সিম ক্লোনিং কিভাবে করে | সিম ক্লোন হলে করণীয় | সিম কিভাবে তৈরি করা হয়

    সিম ক্লোনিং কিভাবে  করে | সিম ক্লোন হলে করণীয় | সিম কিভাবে তৈরি করা হয়

    বর্তমান সময়ে সবথেকে কে বড় আতঙ্কের নাম হল সিম ক্লোনিং। কারণ বর্তমান সময়ে এমন সিম হাকিং এর কার্যক্রম প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে তাই আজকে আমরা কথা বলব সিম ক্লোনিং কিভাবে  করে?এবং সিম ক্লোন হলে করনীয় কি। সিম কিভাবে তৈরি করা হয়। সিম ক্লোন হলে কিভাবে বুঝতে পারবেন আপনার সিমটি ক্লোন হয়েছে। তাই  তাই চোখ রাখুন আজকের এই টপিকে এবং জেনে নিন কিভাবে সিম ক্লোনিং করে এবং সিম ক্লোনিং হলে করণীয় কি?


    সিম ক্লোনিং কিভাবে  করে? বা সিম কার্ড ক্লোনিং


    সিম কার্ড ক্লোনিং হলো বর্তমান সময়ের একটি আতঙ্কের নাম কারণ এখন মানুষের ফোন কেন্দ্রিক সবকিছুই হয়ে থাকে যেমন মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ব্যাংকিং লেনদেন এবং মোবাইলে পার্সোনাল ইমেইল একাউন্ট অথবা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অথবা আপনার বিভিন্ন সফটওয়্যার এর কার্যক্রম সবকিছু আপনার সিমের মাধ্যমে হয়ে থাকে। বা বলা যায় ডিজিটাল বা সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম সবগুলোই মোবাইলের মাধ্যমে হয়ে থাকে।


     তাই মানুষের সবথেকে পার্সোনাল বিষয় এখন তার ফোন এবং তার মোবাইলের সিম আর এই সিম যদি কেউ হ্যাক করে নেয় এবং তার তথ্য গুলো যদি পেয়ে যাই তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং সহ ব্যাংকিং লেনদেন সবকিছুই তাঁর হাতে চলে যাবে এমনকি তার সোশ্যাল মিডিয়া সমস্ত অ্যাকাউন্ট এবং সমস্ত ডাটা হ্যাকারের হাতে চলে যাবে তাই এটি সম্পর্কে সবারই জানা উচিত এবং এই সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া উচিত চলুন এই বিষয়টা নিয়ে পুরোপুরি আলোচনা করি।

     

    সিম ক্লোনিং কিভাবে  করে?


    এত সব কিছু কিছু জানার পরেও মানুষ ভাবে সিম ক্লোনিং কিভাবে করে।  হ্যাঁ এটি আপনার মধ্যেও প্রশ্ন জাগতে পারে কারণ এটি তেমন কোন একটি কঠিন বিষয় নয়।  কারণ বর্তমান প্রযুক্তি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এমন এমন সফটওয়্যার আছে যেগুলোর মাধ্যমে এ সমস্ত কাজ অনায়াসে করা যায়। 


     সিম ক্লোনিং কিভাবে করে তাহলে জেনে নিন এবং নিজে সতর্ক হয়ে যান। সিম ক্লোনিং কয়েক ভাবে করা যায় যেমন ধরুন আপনার মোবাইলে কেউ ফোন দিয়েছিল আপনি যেই সিম টি ইউজ করছেন সেই সিমে ফোন দিল বা মিসকল দিলে পরবর্তীতে সময়ে যদি আপনি সেই নাম্বারে কল ব্যাক করেন তাহলেও কিন্তু আপনার সিম ক্লোনিং হয়ে যেতে পারে এবং আপনার সমস্ত তথ্য হ্যাকারের হাতে চলে যেতে পারে।


    তাছাড়াও অন্য মাধ্যমগুলোতেও আপনার সিম ক্লোনিং হতে পারে যেমন মনে করেন আপনার ফোনটি হারিয়ে গিয়েছে অথবা চুরি হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে যে সিম টিপে এসে সেও চাইলে আপনার সিমটি ক্লোনিং করে ব্যবহার করতে পারে এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।  এটি কিভাবে করা হয় সেটি ভাবছেন তাহলে জেনে নিন। 



    সিম কার্ড ক্লোনিং


    সফটওয়্যার মাধ্যমে ছাড়াও আপনার সিম কার্ড ক্লোনিং করতে পারবেন মনে করুন আপনার সিমটি আপনার ফোনটি কেউ চুরি করে নিয়েছে। নিয়েও এই কাজটি করতে পারে। তারা সিমটি হাতে পাওয়ার পরে তাদের কার্ড রিডার এর মাধ্যমে আপনার সিমটি প্রবেশ করাবে এবং অপরকে নতুন একটি ব্লাঙ্ক সিম প্রবেশ করাবে এবং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনার সিমের যাবতীয় ঢাকা অফিসে নিয়ে নিবে তাহলে আপনার সিম কার্ডটি ক্লোন হয়ে যাবে।


    এতে করে আপনার যাবতীয় ডাটা এক্সেস অপর একজন ব্যবহার করতে পারবে বা হ্যাকার ব্যবহার করবে। তাই কাউকে মোবাইল দেওয়ার আগে অথবা চুরি হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করে নিবেন তা না হলে এরকম ভাবে সিম কার্ড ক্লোনিং হয়ে যাবে এবং আপনার যাবতীয় তথ্য অপর একজন পেয়ে যাবে।


    তাই বলা যায় এই দুই মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই সিম ক্লোনিং হয়ে যেতে পারে তাই কারো নাম্বার বা অপরিচিত নাম্বার হলে সহজেই ব্যাক করতে যাবেন না কারণ মিস কল আসা নাম্বারগুলো থেকে যদি আপনি ব্যাক করেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সিম কার্ডটি অটোমেটিকভাবে ক্লোনিং হয়ে যাবে আবার আপনার ফোনটি যদি হারিয়ে যাই এবং কেউ চুরি করে নিয়ে এই ক্লোনিংয়ের কাজটি করে ফেলতে পারে তাই সাবধান হয়ে যান।



    কিভাবে বুঝবেন সিম ক্লোনিং হয়েছে


     অনেক ভাবেই বুঝতে পারবেন আপনার সিমটি ক্লোনিং হয়েছে যেমন মনে করেন আপনি আপনার মোবাইল থেকে হঠাৎ করে আপনার সিমের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গিয়েছে অথবা কমে গিয়েছে এবং আপনি যে সমস্ত নাম্বারে কল করেননি কিন্তু সেখানে তাও কল করেছেন এমন বিষয়গুলো দেখতে পারছেন।  তাহলে বুঝে নিবেন আপনার সিমে অলরেডি কোন সমস্যা হয়ে গিয়েছে বা ক্লোনিং হয়ে গিয়েছে। কারণ অপর জন ক্লোনিং এর মাধ্যমে আপনার সমস্ত ডাটা গুলো ব্যবহার করে সে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।


     তাছাড়াও বুঝতে পারবেন আপনার ফোন থেকে যদি কোন নতুন মেসেজ অথবা কোন ভেরিফিকেশন কোড নিচ্ছে বা আসছে সে ক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার সিমটি ক্লোনিং হয়ে গিয়েছে এবং সে ব্যক্তিটি আপনার তথ্যগুলো তার নিজের করে নিচ্ছে।  তাই এই বিষয়ে প্রতিনিয়ত নজর রাখবেন এবং যদি এমন কোন বিষয় দেখতে পান তাহলে নিকটস্থ থানায় একটি জিডি করে ফেলুন।



    সিম ক্লোন হলে করণীয়


    এবার আসি সিম ক্লোনিং হলে করণীয়। যদি আপনার সিমটি ক্লোনিং হয়ে যায় তাহলে আপনি অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে যেতে পারেন। আপনার মোবাইল ব্যাংকিং যাবতীয় লেনদেন সে পরিচালনা করতে পারবে এবং আপনার ব্যাংকের লেনদেন সে সমস্ত বিষয় গুলো তার নিজের করে নিতে পারবে তাই সিম ক্লোনিং হলে করণীয় কি নিচে তুলে ধরা হলো।


     যদি দেখতে পান আপনার সিম ক্লোনিং হয়ে গিয়েছে তাহলে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে থানায় গিয়ে জিডি করবেন এবং সিমটি বন্ধ করার ব্যবস্থা করবেন অথবা আপনি আপনার অপারেটর-এর কাছে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিবেন আমার সিম ক্লোনিং হয়েছে তারা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার সিমটি বন্ধ করে দিবে।  পরবর্তীতে তারা পুনরায় চালু করতে হলে আপনার তথ্য নিবে এবং নতুনভাবে সিমটি আপডেট করে আপনার কাছে দিবে তখন আপনি আবার পুনরায় সিম চালাতে পারবেন সেই ক্ষেত্রে হ্যাকারের কাছে কোন তথ্য থাকবেনা।


    রবি ইন্টারনেট অফার ২০২২ । All Robi Internet offer 2022 দেখে নিন

    তাই আপনার যদি সিম টি ক্লোনিং হয়ে যায় তাহলে দ্রুততার সাথেই পদক্ষেপগুলো আপনি নিয়ে ফেলুন তাহলে আপনার ক্ষতির অংশটা অনেকটাই কমে যাবে যত তাড়াতাড়ি করতে পারবেন হ্যাকারের হাত থেকে তাড়াতাড়ি রক্ষা পাবেন এবং আপনার সমস্ত ডাটা বা তথ্য ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।



    সিম ক্লোনিং  কি সমস্যা হতে পারে


    সিম ক্লোনিং কি কি সমস্যা হতে পারে নির্দিষ্ট একটি একটি কোনো বিষয় নয় আপনার মোবাইলে যদি মোবাইল ব্যাংকিং অথবা আপনার ব্যাংকিং লেনদেন সবকিছুই যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন আপনার ব্যাংকিংয়ের লেনদেন সমস্ত এক্সপ্রেস সিম ক্লোনিং যে করেছে সে পেয়ে যাবে অথবা আপনার পার্সোনাল নাম্বার অথবা আপনার পার্সোনাল ফেসবুক একাউন্ট অথবা বিভিন্ন একাউন্ট সে নিজের করে নিতে পারবে।


    এছাড়াও আপনার পার্সোনাল কোন সিকিউরিটি কোড অথবা ভেরিফিকেশন কোড অথবা আপনার মূল্যবান কোন একাউন্ট সে নিজের করে নিতে পারবে এবং সেই অ্যাক্সিস গুলো দিয়ে আপনার সেই সমস্ত তথ্য গুলো নিয়ে নিতে পারবে যদি আপনার ব্যাংকিং এ টাকা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার টাকা টাও উত্তোলন করে নিতে পারে তাই উপরে সিম ক্লোনিং হলে কী করবেন এ সমস্ত বিষয়ে কথা বলা হয়েছিল যদি না বুঝতে পারেন তাহলে বিষয়টা আবার পড়ে নিবেন।



    কোন সিম গুলো ক্লোনিং করা যায়? 


    এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম কিভাবে সিম ক্লোনিং করা হয় এবার আমরা জানাবো কোন সিম ক্লোন করা যায় কোন সিম ক্লোনিং করা যায়।  বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের আপডেট নিয়ে এসেছে বর্তমান সময়ে ফাইজিও চলে এসেছে তাই বর্তমানে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত সিম গুলো হল থ্রি জি ফোর জি এবং কিছুদিনের মধ্যেই ফাইভ জি চালু হয়ে যাবে।  তাই আগের সিম গুলো আপনার চেঞ্জ করে ফেলাই উচিত কারণ সেগুলোতে সিকিউরিটি কম দেওয়া আছে।


    যেমন আগের টুজি অথবা তার থেকেও কম যে সমস্ত সিন গুলো আছে সেগুলো তে সিম ক্লোনিং করা সহজ হয় এবং দেখা যাচ্ছে অনেকদিন ধরে আপনার সিমটি আপডেট করেন নি অথবা সেন্টেন্স করেননি নিকটস্থ সেন্টার গুলোতে গিয়ে আপনার সিমটি চেঞ্জ করে নিবেন তাহলে সিম ক্লোনিং হওয়া থেকে বাঁচতে পারবেন।  


    তাই পুরাতন সিম গুলো চেঞ্জ করে নতুন সিম নতুন ভাবে আপডেট করে ফেলুন।  তাছাড়াও মাঝে মাঝে সিম কার্ড গুলো চেঞ্জ করে নেওয়াই ভালো সে ক্ষেত্রে আপনি নিরাপত্তার সঙ্গে আপনার সিমটি ব্যবহার করতে পারবেন এবং আপনার তথ্য পাচার হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে



    সিম কার্ড


    সিম কার্ড হল একটি স্মার্ট পরিচয় ব্যবস্থাপনার কার্ড  যা ফুল মিনিং হল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল (SIM)  যার অর্থ দাঁড়ায় গ্রাহক পরিস্থিতি মডিউল। যা দূরবর্তী স্থানের যোগাযোগ করার জন্য এই মাধ্যমটি ব্যবহার করা হয় এবং এতে কিছু মেমোরি সিস্টেম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ডাটা বা তথ্য জমা রাখতে পারবেন।


    সিম কিভাবে তৈরি করা হয় 


    বাজারে ব্লাঙ্ক সিম কিনতে পাওয়া যায় এবং সে সমস্ত সিম কার্ড রিডার এর মাধ্যমে যে সমস্ত কোম্পানির সিম এর ব্যবসা করে তারা তাদের ডাটাগুলো সেখানে ইনপুট দিয়ে দেয় এবং এটি বাজারজাত করে। এটি একটি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়  মেমোরি ব্যবস্থাও রয়েছে এবং রেজিস্টার ট্রানজিস্টর ইত্যাদি এবং এটি একটি সিলিকন দ্বারা তৈরি হয়।



    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন