে বসে বসে ইনকাম করতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কনটেন্টের উপর নজর দিতে হবে। এবং এই কাজটা শিখে আপনি ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন


    এসইও এক্সপার্ট

    আপনি যদি এশীয় এক্সপার্ট হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেসে আপনার চাহিদা কিন্তু অনেকাংশে বেড়ে যাবে। কারণ নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করার পরেই কিন্তু সিওর প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে সেগুলোর সাইটে কিন্তু এসইও করা লাগে। আর একটা সাইটে এসে করতে মিনিমাম 300 ডলার থেকে 800 ডলার পর্যন্ত বাজেট হয়ে থাকে। আর একটা এসইওর কাজ করতে দুই থেকে তিন মাসের মত সময় লাগে গুগোল এর রং কে নিয়ে আসতে। তাই বর্তমানে এই কাজের চাহিদা ব্যাপক ভাবে রয়েছে আপনি চাইলে এসইও শিখতে পারেন


    গেম ডেভেলপমেন্ট

    গেম ডেভেলপমেন্ট করে আপনি হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করেই তার পরে আপনাকে কাজে লাগতে হবে। গেম ডেভেলপমেন্ট করে আপনি ভালো কোন কোম্পানিতে জব করতে পারবেন অথবা বিদেশি কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন তাছাড়াও আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গেম এর প্রবলেম গুলো সল্ভ করেও ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভালো কোন আইটি সেন্টারে মাধ্যমেই গেম ডেভেলপমেন্ট শিখতে হবে


    ভিডিও এডিটিং

    বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ইউটিউবাররা ভিডিও এডিটিং এর জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই বর্তমান ইউটিউব এর জন্য ভিডিওটি খুবই জরুরি হয়ে উঠেছে কারণ সবাই ভিডিও এডিটিং পারেনা তাই আপনি চাইলে এই ভিডিও এডিটিং শিখুন সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ গুলো করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং এ আপনার মোটামুটি ভালো লেভেলের স্ক্রীন থাকা লাগবে তা না হলে আপনি কাজ করতে পারবেন না এবং আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন অবশ্যই ভালো হওয়া লাগবে তা না হলে আপনার ভিডিওটি টিংয়ের সফটওয়্যারগুলো রান করতে পারবেন না


    ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য সম্ভব না

    প্রায় প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন থাকে ফ্রি ভাবে ইনকাম করতে কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না কোন নিয়ম শৃঙ্খলা থাকবে না এমন একটা কাজ করতে চাই। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কোন কাজ আছে বলে মনে হয় না। মানুষের ধারণা যে ফ্রিল্যান্সিং করলেই ফ্রী মত কাজ করা যায় নিজের ইচ্ছা মত কাজ করা যায় নিজের যখন ইচ্ছা হবে তখনি আমি কাজ করতে পারব। এমন যদি আপনার ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং না। কারণ ফ্রিল্যান্সিং অন্যান্য কাজের মত অতটা সহজ না যে আপনি চাইলে যেকোন সময় যেকোন মুহুর্তে করতে পারবেন


    আপনি যদি পরিপূর্ণভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার পর্যাপ্ত সময় থাকা লাগবে। আপনার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। মনে করেন আপনার একটা ক্লায়েন্ট ইউএসএ থাকে সে আপনাকে রাত্রে তিনটার সময় নক দিল তার কাজটা ডেলিভারি দেয়া লাগবে সকাল সাতটার আগেই। সে ক্ষেত্রে আপনি এখন কি করবেন আপনি যে অবস্থায় থাকেন না কেন আপনাকে সকাল সাতটার আগেই আপনাকে তার কাজ সাবমিট দেওয়া লাগবে। তা না হলে আপনার প্ল্যানটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে এবং আপনি যে ইনকামের চিন্তাটা করেছিলেন সেটাও না পাওয়া ও হয়ে যেতে পারে। এবং আপনি যদি তার কাজটা ঠিকঠাক মত সাবমিট না দিতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার প্রোফাইল এর উপর ব্যাড ইনফ্লেশন পড়ে যাবে। এখান থেকে বোঝা গেল যে আপনি চাইলেই আপনার ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন না


    অনেকেই ইচ্ছা করে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং করবো বড় হয়ে বা কিছুদিন পর আবার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এগুলো শিখছি এতদিন যাবৎ এটা শিখলাম। এ সমস্ত মানুষ অনেক দেখলাম এখন পর্যন্ত তারা মার্কেটপ্লেসে ঢুকতে পারে নাই 1 ডোলার পরিমাণ আর্নিং করতে পারি নাই এতদিন যাবৎ শিখাচ্ছে শিখে যাচ্ছে। এই সমস্ত মানুষের দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব না। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যেখানে স্কিল অর্জন করা লাগে। আপনার স্কিল ছাড়া আপনি কখনোই ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে পারবেন না তাই অবশ্যই আপনাকে যে কোন একটা বিষয় স্কিল অর্জন করে তারপরেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা সম্ভব বা কাজ পাওয়া সম্ভব


    আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি স্কিল অর্জন করে তারপরে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আসতে হবে এবং আপনার সময় নির্ধারণ করে এবং অন্যান্য কাজের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর ফোকাস দিতে হবে আপনাকে। আর আপনি যেই কাজটি শিখবেন সেই কাজের পাশাপাশি আপনার ইংলিশের উপর ভালো দক্ষতা অবশ্যই থাকা লাগবে। এবং কমিউনিকেশন করতে হবে এবং মানুষকে বোঝানোর ক্ষমতাটা আপনার ভালো থাকা লাগবে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন তাছাড়া আপনার দ্বারা ফ্রীলান্সিং সম্ভব না


    অনেকেই আছে যাদের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার নেই তারাও ফ্রিল্যান্সিং শেখার ইচ্ছা করেন তাদেরকে আমি বলব যে আপনি যেটা নিয়ে কাজ করবেন আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অবশ্যই থাকা লাগবে তা না হলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না। অনেকেই ভাবে যে মোবাইল দিয়ে সম্ভব আমি বলব কখনোই না আবার বলব হ্যাঁ মোবাইল দিয়ে স্পিসিফিক কিছু কাজগুলো করা যায় যেটা আমরা পর্যায়ক্রমে পরবর্তীতে আলোচনা করব


    ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য সম্ভব

    এবার আসা যাক ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো আবার অনেকের কাছেই মুড়ি-মুড়কির মতো মানে বললেই হয়ে যায় ফ্রিল্যান্সার তাদের কথা শুনলে এমন বোঝা যায়। কিন্তু এতটাই সহজ নয় কেননা এখানে আপনাকে মিনিমাম সময় দিয়ে আপনাকে দক্ষ হয়ে তারপরে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা সম্ভব এবং সাক্সেস হওয়া সম্ভব


    আমি বলেছি ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য সম্ভব। অনেকেই আছে যাদের প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো নাই যেগুলা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের জন্য লাগে সেগুলো যদি না থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব না তাই অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিগুলো অবশ্যই থাকা লাগবে যেমন ল্যাপটপ কম্পিউটার এবং ভালো ইন্টারনেট স্পিড তাছাড়া আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না। এবং অবশ্যই আপনাকে ল্যাংগুয়েজটা ভালোমতো জানা লাগবে যাতে আপনি বাহিরের দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো মতো কমিউনিকেশন করতে পারেন এবং তার কাজ গুলো বুঝতে পারেন এবং তাকেও বোঝাতে পারেন


    যারা ফ্রিল্যান্সিং করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছে এবং যে কোন একটা বিষয় নিয়ে শেখা শুরু করে দিয়েছে এবং সেই বিষয়ে মার্কেটপ্লেস এ কি কি কাজ হয় কি কিভাবে কাজগুলো করে এবং কিভাবে সাবমিট দেয় তারা অবস্থা থেকেই এগুলা জানতে শুরু করে এক পর্যায়ে শিখা শেষ হতে হতেই সে অনেক কিছু জেনে ফেলে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে। তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব যারা সময় দিয়ে টাকার লোভ না করে শিখার পিছনে সময় দেয় তারাই একসময় ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাকসেস হতে পারে


    ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

    ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে এবং আপনি যে বিষয়ে কাজ করার জন্য চিন্তা ভাবনা করেছেন সেই বিষয়ে পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জন করা লাগবে এবং আপনার কমিউনিকেশন এর ক্ষেত্রে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টা ভালোমতো জানা লাগবে যাতে আপনি বিদেশি ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশন টা চালিয়ে যেতে পারেন এবং আপনার কাজ সম্পর্কে তাকে বোঝাতে পারেন এবং সে কি চাচ্ছে সেটাও যাতে আপনি ভালোমতো বোঝাতে পারেন


    স্পেসিফিকভাবে যেকোনো একটা বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করার পরেই আপনি অন্য কোন কাজে সময় দেবেন বা অন্য কোন বিষয় শিক্ষার প্রতি নজর দিবেন। আমার হিসেবে আমি বলব ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে যে কোন একটা বিষয় প্রকাশ করতে হবে হোক সেটা ওয়েব ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা এসইও এক্সপার্ট আপনি যে বিষয়টি শিখেন না কেন আপনাকে সেই বিষয়টা আগে ক্লিয়ার করতে হবে দেন অন্য বিষয়


    তা না হলে আপনি একটা শেষ না করে অন্যটাতে গেলে আপনি কোনদিনই সাকসেস হতে পারবেন না এজন্য আপনাকে যে কোন একটা বিষয় আগে শিখে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে তারপরে আপনি অন্য কাজ বা ডিমান্ডেবল কাজগুলো শিখতে হবে তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং লাইফে সাকসেস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে


    ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি থাকা লাগবে

    ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার অবশ্যই কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকা লাগবে এবং আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে পর্যাপ্ত স্কিল থাকা লাগবে। এবং আপনাকে ইংলিশ লিখতে এবং পড়তে এবং কমিউনিকেশন করতে জানতে হবে। যাতে আপনি বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে ম্যাসেজিং অথবা ভিডিও কলের মাধ্যমে অথবা অডিও কলের মাধ্যমে কমিউনিকেশন চালিয়ে যেতে পারেন। এবং অবশ্যই হাই স্পিড ইন্টারনেট সংযোগ থাকা লাগবে


    ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়

    ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন তাদের জন্যে আজকে আমি ক্লিয়ার করে বলবো। ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনলাইন ভিত্তিক সমস্ত করা যায়। মানুষের রিয়েল লাইফে অনলাইনভিত্তিক যে সমস্ত কাজ রয়েছে যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ,গেম ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, এসইও, সহ নানা ধরনের কাজ আপনি করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং এ। আপনি উপরের যেকোন স্কেলের ওপর দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে পারবেন


    ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ পাওয়ার কৌশল

    ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট স্কেলের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে আপনার জন্য কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। যার দক্ষতা আছে সে কখনোই ফ্রিল্যান্সিং লাইফে হতাশ হয় না এবং তাঁকে বসে থাকা লাগে না। যদি দক্ষতা থাকে সে কাজ করে নিজে কভার দিতে পারবেনা এত পরিমান ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের অর্ডার পড়ে থাকে। তাই অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং কাজ পাওয়ার কৌশল নিয়ে যে কথা বলছিলাম তার নিচে তুলে ধরছি এবার


    মনে করুন আপনার প্লান্ট আপনাকে একটা কাজ দিতে চাচ্ছে আপনার সঙ্গে কনভারসেশন চলছে আপনার ভাইবা নিচ্ছে। দেখতে পাচ্ছেন অন্যান্য 5 জন যেভাবে তাদের রিকোয়ারমেন্ট গুলো উপস্থাপন করছে আপনি তাদের থেকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপনা দিতে হবে আপনার ক্লায়েন্টকে। দেখা যাচ্ছে আপনাকে ওয়েব ডিজাইনের একটি কাজ দিয়েছে আপনার ক্লায়েন্ট এটা নিয়ে ভাইবা চলছে। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি বলে তুমি কই ডিজাইন পারো তাহলে আপনি যদি বলেন শুধু হ্যাঁ তাহলে আপনার নিশ্চয়তা কমে যাবে। আপনাকে বলতে হবে হ্যাঁ আমি ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইথ এসইও এক্সপার্ট। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ এ সেক্টরে আছি এবং আমি মোটামুটি অনেকগুলো প্রোজেক্ট কমপ্লিট করেছি আমার ক্লায়েন্ট আমাকে ভালো ফিডব্যাক দিয়েছে


    এবং আপনার ওয়েব ডিজাইনের সমস্ত বিষয়ে আমার জানা আছে আপনার রিকোয়ারমেন্ট গুলো আমাকে দিলি আমি সুন্দর মত আপনার কাজটা করে দিতে পারব এবং আপনাকে লাইফটাইম সাপোর্ট দিব ছোটখাটো হেল্প এর জন্য। এই বিষয়গুলো যদি আপনি তাকে বুঝায় দিতে পারেন তাহলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে আপনার জন্য। কারণ অন্যান্য আর পাঁচজনের মতো যদি আপনি শুধু হা ধরে কথাটা বলে দিতেন। তাহলে কিন্তু আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা টা কম থাকতো। ক্লায়েন্ট সাইতার কাজটা জানো খুবই সুন্দর এবং ভালো হয় করতে পারবে তাকেই ক্লায়েন্ট কাজটা দিবে অতএব আপনি বুঝানোর যথেষ্ট চেষ্টা করবেন যে আপনি আপনার দক্ষতার সাথে কাজটি করতে চাচ্ছেন তাহলেই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন