সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

    কিভাবে সৌদি আরব থেকে ইউরোপের যে কোন দেশে যাবেন

    পৃথিবীর উন্নত মহাদেশ গুলোর মধ্যে ইউরোপ আর এটি একটি সভ্যতার ইতিহাস অর্থনীতি সংস্কৃতি জীবনযাত্রা সবকিছুতেই উন্নত এই মহাদেশ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের ইউরোপ মহাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো সৌদি আরব থেকে বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আধুনিক ও উন্নত জীবনযাপন করতে ইউরোপ যেতে চায় কখনো কখনো মানুষ সঠিক পথ না জেনেই স্বপ্ন পূরণ করতে বেরিয়ে যায়। অনেকে সফল হন আবার অনেকেই প্রতারিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়


    আজকের এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আপনি কিভাবে ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারবেন এই সম্বন্ধে আলোচনা করব এবং কোথা থেকে কি মাধ্যমে এবং কত টাকা খরচ হতে পারে এই নিয়ে বিস্তারিত আজকের আলোচনা তাহলে চলুন কিভাবে সৌদি আরব থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করি

    আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে কারণ আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে আপনি সঠিক অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ মহাদেশের যে কোন দেশে যেতে পারবেন এবং সে দেশের নিয়ম অনুসারে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন আপনি যদি অবৈধ কোন উপায় ইউরোপ মহাদেশের কোন দেশে থাকেন তবে আপনার জন্য আজকের ভিডিও শেষে আলোচনা করব কিভাবে আপনি ইউরোপে অবৈধ থেকে বৈধ হবেন

    সৌদি আরব থেকে ইউরোপের যে কোন দেশে

    আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো সৌদিআরব মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে যাবার তিনটি বৈধ উপায়ে সম্পর্কে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। বৈধভাবে যদি আপনি সৌদি আরবে বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে চান তাহলে আপনাকে তিনটি উপায়ে যেতে হবে
    • টুরিস্ট ভিসা
    • ওয়ার্ক ভিসা
    • স্টুডেন্ট ভিসা

    টুরিস্ট ভিসা

    টুরিস্ট ভিসা আপনি যদি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কোন দেশে ভিসা করে থাকেন তাহলে সেটা টুরিস্ট ভিসা এটি 90 দিন থেকে 6 মাস মেয়াদী ভিসা হয়ে থাকে এবং এতদিন পর্যন্ত আপনি সেখানে অবস্থান করতে পারবেন। আপনি যদি জার্মানি যেতে চান এবং সেখানকার যদি টুরিস্ট ভিসা না পান তাহলে আপনি পোল্যান্ড যেতে পারবেন। তার পরবর্তী সময়ে আপনি পোল্যান্ড থেকে জার্মানি যেতে পারবেন

    ওয়ার্ক ভিসা

    কোন দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য যে ভিসা পাওয়া যায় তাকে বলা হয় ওয়ার্ক ভিসা ওয়ার্ক ভিসা বিভিন্ন দেশে থাকা বা কাজ করার জন্য খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম। উন্নত দেশগুলো ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য তারা বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। আপনি যদি এই সমস্ত দেশে ওয়ার্ক ভিসা পান তাহলে বৈধভাবে সে দেশে অবস্থান করতে পারবেন বা যেতে পারবেন। আমাদের বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া হয় না। আপনার যদি ইউরোপের দেশগুলোতে চাকরি হয়ে যায় তাহলে আপনি যেতে পারবেন এবং সেখান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে খুব সহজেই আপনি যেতে পারবেন

    স্টুডেন্ট ভিসা

    তৃতীয় মাধ্যম হলো স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে ইউরোপে যেতে পারবেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন এবং বিদেশে হায়ার স্টাডিজ জন্য যেতে চান তাহলে আপনি ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারবেন এবং এই ভিসা তে গিয়ে আপনি বিভিন্ন কাজ এবং চাকরি করতে পারবেন। এবং স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমেই বৈধভাবে সেই সমস্ত দেশে খুব সহজেই যাওয়া যায়



    ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার আগে সর্তকতা

    বৈধভাবে ইউরোপে যেতে কিছু বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে তা নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো এই বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করবেনউপরের দেওয়া 3 উপায়ে ছাড়া কোন উপায় ইউরোপে যাবার চেষ্টা করা যাবে না

    • কাউকে টাকা দিয়ে কোন কাজ করাতে যাবেন না
    • যদি আপনার পছন্দের দেশ ব্যতীত অন্য দেশে যাবার সুযোগ পান তাহলে অবশ্যই সেখানে চলে যাবেন
    • এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে আপনার পছন্দের দেশে যেতে পারবেন
    • যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখার সুযোগ পাবেন সেখানে চলে যান
    • আপনি যে দেশে চাকরি পেয়ে যাবেন তাহলে সেই দেশে চলে যাবেন

    ইউরোপে যাওয়ার পরে কি করবেন

    আপনি যদি উপরের দেওয়া 3 বিষয়ক যেকোন এক বিষয়ে করে ফেলতে পারেন তাহলে আপনার অনেকটাই কাজ সহজ হয়ে যাবে। এবার প্রশ্ন আসতে পারে ইউরোপে পৌঁছে আপনি কি করবেন। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসায় যেতে থাকেন তাহলে আপনার উচিত হবে 90 দিনের মধ্যে অবশ্য একটি চাকরি জোগাড় করে নেওয়া

    ইউরোপিন স্থান হতে কি করা লাগবে

    অনেকে আছে এরূপ এই স্থায়ী হতে চাকরি না খুঁজে দালালের দারপ্রান্ত হতে হয়। তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিভিন্ন দালালের সাথে যোগাযোগ করতে থাকে এবং তারা দালালের মাধ্যমে ইউরোপে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করে থাকে এক্ষেত্রে আপনার লাভের থেকে লোকসানের ক্ষতিটাই বেশি হবে। দালালের মাধ্যমে কাজ করানো অবৈধ একটি কাজ


    এটি সময়সাপেক্ষ বিষয় এবং অনেক অংশে কাজ না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি থেকে যায়। তাই এক্ষেত্রে আপনার দুটোর সময় নষ্ট হবে। তাই আপনার উচিত হবে ফুলটাইম অথবা পার্টটাইম যেকোনো একটি জব খুঁজে নেওয়া। এতে করে আপনার সব কাজ বৈধ উপায়ে হবে। এবং আপনার সমস্ত রেকর্ড পজিটিভ থাকবে


    কিভাবে Temporary Residence Card পাবেন

    আপনি যে বাসায় থাকেন সেই ভাষার রেজিস্ট্রেশন নং আপনি কি সত্যি সে বাসায় থাকেন তার প্রমাণ হিসেবে একটি লিখিত ডকুমেন্ট লাগবেবাসার মালিকের কাছ থেকে আপনি সেটা জোগাড় করবেন খেয়াল করবেন সেখানে যেন আপনার বাড়িতে ওঠার দিন ও ভাড়ার বিস্তারিত উল্লেখ থাকে এখন আপনার চাকরি আছে আর থাকার জায়গা ডকুমেন্ট আছে চাকরির অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার যে বাসায় থাকেন তার ডকুমেন্ট নিয়ে আপনি যাবেন ইন্টার্নেশনাল ইমিগ্রেশন অফিসে যাবেন


    সেখানে গিয়ে এই সব ডকুমেন্ট জমা দেবেন ইন্টার্নেশনাল ইমিগ্রেশন অফিস আপনাকে ডিজিটাল নাম্বার দেবে আপনার ডিজিটাল পরিচিত নম্বর এটি খুব সতর্কতার সাথে মনে রাখতে হবে আপনার সবকিছুই এই নাম্বারের মধ্যে হবে এরপরে সমস্ত ডকুমেন্ট নিয়ে আপনি অফিসে যাবেন অফিসে কাজ হয়ে যাবে এমনটা না আপনাকে প্রথমে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে

    সরাসরি সম্ভব না হলে অনলাইনে নিবেন এবং সময় নেয় এর মধ্যে আপনার টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে চাকরির দেখিয়ে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবে অফিসে পেয়ে গেলে নির্দিষ্ট দিনে সমস্ত ডকুমেন্ট জমা দিবেন

    তারা আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেবে এবং পরবর্তীতে কোন কোন দেশের ভিসা ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভিন্ন দেশের নিয়ম অনুসারেই ডেট দিবে কোন দেশে ছয় মাস থেকে আট মাস আবার কোন দেশ আরো বেশি সময় নেবে আপনার ডকুমেন্ট ফাইলটি যত্ন করে রাখবেন এ সময় পার হলে আপনাকে বাসার ঠিকানায় চিঠি দেবে অথবা আপনার সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করবে

    এরপর আপনাকে ভিসা অফিস টেম্পোরারি কার্ড দেবে এবং এই মাধ্যমেই আপনি সে দেশের স্থায়ী নাগরিক হতে পারবেন। এবারেই রেসিডেন্স কার্ড নিয়ে আপনি ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে পারবেন। আপনি চাইলে সেখান থেকে বাংলাদেশে আসতে পারবেন

    কিভাবে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড পাবেন

    আপনি যখন টেম্পরারি রেসিডেন্স কার্ড হাতে পাবেন তখন থেকেই আপনি ইউরোপিন নাগরিক। আর এই টেম্পরারি রেসিডেন্স কার্ড পাবার পর থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নিয়ম অনুসারে সেদেশে আপনি 5,7,8, বা 10 বছর থাকতে হবে এরপর পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি হতে আবেদন করতে পারবেন। এর পরেই আপনি পার্মানেন্ট প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন

    কিভাবে আপনি ইউরোপে অবৈধ থেকে বৈধ হবেন

    আপনার জেনে রাখা ভালো ওই রুপে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তার পরেও যদি আপনি যেকোনোভাবে ইউরোপের যে কোন দেশে ঢুকতে পারেন তাহলে আপনাকে বৈধ হতে যা করতে হবে। আপনি সেদেশের শরণার্থী শিবিরে যাবেন এবং আপনার সমস্যার কথা টি খুলে বলবেন তবে অবশ্যই সমস্যাটি খুবই জটিল এবং কঠিন হতে হবে

    এমন একটি সমস্যা দেখা দিতে হবে যে যার কারণে আপনি দেশে ফিরতে পারবেন না। এমন একটি সমস্যা দেখা দিতে হবে আপনাকে যেমন রাজনীতিক বা অন্যান্য জটিল একটি সমস্যার কথা তুলে ধরবেন। তারা আপনার সমস্ত কাগজ পাতি দেখার পরে আপনার থাকার এবং খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দেবে তারা

    শরণার্থী শিবিরে আপনাকে দুই থেকে পাঁচ বছর থাকা লাগতে পারে এবং তারপরে তারা বিবেচনা করে আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। টেম্পরারি রেসিডেন্স পাওয়ার পরে আপনি পাঁচ থেকে দশ বছর পরেই ইউরোপের সিটিজেন হতে পারবেন। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে জানতে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের উত্তর দিব অথবা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন


    তবে প্রথম অবস্থায় আপনাকে কিন্তু ব্যাংক স্টেটমেন্ট টা খুবই স্ট্রং করা লাগবে এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন। এবং সাবধানতা স্বরূপ আপনাদের জানানো যাচ্ছে যে উক্ত বিষয়গুলো বিভিন্ন দালালের দ্বারপ্রান্ত হওয়ার আগে বিষয়গুলো ভালোমতো যাচাই-বাছাই করবেন এবং তারপরে আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন আসলে কাজটা ঠিক হচ্ছে কিনা এবং এটা আসলে করা কতটা পসিবল এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো ভালোমতো চিন্তা ভাবনা করেই তার পরেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন