অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা | অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

    অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা


    আজকে আমরা কথা বলবো অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কিভাবে আপনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে পারবেন এবং এ ভিসা কার্যক্রম কিভাবে পরিচালনা করবেন এবং ভিসা পেতে হলে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিত হবে এ কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করব তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।


    অনেকেরই স্বপ্ন বা ইচ্ছা থাকে যে ইউরোপ কান্ট্রির দেশগুলোতে ভ্রমণ করার সে ক্ষেত্রে অনেকটাই ধরাবাধা নিয়ম হয়ে থাকে এসব কান্ট্রিতে ভ্রমণ করতে হলো। সবার ক্ষেত্রেই সুযোগ হয়ে ওঠে না তবে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে বিভিন্ন দেশ থেকে খুব সহজেই আপনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সেখানে যেতে পারবেন তবে তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সে রিকোয়ারমেন্ট এর ভিত্তিতেই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর সেই প্রসেস নিয়ে আজকে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।


    অস্ট্রেলিয়াতে কয়েক ধরনের ভিসা সার্ভিস চালু আছে তারমধ্যে টুরিস্ট ভিসা,  স্টুডেন্ট ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বিজনেস ভিসা সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে তার মধ্যে এই কয়েক ধরনের ভিসার মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়াতে সাধারণত মানুষ ভ্রমণ করে থাকে। আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি নিচে আমরা সেই কন্টেন্টের দিয়ে দেবো সেখান থেকে পড়ে নিতে পারবেন কিভাবে আপনি অস্ট্রেলিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।


    অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা

    বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার জন্য টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যাচ্ছে তাই চাইলে যে কেউ বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া তে যেতে পারবে সে ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ট্রাভেল কম্পানি রয়েছে যাদের মাধ্যমে আপনাকে অস্ট্রেলিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে যে আপনি অন্য কোন জায়গায় ট্রাভেল করেছেন। যদি এর আগে আপনি কয়েকবার ট্রাভেল করার প্রমাণ দেখাতে পারেন তাহলে আপনার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যাবে সেই ক্ষেত্রে তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে মিশে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা তুলে ধরব।


    অস্ট্রেলিয়াতে টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে তার আগে নির্দিষ্ট কিছু দেশ অথবা বিভিন্ন বিজনেস উদ্দেশ্যে আপনি বিদেশ ভ্রমণ করেন তার প্রমাণ হিসাবে আপনার একটি ডকুমেন্ট তৈরি করতে হবে সেইসাথে আপনার অবশ্যই ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ ভালো পরিমাণে এমাউন্ট আদান প্রদান করেছেন এই বিষয়টি সত্য ভাবে ক্লিয়ার করে দেখাতে হবে। তারপরে আপনি বাংলাদেশের যে কোন ট্রাভেল কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে যে আপনি একজন ট্রাভেল প্রেমী।


    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে 2022 | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ


    অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা কি চালু আছে

    বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা চালু আছে চাইলে যে কেউ অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সেখানে পাড়ি জমাতে পারে তবে অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত 30 দিন থেকে 90 দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে এর মধ্যে আপনাকে পরবর্তীতে রিনিউ করতে হলে আবার পুনরায় দেশে ফেরত এসে তার পরেও রিনিউ করতে হবে কারণ এখন পর্যন্ত তারা সেখানে রিভিউ সিস্টেম চালু করেনি তবে রিসেন্টলি তারা আপনার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে।


    তাই আপনি যদি 30 দিন মেয়াদে অস্ট্রেলিয়াতে যান এবং সেখানে যদি 90 দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তারপরেও যদি আপনার কার্যক্রম শেষ না হয় তখন আপনি বিশেষ অজুহাত দেখিয়ে আপনার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন তাছাড়া যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভেরিফিকেশন করার পরে দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে এ বিষয়টি অবশ্যই নজর রাখবেন।


    অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন

    অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ট্রাভেল বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে এবং সেইসাথে আপনাকে ট্রাভেল ইন্সুরেন্স থাকতে হবে। আদান প্রদান করেছেন সেই বিষয়টিও আপনাকে দেখানো লাগবে তারপরে আপনাকে অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে হলে তাদের নির্দিষ্ট কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেই আবেদনের সাথে সেগুলো পূরণ করে এটাস্ট করে তারপরে আপনাকে আবেদন করতে হবে।


    উপরোক্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে ভালোমতো পূরণ করার পরে অস্ট্রেলিয়ান এম্বাসি মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন। আগে বাংলাদেশের মানুষ সচারাচার দিল্লি এম্বাসির মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করত তবে এখন বাংলাদেশ থেকে আপনি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।


    টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    • এক কপি এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
    • 4 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
    • চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র
    • বিমান টিকিট এর ফটোকপি
    • বিমান টিকেটের ব্যাক আসার ফটোকপি
    • হোটেল বুকিং এর ফটোকপি
    • আপনি যে ট্রাভেল করেছেন তার পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রমাণ


    অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত

    নব্বই দিন মেয়াদি অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনার খরচ পড়বে 12590 টাকা। সেইসঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ সহ অনেক টাকায় পড়বে তবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে বর্তমান পরিস্থিতির উপর। করণা মহামারীর পরে নতুনভাবে ভিসা কার্যক্রম চালু করার পরে আবার ভিসার যাবতীয় খরচ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে তাই সেই হিসেবে বর্তমানে 12590 টাকায় অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার খরচ পরছে।


    তবে টুরিস্ট ভিসার সঙ্গে শুধুমাত্র বিচার যাবতীয় কার্যক্রম এর জন্য 12999 টাকা সেই সাথে আপনার হোটেল বুকিং বা অন্যান্য খরচ বাবদ আপনাকে আলাদাভাবে বহন করা লাগবে তার মধ্যে যেমন বিমান ভাড়া বা অন্যান্য রাস্তা খরচ সহ আলাদাভাবেই খরচ ধরা হয়ে থাকে তাই সেই হিসেবে যদি টোটাল হিসাব করা হয় তাহলে আপনার অনেক টাকা খরচ হবে। পরবর্তীতে সম্পূর্ণ প্যাকেজ নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে একটা টুরিস্ট প্যাকেজ লিস্ট আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।


    বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন


     অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

    অস্ট্রেলিয়া গভমেন্ট ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে ভিসার আবেদন ফরম টি ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে এবং যাবতীয় খরচ সহ বিস্তারিত যেগুলো আছে অস্ট্রেলিয়া এম্বাসির মাধ্যমে আপনাকে জমা দিতে হবে সেইসাথে উপরোক্ত যে সমস্ত কাগজপত্র কথা বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে সেই কাগজপত্রগুলো সঙ্গে ভাল মত এত করতে হবে এবং সেই কাগজপত্রের উপরে আপনার ভেরিফিকেশন প্রসেস তারা যাচাই-বাছাই করে দেখবে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনাকে ভিসার জন্য কনফার্মেশন এসএমএস পাঠিয়ে আপনাকে নিশ্চিত করে দিবে।


    টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কতদিন

    30 দিন থেকে 90 দিন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে। আর এই ভিসা আবেদন করার পরে 28 দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে পরবর্তীতে আপনাকে মেসেজ এর মাধ্যমে কনফার্মেশন মেসেজ পাঠিয়ে আপনাকে নিশ্চিত করবে। 30 দিন থেকে 90 দিন মেয়াদ পার হওয়ার পরে আপনার বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অস্ট্রেলিয়াতে আপনি অবস্থান করতে পারবেন না তবে আপনার বিশেষ প্রয়োজন যদি থাকে তাহলে নতুনভাবে আবেদন করে আপনাকে পর্যবেক্ষণ করার পরেই পরবর্তী নিয়ত সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিতভাবে তারা জানিয়ে দেবে যে আপনি সেখানে অবস্থান করতে পারবেন কিনা এবং কতদিন পর্যন্ত পারবেন।


    ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন | ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২২


    সাবধানতা

    আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার সম্পর্কে এবং এই টুরিস্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে তা সম্পূর্ণ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে পরবর্তীতে ভিসা কার্যক্রম নিয়ে যদি কোন আপডেট তথ্য পাওয়া যায় আমরা এই কনটেন্টে মাধ্যমে আপডেট করব। সম্পূর্ণ প্রচেষ্টার বর্তমানে যে প্রসেসে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে সেই প্রসেস নিয়ে আমরা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।


    তবে ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন কারণ অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের ভুল-ভ্রান্তির শিকার হয়ে থাকে যেমন অনেককেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেবে বলে দেখা যাচ্ছে টুরিস্ট ভিসা হাতে ধরিয়ে দেয় অথবা স্টুডেন্ট ভিসা ধরিয়ে দেয় তবে সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছে যারা বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটকে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া তে ঢুকতে পারেনি। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এমন হয়েছে যে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা হাতে পাবার পরে সেখানে কিছুদিন থাকার পরেই ফেরত আসা লাগে সে দেখা যাচ্ছে তাতে কোনো ঝামেলা ছিল তাই অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা চেক করে তারপরে আপনার অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করবেন।


    বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন