ড্রাইভিং লাইসেন্স ২০২৪ | ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম | লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজপত্র

    ড্রাইভিং লাইসেন্স 2022 | ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম | লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজপত্র

    ড্রাইভিং লাইসেন্স ২০২৪

    আমরা হয়তো অনেকেই জানি ড্রাইভিং লাইসেন্স কি। আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে সাধারণের
    ব্যবহারের জন্য গাড়ি চালানোর একটি অনুমতি পত্র। রাস্তায় অনেকেই অনেক রকম গাড়ি চলাচল করে থাকেন এবং সে গাড়িগুলো সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তি কে চিহ্নিত করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন হয়। মোটকথা গাড়ি চালানোর দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি কে চেনার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ব্যবস্থা।

    লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স

    আমরা অনেকেই জানিনা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে। আজকে আপনাদের এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। যদি আপনি ড্রাইভিং এর জন্য লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম  শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি এটা বাংলাদেশর ঢাকায় অবস্থিত এখানে ঢাকা মেট্রো 1,,,2,,,3 সার্কেল রয়েছে। আপনি যদি কাছাকাছি থেকে করতে চান তাহলে আপনার সম্পর্কে বলতে চাই এটা প্রত্যেকটি বিভাগের জেলা থেকে আপনি করে নিতে পারেন।


    ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

    ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম হলো প্রথমে আপনার  লার্নার বা লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা লাগবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে। এবং অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য 1বছর পূর্ণ হওয়া লাগবে অপেশাদার লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে।এবং পেশাদার লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে 21 বছর হাওয়া লাগবে।যিনি লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন তাকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ  ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করা লাগবে



    লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে করণীয়।

    আমরা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাই কিন্তু এটা করার জন্য আমাদের করণীয় কি তার সম্পর্কে জানিনা। তাই আজ আপনাদের কে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

    1.লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য দরকারি কাগজপত্র সহ আবেদন করতে হবে।

    2.গ্রাহকের স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানা বিআরটি এর সার্কেল এর আওতাভুক্ত তাকে সেই সার্কেল এ

    আবেদন করতে হবে।

    3. দুই তিন মাস প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর একটি সময় নির্ধারিত একটি কেন্দ্রে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তার থেকে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মূলকপি এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি এবং কলম নিয়ে আসতে হবে।

    4. কর্তৃপক্ষ একটি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিবে যা দিয়ে আবেদনকারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।

    5. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আপনার বয়স হতে হবে কমপক্ষে 20 বছর। আর যারা

    অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তাদের নূন্যতম বয়স হতে হবে 18 বছর।



    আরো পড়তে ভিজিট করুন

    লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজপত্র।

    লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

    1.নির্ধারিত ফরম

    2. মেডিকেল সার্টিফিকেট

    3. আইডি কার্ড/ জন্ম সনদ/সত্যায়িত ফটোকপি পাসপোর্ট এর

    4. নির্ধারিত ফি.. প্রথম ক্যাটাগরি 345 টাকা। দ্বিতীয় ক্যাটাগরির 518 টাকা বি আর টি এর ব্যাংকে

    জমা দিতে হবে এবং জমা দানের রশিদ।

    5. তিন কপি স্টাম্প ও 1 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

     

    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স।

    আমরা অনেকেই জানিনা স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয় কিভাবে আজকে আপনাদের এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।
    1.স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হলে আপনাকে লিখিত ,মৌখিক, ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। উত্তীর্ণ হতে পারলে একটি ফর্মে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং টাকা প্রদান করে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে।
    2. বায়োমেট্রিক ( ডিজিটাল ছবি, স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ ) এগুলো নেওয়ার আগে স্মার্ট কার্ডের ইস্যু করাতে হবে।
    3. স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং শেষ হলে গ্রাহককে তারা এসএমএস এর মাধ্যমে নেওয়ার জন্য বলবে
    বা জানিয়ে দিবে।

    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য কাগজপত্র।

    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

    1. নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।

    2. ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে।

    3. ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ জন্ম সনদ /পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে।

    4. পেশাদার যারা তাদের ফি লাগবে 1679 টাকা। অপেশাদার যারা তাদের ফি লাগবে 2542 টাকা। ব্যাংকে জমাদানের রশিদ সহ।

    5. ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন লাগবে।

    6. 1 কপি পাসপোর্ট সাইজের এর ছবি নতুন।

    সূত্র : বিআরটিসি ওয়েবসাইট।



    ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত

    বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২৫০০ টাকা। এক্ষেত্রে যদি দালালের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নিতে চান তাহলে কিন্তু এর থেকে বেশি লাগতে পারে তবে বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফ্রি আগের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে সেই সাথে প্রয়োজনে আরো কিছু রিকোয়ারমেন্ট যুক্ত করা হয়েছে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন আমাদের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে


    লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত

    লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এ প্রথম ক্যাটাগরিতে 345 টাকা। এটা শুধু হালকা যানের জন্য।দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে 518 টাকা। এটা মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসাথে যেমন এক ধরনের মোটরযানের সাথে মোটরসাইকেল।


    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত

    স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পেশাদারদের জন্য 680 টাকা 5 বছরের নবায়ন সহ। আর অপেশাদার

    দের জন্য 2542 টাকা 10 বছরের নবায়ন ফি সহ। এ ছাড়া যদি আরও বেশি টাকা লেগে থাকে তাহলে দালালের মাধ্যমে যদি করেন তাহলে লাগবে তা ছাড়া যদি নিজেকে সরাসরি করেন তাহলে ২৫০০ টাকার মধ্যেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি জমা প্রদান করতে পারবেন



    ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি কত

    পেশাদারদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে ফি লাগবে পনেরশো 65 টাকা মেয়াদ উত্তীর্ণের 15 দিনের মধ্যে হলে। অপেশাদার যদি হয় তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে ফি লাগবে 2427 টাকা মেয়াদ উত্তীর্ণের 15 দিনের মধ্যে হলে। পেশাদার ও অপেশাদার উভয় ক্ষেত্রে লাগবে মেয়াদ উত্তীর্ণ 15 দিন পার হয়ে গেলে প্রতি বছরের জন্য 230 টাকা জরিমানা হবে।


    ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম?


    আমরা অনেকেই জানিনা ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে কিভাবে। আজকে আপনাদেরকে আমরা জানাবো ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে কিভাবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি ঘরে বসেও নিজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম জানতে হলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।


    ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন http://www.bsp.brta.gov.bd/ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পূরণ করে সাবমিট করেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দেখুন


    অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক।

    অনলাইনের মাধ্যমে যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে চান তাহলে এটা আপনাদের জন্য লেখা। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে দুইভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারেন।

    1. এস এস এস এর মাধ্যমে।

     2. সফটওয়্যার এর মাধ্যমে।


    যদি আপনারা সফটওয়ারের মাধ্যমে চেক করতে চান তাহলে আপনাকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে মানে তিন মাস পর চেক করতে পারবেন।


    বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার আগে অবশ্য সতর্কতা অবলম্বন করবেন এক্ষেত্রে অবশ্যই সরাসরি নিজে গিয়ে বিআরটিসি অফিসে গিয়ে আবেদনের প্রয়োজনে ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিবেন এক্ষেত্রে দালালের দ্বারপ্রান্ত না হওয়া উচিত। বর্তমানে এই দালাল চক্র গুলো অনেক পরিমান টাকা বেশি নিয়ে থাকে এবং কাজও না করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে তাই অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক থেকে তারপরেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সিদ্ধান্ত নিবেন

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন