আলবেনিয়া কাজের ভিসা
আলবেনিয়া অনেকে কাজের জন্য যেতে চান। আপনারা সকলেই জানেন অন্য দেশে যেতে হলে আপনার অবশ্যই ভিসা থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট থাকতে হবে। তেমনি আলবানিয়া যেতে হলেও আপনার ভিসার প্রয়োজন রয়েছে। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলবেনিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আরো আলোচনা করব আলবেনিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়।
আলবেনিয়া কাজের ভিসার বিস্তারিত বিবরণ সহ আলবেনিয়া যেতে হলে আপনার কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। আলবেনিয়া গিয়ে কি কি কাজ করবেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যারা আলবেনিয়া যেতে চান মূলত তাদের জন্যই আমাদের এই কন্টেন্ট টি। আশা করি আপনারা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের এই কন্টেন্ট থেকে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
আলবেনিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য খরচ হবে তিন লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। যদি আপনারা সরকারি মাধ্যমে যেতে চান তাহলে একেবারে কম খরচের মধ্যেই চলে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করা লাগবে। সরকারিভাবে বছরের বিভিন্ন সময় আলবেনিয়াতে যাওয়ার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে।
এখানে অল্প টাকার মধ্যে আপনি সরকারী ভাবে আলবেনিয়াতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য অবশ্যই নির্ধারিত একটি কাজের উপর দক্ষতা প্রয়োজন আছে। আলবিনেতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার নির্দিষ্ট একটি কাজের প্রশিক্ষণের সনদ দেখাতে হবে তাহলে আপনি সরকারীভাবে আলবেনিয়াতে যেতে পারবেন।
আলবেনিয়াতে কাজের বেতন কত
অনেকে অনেক দেশে যেতে চান কাজ করার জন্য। যেমন, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, আফগানিস্তান ইত্যাদি দেশে। তেমনি অনেকেই আলবেনিয়া কাজ করে যেতে চান। তারা অনেক সময় প্রশ্ন করে থাকেন আলবেনিয়াতে কাজ এর বেতন কত।
আলবেনিয়া তে কাজ করে একজন শ্রমিক মাসে 400 থেকে 500 ইউরো এর মত ইনকাম করে থাকেন। অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের বেতন কম বেশি হয়ে থাকে। যারা অভিজ্ঞ এবং শিক্ষিত তাদের বেতন বেশি হয়ে থাকে। আশা করি আপনারা বেতন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন
আপনি যদি সরকারিভাবে আলবেনিয়াতে যেতে পারেন তাহলে খুবই কম খরচের মধ্যে যেতে পারবেন এবং ভালো মানের বেতন সহ সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি পাবেন। আলবেনিয়াতে কাজ শেষ করার পরে মোটা অংকের টাকা পাবেন পাবেন পরবর্তীতে এটি দেশে ফেরত আসার সময় আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আলবেনিয়া যেতে হলে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
আপনারা অনেকে আলবেনিয়া যেতে চান। কিন্তু আপনারা জানেন না আলবেনিয়া যেতে হলে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে এ সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি আলবেনিয়া যেতে চান তাহলে আপনার যে সকল ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন তা হলো :
আলবেনিয়া যেতে হলে অবশ্যই আপনার এক বছর মেয়াদি পাসপোর্ট থাকতে হবে।
আলবেনিয়া যেতে হলে অবশ্যই আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা এমন দুই কপি ছবির প্রয়োজন হবে সদ্য তোলা।
আলবেনিয়া যেতে হলে আপনার জন্ম নিবন্ধন কপি লাগবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
আলবেনিয়া যেতে হলে আপনার পিতা-মাতার এনআইডি কপি লাগবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে। মানে আপনি কোন দেশদ্রোহীর সঙ্গে যুক্ত নয় এমন প্রমাণ।
আপনার বায়োডাটা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
অবশ্যই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে যে একাউন্টের মাধ্যমে আপনি টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন।
উপরে উল্লেখিত এ সকল ডকুমেন্ট গুলো থাকলে আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন এবং সহজে আলবেনিয়া যেতে পারবেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
আলবেনিয়া ভিসার ধাপসমূহ
আপনারা অনেকে আলবেনিয়া যেতে চান কিন্তু আপনারা জানেন না। আলবেনিয়া যেতে হলে কি কি করা প্রয়োজন তার সম্পর্কে। আলবেনিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আলবেনিয়া ভিসার ধাপসমূহ সম্পর্কে।
আলবেনিয়া যেতে হলে আপনাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে। এম্বাসি থেকে আপনাকে পাসপোর্ট ভিসা করতে হবে। আপনার ভীষণ যাচাই-বাছাই করার পরে প্রয়োজনবোধে ঢাকা থেকে ফ্লাইট হবে। আপনি যখন আলবেনিয়াতে পৌঁছে যাবেন তারপরে এয়ারপোর্টে তাদের লোক রিসিভ করবে। আলবেনিয়া তে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী যে কোন ব্যবসা করতে পারবেন।
কাতারে ব্যাপকভাবে কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
আপনি যদি ব্যবসা করতে না চান তাহলে আপনি চাকরিতে যোগদান করতে পারেন আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী। আলবেনিয়া রেসিডেন্ট পার্মিট পাওয়া মানে ইউরোপের রেসিডেন্ট পার্মিট। আপনি যদি সেখানে রেসিডেন্ট পার্মিট হন তাহলে আপনি আপনার ফ্যামিলি নিয়ে যেতে পারবেন। আলবেনিয়া থেকে আপনি অন্যান্য দেশেও যেতে পারবেন। আলবেনিয়া ভিসা ধাপ সমূহ গুলো এইগুলোই ছিল।
আলবেনিয়াতে বাংলাদেশিরা কি কি কাজ করে
আপনারা অনেকেই আলবেনিয়াতে যেতে চান কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে। আপনারা জানেন না সেখানে বাংলাদেশিরা কি কি কাজ করে থাকে। যারা জানতে আগ্রহী তারা আমাদের সঙ্গে থাকুন। আশাকরি বুঝতে পারবেন। আলবেনিয়াতে বাঙালিরা যে সকল কাজ করে থাকে তা হল :
আলবেনিয়া যে বাঙালিরা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে থাকেন।
শপিং মলে কাজ করে থাকেন।
বাঙালিরা সুপার শপ এ কাজ করে থাকেন।
আলবানিয়াতে বাঙালিরা হোটেলে কাজ করে থাকেন।
আলবেনিয়াতে বাঙালিরা ফুড প্যাকিং এবং আরো অনেক বিষয় কাজ করে থাকেন।
আলবেনিয়াতে বাংলাদেশি অনেক শ্রমিক কাজ করেন। সেখানে অনেক রকম কাজ পাওয়া যায়। আলবেনিয়া সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। আশা করি আপনারা আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আমাদের এখান থেকে ইনশাআল্লাহ।
আলবেনিয়া জরুরি ভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
আলবিনীয়াতে গার্মেন্টস ভিসায় প্রায় তিন হাজার কর্মী নিয়োগ দেবে বলে বিশেষক বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা যে কেউ আবেদন করতে পারবেন আবেদন করার জন্য অবশ্যই গার্মেন্টস কাজের উপর দক্ষতা থাকতে হবে নিচে আমরা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরলাম।
কাজের স্থান: আলবেনিয়া
বেতন: ৪০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার
যাতায়াত খরচ: কোম্পানি
কাজের ধরন: গার্মেন্টস কর্মী
থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা: কোম্পানির নিজেই
ডিউটি টাইম: ১০ থেকে ১২ ঘন্টা
ভিসার মেয়াদ: তিন বছর
আলবেনিয়াতে কত ঘন্টা কাজ করতে হয়
আপনারা যারা আলবেনিয়াতে যাবেন ভাবছেন তাদের জানা উচিত আলবেনিয়া কত ঘন্টা কাজ করা লাগে সে সম্পর্কে। আমরা অনেকের কাছ থেকে শুনে থাকি আলবেনিয়াতে 18 ঘণ্টা 20 ঘণ্টা করে কাজ করা লাগে কিন্তু এ তথ্যটি একেবারে ভুল। কিছু কিছু সময় শোনা যায় 14 ঘন্টা কাজ করার প্রয়োজন হয়। আসলে আলবেনিয়াতে মূল কাজের সময় 8 ঘণ্টা।
দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের বেতন এবং যাওয়ার উপায়
আপনি চাইলে ওভারটাইম করতে পারবেন কিন্তু ওভারটাইম তো মূল কাজের সময় না। তাই এটা যোগ করে আপনি 18 ঘণ্টা 20 ঘন্টা বলতে পারেন না। আলবেনিয়াতে দিনে আট ঘন্টা করে কাজ করতে হয়। আশা করি আপনারা আলবেনিয়াতে কত ঘন্টা কাজ করতে হয় সেই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সতর্কতা'
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেওয়ার আগে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তারপরেই আলবিনা ভিসা নিয়ে আলবিনাতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। বর্তমানে বিদেশে যাওয়ার প্রসেস গুলো নিয়ে নানা ধরনের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ জড়িত আছে। তাই অবশ্যই আপনারা যেকোনো ধরনের ভিসা সার্ভিস নেওয়ার আগে সেটা সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি কিনা এই বিষয়টি দেখে তারপরেই আপনারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হাতে নিবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন