চুলের যত্নে করণীয় কি? কিভাবে সঠিক নিয়মে চুলের যত্ন নিবেন।

    আজকে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে চুলের যত্নে করণীয় কি এবং কিভাবে আপনারা সঠিক নিয়মে চুলের যত্ন নিবেন এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি আশা করি সম্পূর্ণ কন্ট্রোলে আপনার চুলের যত্ন যা যা করণীয় তার সবগুলোই জানতে পারবেন


    বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং কালার নষ্ট হয়ে যায় এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকি তবে এক্ষেত্রে কিন্তু সব পদ্ধতি একই রকম কাজ করবে তা কিন্তু নয় । এক্ষেত্রে আমরা ঘরোয়া উপায়ে আপনাদেরকে চুলের যত্নে করণীয় কি কি এবং কীভাবে করবেন এই নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি


    কিভাবে চুলের যত্ন নিবেন

    "চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নেশা!" কবি জীবনানন্দ দাশ 'বনলতা সেন' কবিতায় তার চুলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে গিয়েছে। আশা করি আপনাদেরও চুলের প্রতি এরকম ভালোবাসা আছে।


    কিভাবে সঠিক নিয়মে চুলের যত্ন নিবেন।


    আজকের পোস্টটি আমরা আলোচনা করব চুলের উপকারিতা নিয়ে কীভাবে চুলের যত্ন নিবেন। চুলের যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে চুলের নেগেটিভিটি।


    আমাদের প্রতিটি চুলের হেয়ার ফাইবার বা নেগেটিভ চার্জ থাকে। নেগেটিভ চার্জ যার যত বেশি থাকে তার চুলের দুর্বলতা তত বেশি হয়ে থাকে।আপনার চুলের নেগেটিভ যার যত বেশি বাড়তে থাকবে চুলের দুর্বলতা তত বেশী বাড়তে থাকবে।


    চুলের দুর্বলতা দূর করায় করণীয়


    এখনো হয়তো ভাবতেছেন চুলের দুর্বলতা কিভাবে দূর করবেন। সমস্যা যেহেতু আছে তার সমাধানও বের করতে হবে। তাই এই চুলের এর দুর্বলতা দূর করার জন্য আপনাকে আগে আপনার চুলের pH বুঝতে হবে।pH অর্থাৎ Power of Hydrogen.


    এই pH এর মান যদি শূন্য থেকে 7 পর্যন্ত তাহলে একে  এসসটিভস বলে। 7 হলে বলে নিউট্রো। ৭ এর উপর থেকে 14 পর্যন্ত  হলে একে বলে অ্যালকালাইন।


    চুলের গোড়ায় pH থাকে 3.67। চুলের গোড়া এবং মাঝের অংশটাকে আমরা বলি হেয়ার সেপট। যেটার pH থাকে 5.5।


    শ্যাম্পু নির্বাচন  করার আগে কি দেখে করবেন?

    যখন আপনি আপনার শ্যাম্পু পছন্দ করবেন তখন ওই সেম্পু  pH এর মান হতে হবে এর কাছাকাছি। যদি আপনার শ্যাম্পুর pH এর মান এর থেকে বেশি হয় তাহলে কিন্তু সেটা আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকর।


    কিভাবে শ্যাম্পুর pH নির্ণয় করবেন

    শ্যাম্পুর pH নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে আরেকটি জটিলতা। শ্যাম্পু কোম্পানির কিন্তু একদমই বাধ্যবাধকতা নয় তাদের শ্যাম্পুর  pH আপনাদের বলার জন্য।


    তাই শ্যাম্পুর  pH নির্ণয় করার জন্য আপনাকে বাজার থেকে লিটমাস পেপার কিনে এনে পরীক্ষা করতে হবে। শ্যাম্পু যখন আপনি লিটমাস পেপারের উপর রাখবেন তখন সহজেই বুঝতে পারবেন যে এটা অ্যালকালাইন কি না। যদি এটা অ্যালকালাইন হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই সেম্পু ব্যবহার করবেন না।


    সারফেকট্যান্ট

    সারফেকট্যান্ট এমন একটি জিনিস এটা সাবানেও থাকে শ্যাম্পুতেও  থাকে যার ফলে তৈরি হয় ফেনা। এই সারফেকট্যান্ট কিন্তু চুলের নেগেটিভ চার্জ বাড়িয়ে দেয়। ফলে আপনার চুল খুব সহজেই ভেঙে যায়।


    এজন্য আপনাকে সারফেকট্যান্ট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। যেকোনো ব্র্যান্ডেরই আপনি সারফেকট্যান্ট ফ্রি শ্যাম্পু পেয়ে যাবেন। এটা সাধারণত শ্যাম্পু গুলোর গায়ে লেখা থাকে সারফেকট্যান্ট ফ্রী। তাই অবশ্যই শ্যাম্পু ব্যবহার করার আগে দেখে নিবেন এটা সারফেকট্যান্ট ফ্রী কিনা।


    চুলের যত্ন নেওয়ার কিছু সাধারন টিপস

    এবার আসুন জেনে নিই চুলের যত্ন নেওয়ার কিছু সাধারন টিপস। আপনি যখন গোসল থেকে বের হবেন তখন কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে চুল আঁচড়াবেন না। আপনি একটু অপেক্ষা করবেন যেন বাতাসে চুলটা শুকিয়ে যায়। তারপর আপনি চুলটা আঁচড়াতে পারেন। এবং অবশ্যই গোসলের আগে ভালোমতো চুলগুলো আগলিয়ে নিবেন তা না হলে চুলের মধ্যকার যে সমস্ত খুশকি থাকে সেগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়


    লিভ ইন কন্ডিশনার কিভাবে ব্যবহার করবেন?

    লিভ ইন কন্ডিশনার এর পিছনে দেখবেন যেন ইনগ্রিডিয়েন্ট এর মধ্যে জিংক অক্সাইড থাকে। এটার কিন্তু একটা প্রটেক্টিভ লেয়ার আছে। একটা মজার ব্যাপার কি জানেন আপনি যখন বালিশের কভারের উপর ঘুমাচ্ছেন এটারও কিন্তু একটা অংশগ্রহণ আছে আপনার চুলের যত্নে। যদি আপনার বালিশের কাভার হয় কটনের তৈরি তাহলে এখানে  ফ্রিকশন বেশি হয় ফলে নেগেটিভিটি বেড়ে যায় এবং এটা আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকর। এ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য আপনি সিল্কের বালিশের কাভার ব্যবহার করতে পারেন।


    চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায়

    চুলের যত্ন করার জন্য ঘরোয়া উপায়ে কিছু কাজ করতে পারেন। লেবু এবং মধু মিশিয়ে চলে মাসাজ করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুলের কালার বৃদ্ধি করে সেই সাথে অকালে চুল পেকে যাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত যাদের চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে তারা যদি পুনরায় আগের মত সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে অবশ্যই মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে মাসাজ করলেই আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়


    তাছাড়াও ডিমের সাদা অংশ এর পেস্ট তৈরি করেও আপনারা এটি ব্যবহার করতে পারেন চুলের জন্য এই ক্ষেত্রে সমস্ত চুলে ভালোমতো পেজটি মাখিয়ে 5 থেকে 10 মিনিটের মত শুকিয়ে নিতে হবে। চুল শুকানোর পরে ভালোমতো আপনারা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এরপর এ সপ্তাহে এইভাবে তিন থেকে চারদিন করার পরে আপনার চুলের সৌন্দর্য আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পড়া কমাতে চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করবে


    সঠিক নিয়মে কিভাবে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার করবেন

    চুলের যত্নে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার সঠিক নিয়মে কিভাবে করবেন। শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম  হচ্ছে শ্যাম্পু করার সময় আপনি খেয়াল রাখবেন চুলের গোড়া এবং হেয়ার শার্ট এই অংশটার উপর। আর কন্ডিশনার করার সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে চুলের হেয়ার টপ এর উপর। হেয়ার টপ বলতে চুলের আগা।


    এই ছিল আজকের আমাদের পোস্টে। আশা করি আপনাদের পছন্দের টিপসগুলো আপনারা পেয়ে গেছেন। উক্ত টিপসগুলো যদি ভালো ভাবে ফলো করেন তাহলে আশা করা যায় আপনাদের চুল ঝলমলে দেখতে অনেক ভালো লাগবে। চুলের যত্নে করণীয় বিষয় নিয়ে কোনো  প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন ভালো লাগলে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ। 

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন